পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ SMMS SMSMMSMMSMSMMS MSMSM MS MS MSMSM SMSMSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS - - - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খ --- অন্যান্য দেবদেবী। শ্রীরাধা কৃষ্ণের সেবা ভিন্ন অন্য দেবদেবীর পূজা বৃন্দাবনে বিশেষ প্রচলিত নাই। অন্য দেবতার মধ্যে প্রধানতঃ গোপী গোবিন্দ দেবের মন্দিরের পাশ্বে যোগমায়াদেবী ও বেলবনে লক্ষ্মীদেবী আছেন এবং প্রত্যহ পূজা হইয়া থাকে । সমগ্র ব্রজমগুলের মধ্যে অবশ্ব আরও কতিপয় মহাদেবমূর্তি, বলদেবমূৰ্ত্তি এবং বৃন্দাদেবী, কাত্যায়নী দেবী প্রভৃতির মূৰ্ত্তি আছে। বন ও কুণ্ডাদি । বহু বন উপবন লইয়াই ব্রজধামের স্বষ্টি, তন্মধ্যে কুসুম-সরোবরের পার্শ্বস্থ উদ্যান’ও মন্দিরাদি)। প্রকাশ সম্বন্ধে বহু গ্রন্থে অনেক তালবন, মধুবন, বৃন্দাবন, কাম্যবন ইতিহাস দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা স্থানাভাবে বাহুল্যভয়ে এ স্থানে উল্লেখ করিলাম না। এইসকল হইতে যাহা অবগত হইতে পারা যায় তাহাতে বুঝা যায় মদনমোহনজীর সেবা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং তৎপরে গোবিন্দজী ও গোপীনাথের সেবা প্রকট হয়। কথিত আছে শ্ৰীকৃষ্ণের প্রপৌত্র ব্ৰজনাভ কর্তৃক তাহার মাতৃ-আদেশে যে তিন মুঞ্জি নিৰ্ম্মিত হয় ইহা তাহাই এবং বহুকাল ভূগর্তে প্রোথিত থাকার পর গৌড়ীয় বৈষ্ণব মহাত্মা শ্ৰীসনাতন, এরূপগোস্বামী ও মধুপণ্ডিত শ্ৰীভগবান कईक थउTानिटे श्रज्ञ श्रात्रिल झग्न । किछु श्रानञ निअश् সকল মুসলমানদের অত্যাচারের জন্য যখন জয়পুরে পাঠান হয়, তাহার পর হইতে সেই স্থানেই আছেন। এগুলি জয়পুরাধিপতি কর্তৃক তাহদের অনুরূপ সৃষ্টি প্রেরিত হইয়। এখানে স্থাপিত হয় । - কুসুম-সরোবরের তীরে ভরতপুরের রাজার সমাধি-মন্দির । প্রভৃতি দ্বাদশ বনই প্রধান। সুপ্রসিদ্ধ নিধুবন ও নিকুঞ্জবন বৃন্দাবনের ভিতরেই অবস্থিত এবং ইহার মধ্যেই ললিতাকুও ও বিশাপাকুণ্ড বিরাজিত। এই দুইটি বন এখন একপ্রকার গাছে পরিপূর্ণ, উহার ডালগুলি মৃত্তিকাসংলগ্ন, ইহাকেই লোকে যুক্তালত বলিয়া থাকেন। নিধুবনে বস্তৃবিহারীর শ্বর নামে এক শিবলিঙ্গ আছেন, - , ১ম সংখ্য। ]


- - - - - - - - - -

চৈতনা দেবের সাধন-কুটির। P সেবা-স্থাপনকারী সিদ্ধ হরিদাস স্বামীর একপানি চিত্র - আছে । নিকুঞ্জবনে প্রবেশ করিয়া ঠিক দক্ষিণে একটি শ্যাম তমাল-বৃক্ষ আছে, তাহার নানাস্থানে দেখিলে মনে হয় বুঝি শালগ্রাম-শিল-সকল বসান রহিয়াছে। যাত্রীগণ পরম ভক্তিভরে এই গাছটি দর্শন ও স্পর্শ করিয়া থাকেন। বৃন্দাবনের মধ্যে ব্ৰহ্মকুণ্ড প্রসিদ্ধ। সমগ্র ব্রজের মধ্যে নব্বইটি কুণ্ড আছে। প্রায় সকল কুণ্ডেরই জল এক্ষণে আতি অপরিস্কার । তথাপি শুনিতে পাওয়া যায় এমন মহাত্মা অনেক আছেন, যাহার এখনও এই জল অতি পবিত্র বিবেচনা করিয়া পান করিয়া তৃষ্ণ নিবারণ করিয়া থাকেন। অধিকাংশ কুণ্ডই অতি অল্পপরিসর ও অত্যন্ত গভীর, এমন কি কোন কোনটি একটি বৃহং কূপের মত দেখায়। এই কুণ্ডসকলের উৎপত্তির বিবরণ ও স্বানের ফল বেশ কৌতুহলোদ্দীপক, কিন্তু বাহুল্যভয়ে তাঙ্গ বলিতে বিরত থাকিলাম ।

রন্দাবন দর্শন 8to সমস্ত কুওগুলির মধ্যে রাধাকুগু ও শামস্ট্রগুই প্রধান। ব্রজধামের মধ্যমণি শ্রীরাধা এই স্থানে জলক্রীড়া করিতেন । এই দুই কুণ্ডের আকার সর্বাপেক্ষ রুহুং এবং ইহারও চতুর্দিকে প্রস্তর-সোপান শোভিত এবং অধিকাংশ কুণ্ডের ন্যায় জল অতি অপরিস্কার। কুণ্ডের নামে গ্রামের নাম শ্রীরাধাকুও হইয়াছে, ইহা বৃন্দাবন হইতে প্রায় ২২২৩ মাইল দূরে। এই স্থান অতি পবিত্র, কুণ্ডের চারিপাশ্বে অনেক ত্যাগী সাধু, বৈষ্ণবের বাস। ইহার তীরে মহাত্মা জীব গোস্বামীর ক্ষুদ্র ভজনকুটার আজিও জীর্ণবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায় এবং কুণ্ডদ্বয়ের পুনরুদ্ধারকওঁ৷ মহাত্মা রঘুনাথ দাস গোস্বামী মহাশয়ের


অদ্বৈত বট । মাধি, পাবনঘাটের উপর আজিও বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। কালের প্রভাবে রাধাখ্যামকুণ্ড লুপ্তাবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছিল, কথিত আছে মহাপ্ৰভু চৈতন্যদেব যখন তীর্থপর্য্যটনে এই স্থানে আইসেন তখন কুণ্ডের চিহ্নও ছিল না, তিনি এখানকার মুত্তিক লইয়া তিলকসেবা করিয়াছিলেন । -