পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७8 o ০৮:৪৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৮:৪৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~ i. কাপড়ের কণ-ৰেল লক্ষ টাকা মূলধন লই৷ মহীশূর রাজ্যে কাপড়ের কল স্থাপন করা श्र * ७३ करल २५ शङीब्र कद्रक ও ৭ শত ঠাত থাকিবে। প্রতিদিন এই কলে ১৬ লক্ষ দের হুতা ও ৯ লক্ষ সের বস্ত্র প্রস্তুত হইবে । _(২) সাবানের কল-মহীশূৰ্ববাসীগণ এতদ্বার সাবান প্রস্তুত করিতেছেন। এই কলে কাৰ্য চালাইবার নিমিত্ত একজন কাৰ্যকুশল লীকে নিযুক্ত করা হইয়াছে। - -

  • ) কাচের কারখানা-মহীশূরের কাচের জিনিষ নিৰ্ম্মাত৷ গকে ভারতের অন্যান্য স্থানের কারখানাগুলি দর্শনের জন্য করিয়া উংকৃষ্ট কাচ নিৰ্ম্মাণের আয়োজন করা হইবে। ৪) দিয়াশলাইর কল—মহীশূরের সিমোগ নামক স্থানে একটি

منت_حد تک۔ শিলাইয়ের কল স্থাপনের জন্য ৫ হাজার টাকা মূলধন সংগৃহীত ) কাগজের কারখানা-মহীশূররাজ্যে কাগজ-নিৰ্ম্মাণোপযোগ বাঁশ বহুল পরিমাণে পাওয়া যায়। মহীশূর জাত বীশের মণ্ডে হইতে পারে কি না, তাহ পরীক্ষা করিবার নিমিত্ত সম্প্রতি ২৪ মণ বীশের মও প্রস্তুত করিয়া ভারতের কোনও র কলে প্রেরিত হইয়াছে। এই মণ্ডে ভাল কাগজ প্রস্তুত হইতে পুরে কাগজের কল প্রতিষ্ঠিত হইবে। প্রসঙ্গে যশোহর আরো সংবাদ দিয়াছেন— শুরের মহারাজ রাজ্যের শিল্পের উন্নতির জন্য উঠিয়া পড়িয়৷ ছন, তিনি আদেশ করিয়াছেন আগামী ৫ বৎসরকাল প্রতি নির ভাগকে ৰণস্বরূপ লক্ষ টাকা দেওয়া - न । । - মহারাজ দেওয়ানকে বলিয়াছেন শিক্ষার জন্য ব্যয় করিতে কুষ্ঠিত ੇ ইইও না। এই ত রাজার ধৰ্ম্ম। আমরা আশা করি শীঘ্রই মহীশূর বাবদ বাণিজ্য এবং শিক্ষা ভারতের আদর্শ স্থল হইবে। মহীশূররাজ-সরকারের ন্যায় যুক্তপ্রদেশের খাসসরকারও এ দেশের শিল্পোন্নতির প্রতি মনোযোগী হইয়াছেন। চারমিহিরে প্রকাশ যুক্ত প্রদেশের লেফটেনেন্ট গবর্ণর বাহাদুর সম্প্রতি নাইনিতালে বিশেষ অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ লইয়া এই জন্য এক বৈঠক করিয়াছিলেন। ঐ স প্রদেশে তৈলের কল স্থাপনের জন্য গবৰ্ণমেণ্ট বিশেষ বন্দোবস্ত করিতেছেন। সুগন্ধি দ্রব্য, কাচের জিনিষ, বেলোয়ারি চুড়ি এবং চামড়া ইত্যাদি প্রস্তুতের জন্য ব্যবসাদ।রদিগকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করা হইতেছে। এবং যাহাতে এইসকল দ্রব্য সহজে ও হুলভে প্রস্তুত হইতে *|tन ठांश्न छना में গবর্ণমেন্ট 蠶 蠶 করিতেছেন। যুক্ত প্রদেশের গভর্ণমেণ্টের দৃষ্টাস্তে— o '! cभ .. "কাচের কারখান" খুলিবার উদ্যোগ করিতেছেন। বিলাত হইতে দুইজন দক্ষ কারিকর প্রেরণের জন্য ছোটলাট বাহাদুর ভারত-সচিবের নিকট চিঠি লিখিয়াছেন – (চুচুঁড়াবাৰ্ত্তাব । শিল্পোন্নতির প্রচেষ্টায় গবৰ্ণমেণ্টের উদ্যোগ শুধু কলকারখাg-প্রতিষ্ঠার সঙ্কল্পেই পৰ্য্যবসিত নহে, রঙ্গপুর –াদকএকশি এ সম্বন্ধে অভিনব তথ্যের সন্ধান দিয়া বলিতেছেন— । o -- - প্রবাসী-ভদ্র, ১৩২২ -- o - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । --০৮:৪৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৪৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~ সম্প্রতি রেলওয়ে বোর্ড স্বদেশী শিল্পজাত দ্রব্যের রেলভাড় কমাইবার জন্য এদেশের সকল রেলকর্তৃপক্ষের নিকট এক একখানি কমিউনিক পাঠাইয়াছেন। কমিউনিকের মৰ্ম্ম এই যে, রেলের মাশুল কমাইলে । রেলে অধিক পরিমাণে স্বদেশী মাল যাতায়াত করিবে এবং তাহার ফলে রেলকর্তৃপক্ষ ও স্বদেশী ব্যবসাদারেরা পরস্পর অধিকতর লাভবান হইবেন। - - - - বড়োদার মহারাজ গায়কওড় তাহার রাজ্যের স্থানে | স্থানে বহু স্থাবর ও জঙ্গম লাইব্রেরী স্থাপন করিয়া প্রজা- i সাধারণের মধ্যে জ্ঞানবিস্তারের সাধু চেষ্টা করিতেছিলেন। । খাল বড়োদা কেন্দ্র লাইব্রেরী। সম্প্রতি সংবাদ পাওয়া গিয়াছে যে কেন্দ্র লাইব্রেরীতে একটি শিশু বিভাগ খোলা হইয়াছে। সেখানে ছেলেদের উপযোগী ছবির বই, নানাবিধ খেল প্রভৃতির আয়োজন থাকিবে এবং গল্প বলিয়৷ ও বায়োস্কোপ দেখাইয়া ইতিহাস বিজ্ঞান প্রভৃতি সহজে শিক্ষা দিবারও ব্যবস্থা হইবে। মহারাজা গায়কওড়ি বুঝিয়াছেন, যে, অজ্ঞানত অস্কুরেই বিনষ্ট না হইলে কুসংস্কার গোড়ামি প্রভৃতির আগাছায় মাহুষের মন জঙ্গলে জঞ্জালে ভরিয়া উঠে। অজ্ঞানত দূর হইলে তবেই মাহ্য ধৰ্ম্ম কি, কৰ্ত্তব্য কি, স্বত্ব কি, সত্য কি বুঝিতে পারে ; জোর করিয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াইতে পারে, সাহস করিয়া ন্যায্য দাবী করিতে, দুঃখ প্রতিকার করিতে পারে। এই যে আমরা দলে দলে অনাহারে রোগে মরিতেছি, কোনো প্রতিকার করিতে চেষ্টা পৰ্যন্তও করিতেছি না, এ জড়তা অজ্ঞানেরই ফল। জানে যেদিন দেশবাসীর মোহ জড়তা দূর হইবে সেইদিন আমরা বাচিতে পারিব, সেইদি আমাদের জীবন জীবন্ত হইবে। -- ০৮:৪৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) - - - -- শ্ৰীকাৰ্ত্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত। - - -- - * * *:- : | পুস্তক-পরিচয় । --- - -- মন্দার-কুসুম উপন্যাস)—কুমারী প্রফুল্পনলিনী ঘোষ প্রণীত । মূল • আনা। রচনা বড় কাচা। গরও সাধারণ রকমের। গ্লাব ও চিত্ত পরিপূঃ ন হইলে, উপন্যাস লিখিতে যাওয়া বিড়ম্বন। লোকশিক্ষাও হয় 제, আর অর্থনাশ এবং মনঃকষ্টও হয়। সাহিত্যেরও সাধন আছে, ইং মনে রাখিয়া চলিলে ভাল হয়। সাধনায় মন্তত: কিছু সিদ্ধিলাভ নী করিয়া কলম ধরা উচিত নহে। লেখিকা নিরাশ হইবেন না। সাধন করিতে থাকুন। সিদ্ধি অবশুই হইবে । - न । --- - - - o-o- - o - --- -- --- * ------ - - ঈশ্বরঘোষের তাম্রশাসন - - - | - ৫ম সংখ্যা ) । ঈশ্বরঘোষের


এই তাম্রশাসনখানি বহুদিন যাবৎ দিনাজপুর জেলার মালদোয়ার ষ্টেটের দপ্তরখানায় রক্ষিত আছে। দুই বংসর পূৰ্ব্বে বরেন্দ্র-অঙ্গুসন্ধান-সমিতির পরিচালক পরম শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয়, মালদোয়ার ষ্টেটের বর্ধমান অধিকারী কুমার শ্ৰীযুক্ত ছত্রনাথ ও ঐযুক্ত টশ্বনাথ চৌধুরী মহাশয়দ্বয়ের অনুমতিক্রমে এই তাম্রশাসনের প্রতিকৃতি ও পাঠ প্রকাশ করিয়াছেন। এই তাম্রশাসন প্রকাশিত হওয়ায় বঙ্গদেশের একটি প্রাচীন রাজবংশের পরিচয় জনসমাজে প্রকাশিত হইয়াছে। এই তাম্রশাসন দ্বারা ঈশ্বরঘোষ নামক ঘোষবংশজাত রাঢ়েশ্বর, রাঢ়ে ঢেঙ্করী নগর হইতে ভট্টশ নিবোকশৰ্ম্মাকে একখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন । প্রদত্ত গ্রামের জন্য যে তাম্রশাসন প্রদত্ত হইয়াছিল তাহ হইতে ঈশ্বরঘোষের তিন পূৰ্ব্বপুরুষের নাম অবগত হওয়া গিয়াছে :– ধূৰ্ত্তঘোষ বালঘোষ - - | - ধবলঘোষ= সম্ভাবা | ঈশ্বরঘোষ তাম্রশাসনখানি ঈশ্বরঘোষের রাজ্যের ৩৫শ সম্বংসরে প্রদত্ত হইয়াছিল। মৈত্রেয় মহাশয়ের উদ্ধৃতপাঠ ১৩২, বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রকাশিত হইয়াছিল। সেই সময়ে প্রকাশিত প্রতিকৃতির সহিত মৈত্রেয় মহাশয়ের পাঠ মিলাইয়া দেখিয়া অনেকগুলি ভ্রম দেখিতে পাইয়াছিলাম। মৈত্রেয় মহাশয় কর্তৃক তাম্রশাসনের উদ্ধত পাঠের যে যে স্থান আমার নিকট যথার্থ বলিয়া বোধ হয় নাই, তাহা অবলম্বন করিয়া একটি ক্ষুদ্র প্রবন্ধ রচনা করিয়াছিলাম এবং উহ প্রকাশার্থ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদকের নিকট প্রেরণ করিয়াছিলাম। প্রবন্ধ প্রেরিত হইবার পরে আষাঢ়ের সাহিত্যের ২৭৬ পৃষ্ঠায় মৈত্রেয় মহাশয় তৎকৃত উস্কৃত পাঠের একটি শুদ্ধিপত্র প্রকাশ করিয়াছিলেন। এই শুদ্ধিপত্রে মুদ্রাকর প্রমাদ-বশতঃ প্রকাশিত উদ্ধৃতপাঠে যে-সকল ভ্রম ছিল, তাহার কতকগুলি সংশোধিত হইয়াছিল, এই উপলক্ষে মৈত্রেয় মহাশয় বলিয়াছিলেন, “ঈশ্বর মোযের তাম্রশাসনের পাঠমুদ্রাঙ্কণ-সময়ে প্রফ হারাইয়৷ - --- - - মুদ্রাকর অনেকগুলি ভ্রমপ্রমাদে পতিত হইয়াছিলেন। -- নিম্নে কতকগুলি দৃষ্টান্ত প্রদর্শিত হইল।” তাম্রশাসন やがやQ SSMSSSMSSSMSSSMSSS যে কয়ুস্থানের সংশোধিত পাঠ প্রকাশিত হইয়াছে, তদ্ব্যতীত আরও অনেকস্থানে ভ্রমপ্রমাদ রহিয়া গিয়াছে। ভরসা করি বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি গৌড়লেখমালার দ্বিতীয়ভাগ প্রকাশ-কালে এই-সকল ভ্রমের সংশোধন করিবেন। দুই এক স্থানে যে দুই একটি ভূল রহিয়াছে তাহা মুদ্রাকরের দোষজনিত বলিয়া বোধ হয় না। তাম্রশাসনের প্রথম পৃষ্ঠায় ১৫শ পংক্তিতে মহাবলাকেঠিক' পাঠ করা হইয়াছে, কিন্তু মূলে ‘মহাবলংকোষ্টিক লিখিত আছে। যোড়শ পঙক্তিতে যে শব্দটি ঐদ্বিতাসনিক' পাঠ করা হইয়াছে, উহার প্রকৃত পাঠ শুখিতাসনিক’। এই শব্দের প্রথম অক্ষরটি ঔ', 'ঐ' নহে এবং দ্বিতীয় অক্ষরটি খি'। তাম্রশাসনের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ৩০শ পঙক্তিতে দুইবার ঔৰ্ব্ব শস্ব লিখিত আছে, এই দুই স্থানের 'ও'এর সহিত ঔখিতাসনিকের ঔ মিলাইয়া দেখিলে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে, যোড়শ পঙক্তিতে ঔ লিখিত আছে, 'ঐ' নহে। এই শব্দের দ্বিতীয় অক্ষরটি যে 'ন্ধ' নহে, তাহার প্রমাণও এই তাম্রশাসনেই পাওয়া যায়। ১২শ পঙক্তিতে ‘মহাসান্ধিবিগ্রহিক' শব্দে "দ্ধি যে প্রকারে লিথিত হইয়াছে, ১৫শ পঙক্তির ওখিতাসনিক' শব্দের দ্বিতীয় অক্ষর তাহা হইতে সম্পূর্ণরূপে বিভিন্ন। মৈত্রেয় মহাশয় ইচ্ছা করিলে ব্যাকরণশাস্ত্র পীড়ন করিয়া ঐদ্ধি তাসনিক’ পদ সিদ্ধ করিয়া উহার ব্যাখ্যা বাহির করিতে পরিবেন বটে, কিন্তু তাছা হইলে উদ্ধৃত পাঠ মূলাস্থগত হইবে না। এতদ্ব্যতীত তাম্রশাসনের অনেক স্থানে পাঠাগুদ্ধি আছে, কিন্তু সেগুলি এই দুইটির ন্যায় অধিক প্রয়োজনীয় নহে। মৈত্রেয় মহাশয়ের ন্যায় স্ববিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ পণ্ডিতের ভ্রম-প্রদর্শন আমার ন্যায় ক্ষুদ্র ব্যক্তির পক্ষে সহজসাধ্য নহে। পাঠকবর্গ আমার উক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করিতে না পারেন এই ভয়ে আরও দুই একটি পাঠাশুদ্ধি এই স্থানে লিপিবদ্ধ করিলাম— ১। ৩৪শ পঙক্তিতে মৈত্রেয় মহাশয় পাঠ করিয়াছেন '[ নর ] কপতনভয়াং সৰ্ব্বৈরেব, কিন্তু মূলে লিখিত আছে [ নর ]ক পতনভয়াচ্চ সৰ্ব্বৈরেব । - - - - ২ । ৪১শ পঙক্তিতে মৈত্রেয় মহাশয় প্রথমে পাঠ করিয়াছিলেন, ‘দাঙ্গুয়োহমুপালনং।’ আষাঢ় মাসে শুদ্ধিপত্রে লিখিত আছে দানচ্ছে য়োমুপালনং। মূলে দেখিতে পাওয়া যায় ‘দানোচ্ছে মোহনুপালনং। ইহার শুদ্ধপাঠ ‘দানাচ্ছে য়োহমুপালনং। ৩। ১৬শ পঙক্তিতে মৈত্রেয় মহাশয় পাঠ করিয়াছেন, সকলমিদমুদাহৃতঞ্চ, কিন্তু মূলে আছে সকলমিদমুদাহৃতং চ'। স্বৰ্গীয় ডাঃ থিয়োডর ব্লক ও মহামহোপাধ্যায় শ্রযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নিকটে আমরা যখন অক্ষরতত্ত্ব শিক্ষা - -- - - - - --- - --