* | - - ৫ । ত্রিমূলনায়ক। বিভিন্ন প্রকারের। যদি রাজারাজড়াদের মূৰ্ত্তিগুলি ধৰ্ম্মান্তপ্রাণিত, তথাপি প্রতি মূর্তিটিতেই একটা বিভিন্নত আছে, প্রত্যেকটিতেই ভাবাভিব্যক্তির প্রথা সুন্দর এবং প্রত্যেকটিই ব্যক্তির জীবিতকালে প্রস্তুত বলিয়৷ বোধ হয় । ১,৫,৭,১১,১৩ ও ১৪ নং চিত্রকএকটি একটু ধীরভাবে লক্ষ্য করিলেই ইহা সত্যত উপলব্ধি হইবে। দক্ষিণাত্যের মূৰ্ত্তিশিল্পে আমরা ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যের একটা বিশেষ পরিচয় পাই। দাক্ষিণাত্যের শিল্পে আর-একটি বিশেষত্ব • দেখিতে পাওয়া যায় যে, যাহারা মন্দির বা মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ -ー・ヘヘヘヘー -マ ^* করেন, দেবদেবীর চরণতলে সেইসকল চঙ্গলপেট জেলার তিরুবৰ্ত্তীয়র স্থানে সিমাগরাজার মন্দিরে সুব্রহ্মণ্যমূৰ্ত্তির পদতলে প্রতিষ্ঠাতা ভক্তের মূৰ্ত্তিটি (৮নং চিত্র) ইহার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এইরূপে ভক্তর যে তাহানের নিজমূৰ্ত্তি সন্নিবেশে যত্বপরায়ণ হইয়াছিলেন তদার দাক্ষিগাত্যের মূৰ্ত্তিশিল্প উন্নতির পথে অগ্রসর হয়। আর একটি কারণেও শিল্পের উন্নতি হয়—সেটি দাতার মূৰ্ত্তিসম্বলিত দানকাহিনীর শিলালেখ । প্রসিদ্ধ তীর্থ ধন্য হইয়। যাইবে । সহিত দাতার মূৰ্ত্তিও খোদাই করা হয়। ইহার দৃষ্টান্ত বৃন্দাবনের শাহাজীর মন্দিরে ও দক্ষিণাত্যের বহু মন্দিরে দেখিতে পাওয়া যায় । ত্রিবন্দরমের পদ্মনাভের মন্দিরের মেঝে হইতে এইরূপ একটি শিলাপটে খোদাই-কর। চিত্র ও লেখার ছবি দেওয়া হইল (৯ নং চিত্র ) । শিলালেখটির নিকটে একটি মূৰ্ত্তিও অঙ্কিত রহিয়াছে। আরকট হইতে পাচ মাইল দক্ষিণে ত্রিকল্পমালইএও এইরূপ আর-একটি মূৰ্ত্তিসমন্বিত শিলালেথের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। - এইরূপে শিল্পে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা মন্দিরে দীপদান দ্বারাও হইয়াছে। দুই প্রকারের দীপদান করা হইত। এক আরতির জন্য, অপর সারারাত্রি দেবসমক্ষে আপনি পুড়িয়া পুড়িয়া দাতার অচলাভক্তির পরিচয় প্রদানের জন্য । সময় সময় দীপের স্বতের জন্য প্রকাও প্রকাণ্ড একদল গাভীও দান করা হইত। কোনও নারীমূৰ্ত্তি কর। ধ্যানপরায়ণ ভক্তের মূৰ্ত্তিটি অতি থাকে। স্থানের মন্দির-প্রাঙ্গণে যেসমস্ত পাথরের - পাটাতন পাতা থাকে, তাহ যাহার দান । সে তাহতে নিজের নাম ধাম খোদাই । করাইয় দেয় ; উদেশ্ব বহু তীর্থযাত্রী- ভক্তের পদরজ মাখিয় তাহাদের নাম স্থানে স্থানে লেখার । [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ১ম সংখ্যা ] ৬ । বিজয়লিঙ্গ চোক্কলিঙ্গ । এই দীপাধারগুলি ধরিয়া রাপিত এবং মূৰ্ত্তিটি দাতার প্রতিনিধির কাৰ্য্য করিত ( ১০ নং চিত্র ) । এই সমস্ত দীপগুলিতেও চমৎকার সুন্দর কারুকৌশল যথেষ্ট দেখা যায়। দক্ষিণাত্যের মূৰ্ত্তিশিল্পের পরিচয় দিতে গিয়া শৈবঋষি, বৈষ্ণব আলোয়ার প্রভৃতির কথা না বলিলে ইং সসম্পূর্ণ রহিয়া যায়। ঋষি ও আলোয়ারগণের মৃত্যুর বই পরে তাহদের মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হয়। তাঞ্জোর জেলার কোদি-কড়াই স্থানের শিবমন্দিরে কালগ মহৰ্ষির একটি পিত্তল-মূৰ্ত্তি ( ১১নং চিত্র ) পাওয়া গিয়াছে। এই মূৰ্ত্তিটিতে ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্রোর বেশ একটা পরিচয় পাওয়া যায়। c উত্তর আরকট জেলার উত্তর তরুমলাই পৰ্ব্বতের শনিবাস-মন্দিরে অতি উংকৃষ্ট কতকগুলি মূৰ্ত্তিশিল্পের পরিচয় পাওয়া যায়। ইহার মধ্যে অচ্যুতরায় ও তাহার br দক্ষিণাত্যের মূর্তিশিল্প (이 . . . . . . . . . . . ヘヘヘヘ*。 --- ৭ । আযানাগ । পত্নীর মূৰ্ত্তিটি অতি মনোরম ( ১২ নং চিত্র )। প্রবেশপথের উপরে বেঙ্কটপতিরায়ের মূৰ্ত্তি দাক্ষিণাত্যের মূৰ্ত্তিশিল্পগরিমার একটি শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। শুধু এই মূৰ্ত্তিটি দেখিলেই সহজেই উপলব্ধি হইবে যে দক্ষিণাতো মূৰ্ত্তিশিল্প কতদূর উন্নতিলাভ করিয়াছিল। পিতাবিবির পিত্তল-মূৰ্ত্তিটি ১৪ নং চিত্র । খুব স্বভাবাহুগত ও তাহাতে আড়ষ্ট ভাব নাই বলিলেও চলে। রাজা ও দাতাদের দেখাদেখি অপর লোকেরাও স্ব স্ব মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিতে যত্নবান হয়েন। কালক্রমে ইহ সকল সমাজের মধ্যে বিস্তৃত হইয়া পড়ে। উদাহরণস্বরূপ মাদুরার মনাক্ষি মন্দিরস্থিত মুদারম আয়ার ও তৎপত্নীর মূৰ্ত্তির উল্লেখ করা যাইতে পারে। মুদারম আয়ার কর্তৃক মীনাক্ষি মন্দির তিনশতাব্দী পূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত হয়। নায়কের দরবারগুহে মহারাষ্ট্র রাজা