পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SMMMSSMMMMSMMMMMM বলিতেন পণ্ডিত পণ্ডিত করে আমায় যে মূখ করে তুলছ —” - পাড়ার সকলে এই সদানন্দ মহাশয় বুদ্ধকে "দাদাজী” বলিয়া ডাকিত, তাই আলুও দাম্বাঙ্গী বলিতে আমস্ত করিল। ( ו צ') নিরন্তর লেখাপড়ার পরিশ্রমের অবসাদে প্রতিবাসীগণের ফরমাস খাটিয়া গল্পবাঙ্গ যুবকদের সহিত ব্যায়ামের ব্যৰ্থচেষ্টা করিয়া, আলু নির্জন মাঠে বা ও পপুষ্ঠে দুটাছুটি লাফালাফি দ্বারা প্রান্তি অপনোদন করিত। বুদ্ধ দাদাঞ্জী অনেক সাহায্য করিতেছেন, কিন্তু নিজের খাওয়াপরার খরচটা নিজেকে সংগ্ৰহ করিয়া লইতে হইবে বৈকি। আধু দাদাজীর অজ্ঞাতে কাছাকাছি একট চাকুরীর যোগাড় ८गथिएउ भtsहे श्हेल । সেদিন বিকালবেলা যথন দাদাঙ্গীর কাছে পাড়ার একটি দরিদ্র বিধবার পুত্র স্থলে প্রমোশন পাওয়ার সংবাদ সহ তাহার পাঠ্য পুস্তকগুলি কিনিয়া দিলার জন্য ছলছল নেত্রে অনুনয় করিতে ছল, তখন নিকটস্থ আব্দুর চিত্ত অকস্মাং কেমন বিকল হইয়া উঠিল। নিজের মধ্যে অক্ষম দৌৰ্ব্বল্য অনুভব করিয়া সে সম্রস্ত হইয় উঠিল । চারিদিকে এত দারিদ্র্য, এমন অসহ অভাব,—আর সে পরিশ্রমী উপার্জনক্ষম হইয়াও এই বলিষ্ঠ দেহকে, যুগ জ্ঞানচর্চায় অযথ। আবন্ধ রাপিয়া, একি আত্মবাসনার পূজা করিতে বসিয়াছে। ন ন উপাৰ্ছন চাই, উপার্জন চাই, চারিদিকের এত দরিদ্রতার মধ্যে সে যদি আপনার পরিশ্রমকে বিক্রয় করিয়া একটি কপদক সংগ্ৰহ করিতে পারে--নিজের বক্ষের রক্ত খরচ করিয়। একজন ক্ষুধিতের ক্ষুধা মুহূর্তের জন্য শাস্ত করিতে পারে, তাহ হইলে যথেষ্ট, —তাহাই ঢের !—ন, সে আপনার কৰ্ত্তব্য প্রাণপণে পালন করিবুে। ভগবান তাহার সকল বন্ধন সকল দিক হইতে ছেদন করিয়া তাহাকে সকলের জন্য বিশ্বে ছাড়িয়া দিয়াছেন। নিজের কৌতূহলকে কেন্দ্র করিয়৷ অনির্দিষ্ট ভাবে পৃথিবীর বক্ষে খেলা করিয়৷ বেড়াইলে চলিবে না, গটিতে হইবে,-ধটিতে হইবে, চতুৰ্দ্দিকে অসংখ সাহায্যপ্রার্থ তাহার কৰ্ম্মঠ হস্ত দুইটং কাছে কিছু না-কিছু প্রার্থন প্রবাসী-আশ্বিন ১৩২২ ~~ ഹു~ করিতেছেই করিতেছে। সে কি স্বভাবের দাবী হইতে আপনাকে স্বতন্ত্র বড় করিয় গড়িতে বসিয়াছে !- চুলোয় যাউক তাহার ক্ষুদ্র আগ্রহ - সে আপনাকে পরের জন্য ছাড়িয়া পরের করিয়া পরের জন্য সৰ্ব্বস্ব বিলাইয়া নিজের নীচত্বের শুদ্ধি সংস্কার করিয়া লইবে । আন্দু অকস্মাং সবেগে উঠিয়া বাহিরে চলিয়া গেল। রাস্তার ধারে একটি বড়লোকের বাড়ীর দাসী-পুত্র ছয় বংসর বয়স্ক বালক কোথা হইতে একমুঠ কিসমিস সংগ্ৰহ করিয়া থাইতে গাইতে মাসিতেছিল ; দৈবক্রমে ছাঁচট খাওয়াতে রাস্তার পাশে থাদের মধ্যে কিসমিসগুলি ছড়াই৷ পড়িয়া গেল। বালকটি আকুল ক্ৰন্দনে অধীর হইয়। উঠিল। ঠিক সেই সময় আন্দু ও সেখানে আসিয়া পড়িল । অন্য সময় হইলে সে হয়ত অন্য খাদ্যে বালকের ক্ষোভ দূর করিত, কিন্তু আজ সে নিজেই ক্ষুব্ধ । কাজেই বালককে আশ্বাস দিয়া তৎক্ষণাং সেই আবক্ষ গভীর, জঞ্জালকণ্টক কীর্ণ পাদে অবতরণ করিয়া সম্বত্বে বালকের কিসমিস কটি খুটিয়া খুটিয়া কুড়াইয়। দিল। বালক খুলী হইয়া চক্ষু মুছি কিসমিস্ ধুইয়া লইতে ছুটিল । আন্দু ঘাটে গিয়া হাত পা ধুইয়। উঠিতেছে, এমন সময় হাজ হাত-পায়ে চুন স্বরকি মাখিয় রাজমিস্ত্রীর দল হাতপ। ধূইতে ঘাটে নামিল। দলে ছাপ্পায় বংসরের বুদ্ধ হইতে তের চেীদ বংসরের বালক অবধি সকল বয়সের লোকই . ছিল । তাহদের দিকে চাহিয়া চাহিয়া আন্দু ভাবিল - ইহার। সকলেই কাজের লোক ; কিন্তু সে ? একেবারে - দলের মধ্য হইতে একটি বলিষ্ঠকায় যুব, আব্দুর বলিষ্ঠ . পেশাপূর্ণ গোরস্বন্দর দেহটির পানে ঘন ঘন যুদ্ধ নয়নে চাহিতেছিল। তাহার চাহনি দেখিয়৷ আন্দু অত্যন্ত ব। তার সহিত তাহার সহিত আলাপ করিয়া ফেলিল । যুবাটির নাম মহম্মদ খ। বয়সে নবীন হইলেও সেই লোকটাই দলের সদর । আন্দু তাহার কঠিন হস্তটা দুই হাতে মুঠাই। ধরিয়া অভ্যস্ত আবেগের সহিত নিজের বক্ষের কাছে টানিয়া ধরিল, মনে মনে ভাবিল, ইহারই জোরে লোকটা ঐ ছাপ্পার বৎসরের বুদ্ধের উপর ক্ষমতা [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড - } ৬ষ্ঠ সংখ্যা ) । SAMM MMMM MMSMMSMSMM চালনার অধিকার পাইয়াছে —আর সে ?—তাহাকেও তে। ভগবান পৰ্য্যাপ্ত ক্ষমত দিয়া জগতে পঠাইয়াছেন, তবে সে কি দুঃখে এমন অপৰ্য্যাপ্ত অক্ষমতার মধ্যে ডুব দিয়া সকলকে ফঁাকি দিয়া নিজেও ফঁাকে পড়িতেছে। দলের অপর সকলে ঘপন হাশুপরিহাসে পরম্পরের ফটি উল্লেখে পরস্পরকে বিদ্রুপ করিতেছিল, তখন সৰ্দ্দারের সহিত আন্দু ঠিকান বদল করিদ্ধ। মালাপপরিচয় পাক পাকি করিদ্ধা তাহার কাছে বিদায় লইয়া বেড়াইতে বাহির হইল। বৃষ্টি রাত পৃথিবীর উপর তীব্রোজ্জল স্বৰ্য্যালোক ৭েমন গভীর আবেগ হাসিতে থাকে, আব্দুর চিত্তটা ৪ তেমনি এই সামান্ত লোকটার সামান্ত পরিচয়ে তৃপ্ত আশাস্থিত হইয়া উঠিল। হুঙ্ক আঘাতে তাহার মন যেমন গভীরভাবে আহত হইত-স্বল্প আশ্বাসেও তেমনি পরিপূর্ণ রূপে উদ্ধপ্ত হইয়া উঠিত। - সেখান হইতে আসিয়া নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে এমনি দ্রুতপদে পখাতিবাহন করিয়া চলিল, যেন কি বিশেষ প্রয়োজন আছে, কতদূরে যে আসিয়া পড়িল ঠিক নাই। দুহাতের আঙ্গুল পরস্পর সংলগ্ন করিয়া সবেগে ঘলিতে দিতে রাস্তার মোড়ের প্রান্তে এক বাগিচার কাছে আসিয়া থমকিয় দাড়াইল। ঠিক রাস্তার কোণেই একটি নারিকেলগাছের তলায় কয়েকজন বলিষ্ঠাকৃতি ইতর শ্রেণীর লাক কি কথা লইয়া তর্কবিতর্ক করতেছিল। লxাগোছের লোকট। দা দিয়া নারিকেল গাছের গায়ে শ্লাক কাটিতে কাটিতে মাথা নাড়িয়া বলিতেছে, "সো হাম নেহি সেকেঙ্গে। হুহয় উঠ।" সকলের চেয়ে মুচুম্বা প্রতিবাদ করিয়া জানাইল সে কথনে গাছে উঠে নাই, এবং গোয়ারভূমি করিয়া গাছে উঠিয়া জীবনট নষ্ট করিতে সে নারাজ। তৃতীয় ব্যক্তি একটু বদ্ধিষ্ণু গোছের চেহারার লোক, কাজেই গম্ভীর বদনে তাহাদের ফুট। কাঞ্জিয়৷ বাদ দি গাছে উঠিতে আদেশ দিল । ঝুটা কাজিয়ার অপবাদে লম্বাকৃতি লোকট। চটিয়া বলিল, উপদেশ রাখিয় সে ব্যক্তি যদি সদৃষ্টাস্তের দ্বার শিক্ষা দেয় তাহ হইলেই গাছে উঠা-ব্যাপারটা তাহাদের বিশেষরূপে বোধগম্য হইবে। কৌতুহলী আন্দু অগ্রসর হইয়া বলিল “কা হুয়া জীY" সেখ আন্দু


ԳԾն : ാ তাহারা গাছে উঠিয়া ডাব পাড়িবার সামর্থ্যাভাৰ সবিশেষ নিবেদন করিলে, আন্দু তৎক্ষণাং মালকোচ। মারিয়া হাটুর কাপড় গুটাইয়া, নিজেই গাছে উঠিতে উদ্যত হইল। দৃঢ়বদ্ধ কটিবশ্বে দা আটুকাইয়া, লোকগুলার সন্দেহ ও বিস্ময় অবজ্ঞা করিয়া, স্বদক্ষ আরোহীর মত অক্লেশে গাছে উঠিয়া পড়িল। অর্থের অভাব, সংস্কৃত ব্যাকরণের কুংতদ্ধিত, অধিক কি সদ্যপরিচিত রাজমিীটির কথা অবধি, কিছুই আর মনে রছিল না, তড়তড় করিয়া সে গাছের মাথায় উপস্থিত হইল। এসব দেশে নারিকেল-গাছ দুষ্প্রাপ্য। বাগিচাস্বামী বিশেষ সখ করিয়াই এই গাছকটি আনাইম। এখানে রোপণ করিয়াছেন, এসব দেশের লোক কাজেই নারিকেল গাছের তত্ব সবিশেষ অবগত নহে। আন্দুও অভিজ্ঞ নহে, একথা অবশ্য আমরা স্বীকার করিতে বাধা, তবে সে কলিকাতায় থাকিবার সময় মাঝে মাঝে নিকটস্থ পল্লীঅঞ্চলে বেড়াইতে গিয়া, এইসব উদ্ভিদতত্ত্ব স্বচক্ষে কিছু কিছু দেখিয়াছিল মাত্র। আজ সেই বিশ্বতপ্রায় পতি, অভাবের ক্ষেণে, সাহসের ঠেলায় সঙ্গীর হইয়া, তাহার কাৰ্য্যোদ্ধারের সহায়তা করিল। বালদোর উপর ভর রাশিয়া দায়ের সজোর আঘাতে ডাব কাটিয়া, ঝুপ ঝাপ করিয়া আন্দু ফেলিয়া দিতে লাগিল । চাকর তিনটি কুড়াই। লইয়া, বাগিচার ওদিকে প্রভূর বাটীর অন্তঃপুরে পৌছাই দিয়া আসিতে লাগিল । যথেষ্ট ডাব পাড়া হইলে, আন্দু দা ফেলিয়া গাছ হইতে নামিবার উপক্ৰম করিতেছে, এমন সময় দূরে, হঠাৎ ভয়ানক কলরব উঠিল। আলু গাছের উপর হইতেই তীক্ষদৃষ্টি যথাসাধ্য বিক্ষরিত করিয়া চাহিয়া দেখিল, দূরবর্তী রাস্তার দিকে কোলাহল । ওদিকের রাস্ত হইতে লোকগুল যে যেদিকে পারিতেছে পলায়ন করিতেছে, সকলেরই ভয়-- ব্যাকুলিত উদ্ধশ্বাসের প্রবলবিক্রমলাঞ্ছিত মুষ্টি ! ক্ষণপরেই দেখিতে পাওয়া গেল, এক প্রকাও শাদ। ধবধবে অশ্ব রাশ ছিড়িয়া আরোহীপৃষ্ঠে উন্মত্ত বেগে চুটিয়া আসি তেছে। পিছনে দশ বারো জন বলবান (7 ಶ್ಲ করিয়া ঘোড়াটাকে অধিকতর "ক্ষিপ্ত করিয়া চুটির