পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* やbrや SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAAA AAAASAASAASAASAASAAAS A SAS SSAS SSAS SSMMMSS S SS কাল পরিমিত হইত। এক দণ্ড সময়ে ৬০ পল জল পাত্রে প্রবেশ করিত। ৬০ পলে দণ্ড। নলাকার পাত্রের অধোদেশে ছিদ্র করিয়া জলে ভাসাইয়া পাত্র জলপূর্ণ করা হইত। ইহা হইতে, ৬. নালিকায় অহোরাত্র। নালিকা শব্দ উচ্চারণভেদে নাড়িক হয়। নাড়িকা ও নাড়ী এক । ৬. নাড়ীতে অহোরাত্র, ৬০ বিনাড়ীতে নাড়ী, ৬ প্রাণে (শ্বাসপ্রশ্বাস-কাল) বিনাড়ী। পূর্বকালে ৩৬০ দিনে বৎসর গণ্য হইত। নক্ষত্রচক্র ৩৬০ অংশে বিভক্ত হইয়াছিল। এক অংশে ৬ কলা । নক্ষত্রচক্রে ২১৬০০ কল। নক্ষত্ৰ-আহোরাত্রে ২১৬০০ প্রাণ। অতএব এক প্রাণ সময়ে ( ৪ সেকেণ্ড ) নক্ষত্রচক্রের এক কলা আবৰ্ত্তিত হয়। এই কালবিভাগে জ্যোতিষীগণের সুবিধা হইয়াছিল। অপর দিকে শ্বাসপ্রশ্বাসের কাল ৪ সেকেণ্ডও বটে । কোনকালে বা কতকালে এই-সব কালগণনা প্রচলিত হইয়াছিল, কে জানে। কিন্তু দেখা যাইতেছে, কালগণনার মূল প্রাকৃতিক। চন্দ্রস্থধের গতি যত দৃষ্ট ও পর্যালোচিত । হইতে থাকিল, প্রথম গৃহীত সহজ *সম্বন্ধে তত সংশয় জন্মিল। প্রকৃতির সহিত গণনা মিলাইবার চেষ্ট হইতে লাগিল ; কালমান স্বল্প হইল, কিন্তু পুরাতন নাম থাকিয়৷ গেল। দিন, মাল, বংলর নানাবিধ হইল, তিথি নক্ষত্রের অর্থ পরিবর্তিত হইয়া গেল। চন্দ্রস্বর্য ব্যতীত অন্য গ্রহের গতি পর্যালোচিত হইল। স্কুল হইতে সূক্ষ্ম গতি নিধারিত হইল, সহজ স্থবোধ্য পাঞ্জির স্থানে কৃত্রিম দুর্বোধ্য পাজি कलिऊ श्ल । বাস্তবিক, পঞ্জিতে জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস পাই, জ্যোতির্বিদ্যার প্রয়োগ পাই। একদিন সকলে একত্র বসিয় বারমাপে তের পার্বণ নির্দিষ্ট করেন নাই। শুভাশুভ দিনক্ষণ, বিধিনিষেধ একে একে বহুকালে জুটিয়াছে। এ দেশে যাহ। ছিল, তাহারই চাপে লোকে ব্যাকুল হইয়। পড়িয়াছিল। মম্বাদি শাস্ত্রকার, পুরাণকার নক্ষত্রহুচকের ( আজিকালির ফলগণক ) নিন্দ করিতে লাগিলেন । গ্রহাচার্ধ ব্রাহ্মণশ্রেণী হইতে পতিত হইলেন। যবনসম্পর্কে যবনজাতির শুভাশুভ বিশ্বাস আর্যসমাজে প্রবেশ করিল। মামুষের সম্পদ-বিপদ আছেই আছে, ভাগ্য জানিবার উংকট আকাঙ্ক্ষা আছে। বৃহস্পতির বারবেলা ভয়ঙ্কর, প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড শনিমঙ্গলবার অশুঠ, ইত্যাদি নানা বিশ্বাস লোকের মন সহজে অধিকার করিল। রবি-সোমাদি যে সপ্তবার গণিতেছি, তাহার মূল নৈসর্গিক নহে, ফল-জ্যোতিষে বিশ্বাস । অনুমান হয়, ইহা গ্রীকদিগের নিকট হইতে আসিয়াছে। গগ নামে অনেক জে তিষী ছিলেন। অনুমান হয়, এক গর্গ কালযবন (Chadeans ?)-দিগের বহু বিশ্বাস আমাদের প্রাচীন বিশ্বাসের ষোল আনাকে আঠার আনা করিয়া দিয়া গিয়াছেন। এখন হিন্দুর যাবতীয় কর্ম কঠিন লৌহনিগড়ে বদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। ইহার উপর, নূতন নূতন পঞ্জিকাকার পুরাতন পুর্থী ঘাটিয়া নূতন নূতন নিগড়ের প্রচলন করিতেছেন, বাঙ্গালীর জীবন দুৰ্বহ করিয়া তুলিতেছেন। যাত্রার শুভদিন পাওয়া কঠিন ; কিন্তু সে কথা চাকরি ও ব্যবসায় মানে না, রেলগাড়ী ও ষ্টীমার মানে না | পাজির গণিত ভাগেই এত নূতন জুটিতেছে যে পজিতে সে-সবের স্থান হওয়া কঠিন। সেকালে কেবল শকাব্দ বা কল্যহ্ম দিলে চলিত ; এখন বঙ্গাব্দ দিতে হইতেছে। পূর্বে মেষ-বৃযাদি সৌরমাস এবং বৈশাখাদি চান্দ্রমাস দিলে চলিত ; এখন বাঙ্গাল মাস, মুসলমানী মাস, ইংরেজী মাস দিতে হইতেছে। পূর্বে দিবামান, তিথিনক্ষত্র-যোগ, দণ্ডপলে দিলেই হইত এখন ঘন্টামিনিটেও লিপিতে হইতেছে । সূর্যোদয় সূর্যস্তকাল ঘণ্টমিনিটে জানাইতে হইতেছে, কালসমীকরণ যোগবিয়োগ করিয়া দিতে হইতেছে। পূর্বে এক-এক মাসের গ্রহসঞ্চার দিলেই হইত, কবে কোন নক্ষত্রে কোন গ্রহ যাইবে, তাহ জানাইলেই চলিত এখন প্রতিদিনের এহস্থান লিখিত হইতেছে। গ্রহস্থান গণনা অল্পশ্রমসাধ্য নহে। পৱিক-কার অকাতরে পরিশ্রম করিতেছেন, পঞ্জিকাপ্রকাশক বহু গণকের বহু স্মাতপণ্ডিতের বহু পরিশ্রমলব্ধ ফল দুই আনায় বিক্রয় করিয়া দেশে জ্যোতিষজ্ঞান প্রচার করিতেছেন। তথাপি আমরা সকলে তুষ্ট নই। কেহ কেহ পাজির পত্র গণিয়া প্রশংসা করেন, কেহ বা না পড়িয়া না বুঝিয়৷ করেন, কেহ বা পড়িয়া বুঝিয় নিন্দা করেন। পঞ্জিকায় কি থাকিবে কি না থাকিবে ; রেলভাড়া থাকিবে কি আদালতের ষ্টেপাথরচ থাকিবে; পূজার উপকরণের o ৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তালিকা থাকিবে কি দেবদেবীর ধ্যানও থাকিবে, ঔষধের নাম ও গুণ বর্ণিত থাকিবে কি মুদ্রত পুস্তকের দাম লেখা থাকিবে ; এ সবের কিছুই নিশ্চয় নাই। পঞ্জিক শব্দ এতকাল এক অর্থে ব্যবহৃত হইত। এখন পঞ্জিকার অর্থ পরিবর্তিত হইয়াছে, ইংরেজী calendar শব্দের অর্থ পাইতেছে। পরিক শব্দটাও নূতন । পুরাতন সংস্কৃত শব্দকোষে নাই। অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের হেমচন্দ্র কোষে পদ ভঞ্জিকা অর্থাং দুরূহু পদের ব্যাখ্যার নাম পঞ্জিকা । (নিরস্তর ব্যাখ্যার নাম টাকা )। পঞ্জি বা পত্নী শব্দও পুরাতন সংস্কৃত কোষে নাই। যখন সংস্কৃতে প্রথম প্রবেশ করে, তখন অর্থ হয় তুলার পাইজ। তাকুড়ে কিংব। চরকায় স্থত। কাটিতে তুলার পইজ লাগে। বোধ হয় সংস্কৃত পিপ্প হইতে এই পঞ্জির উৎপত্তি। পিয়ন অর্থে পেজ। নলে ওটাইয়া তুলার পাইজ করিতে হয়। ইহা হইতে, যে কাগজ গুটাইয়া 3tol &H (a roll of paper), তাহাও পঞ্জি । ইহা হইতে লম্বা কাগজ, হিসাবের বিবরণের কাগজ ও পঞ্জি হইয়াছে। পঞ্জিকার অর্থে লেখকজাতি, কায়স্থ ও করণজাতি। কুলপঞ্জি বা কুলজি গ্রন্থে কুলের বিবরণ থাকে। যাহাতে বর্ষের বিবরণ থাকে, তাহাও পঞ্জি বা পাজি। কিন্তু এদেশে কাগজ বহুকাল চলিত হয় নাই। পুর্থীর আকারে পাজি লেখা হইত, অদ্যপি অনেক স্থানে ( যেমন ওড়িশায় ) তালপাতে লেখা হয় । এ কারণ, কেহ কেহ মনে করেন, সংস্কৃত পঞ্চাঙ্গ শব্দের অপভ্রংশে পঞ্জিকা শব্দ। বার তিথি নক্ষত্ৰ যোগ করণ, এই পাচ যাহার অঙ্গ বা যে গ্রন্থে থাকে, তাহা পঞ্চাঙ্গ । কিন্তু পঞ্চাঙ্গ স্থানে পঞ্জিক শব্দ সহজে আসে না। জানি ন, সংস্কৃতে পঞ্চিক শব্দ ছিল কি না। বোধ হয়, ফাসী পঞ্জ (সংস্কৃত পঞ্চ) শঙ্ক লইয়া পৱিক শস্থ নূতন রচিত হইয়াছিল। আমার বক্তব্যের নিমিত্ত পঞ্জিকা বা পাজি শব্বের প্রাচীন পঞ্চাঙ্গ অর্থ গ্রহণ করিব। যে পুস্তকে বর্ষের গ্রহগণিত থাকে তাহাকে পঞ্জিকা বা পাজি বলিব । গ্রহগণিত অবলম্বন করিয়াই পাজির তিথি-নক্ষত্ৰ-মাস মাসের দিন প্রভৃতি গণিত হয়।" বারগণন। এরূপ নহে, কিন্তু ইহাকে এখুন বাদ দেওয়া চলে না । সিদ্ধান্তে গ্ৰহগতি বর্ণিত আছে। গ্ৰহগতি স্থপরিমেয় স্থবোধ হইলে নানা সিদ্ধাস্ত হইত না। বঙ্গে জ্যোতিষ-মানমন্দির SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS

  • 4 يوني

-o-o-o: যিনি যেমন মাপিন্ধছিলেন, গণিাছিলেন, বুঝিয়াছিলেন, তিনি তেমন সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন। আমাদের পাজির সিদ্ধান্ত স্বর্যসিদ্ধান্ত । এই নামের উৎপত্তি জানিয়া ফল নাই। এই স্বৰ্ধ আকাশের স্বর্য হইলে নামটা কাল্পনিক। তবে যদি স্বর্ধ-সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্ত মনে করি, তাহাতে আপত্তি হইতে পারে না। যাহাই হউক, দেখা যাইতেছে এই সিদ্ধাস্তের কত জানা নাই। কবে ইহার উৎপত্তি তাহাও জানা নাই। পণ্ডিতেরা বলেন, বর্তমান স্বৰ্য-সিদ্ধান্ত প্রাচীন নহে। একথা ঠিক, সে-কালে ইহার খ্যাতি বা প্রতিপত্তি এ-কালের তুল্য ছিল না। যদি থাকিত, যদি ইহা অভ্রান্ত গণ্য হইত, তাহা হইলে অন্য সিদ্ধাস্ত করা কাহারও সাধ্য হইত না। আর্যভট্ট, ব্রহ্মগুপ্ত, ভাস্করাচার্য এদেশের এক এক জ্যোতিষীরত্ব ছিলেন। কই, তাহারা স্বৰ্য-সিদ্ধান্তের উল্লেখ পর্যন্ত করেন নাই! ভাস্করাচার্য এক সৌরসিদ্ধাস্তের উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু তাহা বর্তমান-প্রচলিত স্বৰ্য-সিদ্ধাস্তে নাই। এক এক প্রদেশে স্বৰ্য-সিদ্ধান্ত লব্ধপ্রতিষ্ঠ হইয়াছিল। প্রায় আটশত বৎসর পূবে পুরীর শতানন্দ নামক জ্যোতিষী স্বৰ্য-সিদ্ধান্ত আশ্রয় করিয়া ভাস্বতী নামক করণগ্রন্থ করিয়াছিলেন। সিদ্ধান্ত ধরিয়া পাজিগণনায় বহু পরিশ্রম হয় । সিদ্ধান্ত মূল করিয়া পাজি গণনার উপযোগী সহজ স্বত্র ও atại xi tqą (tables) fra H4 ( Handbook) লিখিত হইয়াছিল। ভাস্বতী এইরূপ এক করণ। স্বশ্ব ফল অক্লেশে পাইবার নিমিত্ত শতানন্দ অন্ধ শতগুণ করিয়া' লইয়াছিলেন, আধুনিক দশমিক ভগ্নাংশ গণনার স্বত্রপাত করিয়াছিলেন। শত-সংখ্যায় তাহার আনন্দ হইত বলিয়া তিনি শতানন্দ নামে খ্যাত হইয়াছেন। অনেক কাল বঙ্গ ও উৎকলে ভাস্বতী পাজিগণনার একমাত্র করণ হইয়াছিল। এখনও উৎকলের স্থানবিশেষে ভাস্বতী অনুসারে পাজি গণিত হইতেছে। এইরূপ, প্রায় চারিশত বৎসর পূবে দক্ষিণদেশের গণেশদৈবজ্ঞ গ্রহলাঘব নামে এক অতিসহজ করণ লিখিয়াছিলেন। গ্রহলাঘব নাম হইতেই প্রকাশ যে স্বলঘুপ্রকারে গ্রহস্থান আনয়ন ইহার উদেশ্ব। বঙ্গদেশে গ্রহলাঘব চলিত হয় নাই। পশ্চিম দেশে ইহার সমধিক প্রচার আছে এবং অনেক পাজি এই করণ অনুসারে গণিত হইতেছে। তিনশত বৎসর পূবে বঙ্গদেশে রাঘবা