পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७* পল্লীশিক্ষার উন্নতি চিন্ত - পল্লীর অধিবাসীগণকে নানাপ্রকার রোগে যেমন ধ্বংসের পথে লইয়। যাইতেছে, শিক্ষার অভাবেও তাহদের সর্বস্ব ধীরে ধীরে লোপ পাইতেছে। এক কথায় এই শিক্ষার অভাবই তাহদের অধঃপাতের একমাত্র কারণ। আমাদের অনেক গিয়াছে যাইতেও বদিয়াছে। গ্রামের অবৈতনিক শিক্ষার স্থান "টেলগুলি" ক্রমে ক্রমে উঠয়। যাইতেছে। প্রাচীন গুরুগৃহই বৰ্ত্তমানে টােলের আকার ধারণ করিয়াছে । গুরুগৃহের সন্তান্ত শিক্ষাউন্টয়া গিয়াছে আছে কেবল জ্ঞানদানের ক্ষীণ বাদনাটুকু। গুরুগৃহের দ্বার ব্রাহ্ম ক্ষত্ৰিয় বৈষ্ঠ তিনবর্ণের জন্ত সৰ্ব্বদাই উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু বৃৰ্ত্তমান টােলগুলি অনেকদিন যাবৎ কেবল ব্রাহ্ম ছাত্রদের দ্বারাই পূর্ণ রহিয়াছে। পূর্ণের চেয়ে টােলের সংখ্য অনেক কম হইয়াছে । সম্ভবতঃ ইহার প্রধান কারণ অন্নসংস্থানের अष्टाद। वर्डप्राननमग्न निग:भ:ज cषभाथ श्ञवश.८११ যাইতেছে, তাহাতে টেলের শিক্ষ, শিক্ষাপ্রস্টারের পক্ষে উপযুক্ত হইবে বলিয়া আশা করি। পল্লীতে এবম্বিধ অবৈতনিক শিক্ষাই যথেষ্ট উপকার। যদি প্রাথমিক শিক্ষার দ্বারাও পল্লীর শিক্ষাপ্রচার অবৈতনিক হইয় টেলের ভিতর দিয়া প্রবাহিত হয়, তাহ হইলে অতি অল্প সময়ে আমাদের সাধারণ শিকঃবিভাগ উন্নত হইবে। টোলের শিক্ষা বহুমুখী হইলে স্থনতিসূত্র ভবিষ্যতে মুফল পাওয়া যাইবে। অনেক পিতা পুত্রদিগকে ইংরেজীস্কুলে পড়িতে দিয়া অবশেষে চারিদিকের ব্যয়বৃদ্ধি হেতু পড়াইতে - অক্ষম হইয় পড়েন। কাজেই ছাত্রগণ উচ্চ শিক্ষা হইতে বঞ্চিত হইয়া জীবনকে ভারবোধ করিতে থাকে। টোলের শিক্ষাপ্রণালী বহুকাল যাবং এক নিয়মে চলিয়া আদিতেছে। যাহার দর্শন ヘメーヘ/ヘヘヘヘヘヘヘヘー・ベ | পড়েন না। খুব কম aं &न्॥ १॥ १ाश्ानि। ६ं ङिनचाि विषं কৃতী হইয়াছেন। বর্তমান সুমরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত সমাজের সঙ্গে চলিতে হইলে অনেক দিক আয়ত্ত করা দরকার। বিভিন্ন দেশীয় জ্ঞানের মাত্র ধরিতে ন পরিলে নিজের পূর্ণতালাভ অসম্ভব। অভিজ্ঞতার তুলনায় দেখা যায়, ইংরেজীশিক্ষা ও টােলে শিক্ষার্থদের মধ্যে একটা বড় রকমের পার্থক্য রহিয়াছে। ইংরেজী স্কুলের ছাত্রগণ দেশের সকল আন্দোলনের সংবাদ জানিতে পায়। টোলের ছাত্রগণ পরের উপর নির্ভর করিতেছে। ২৩টি টোল ব্যতীত বিখ্যাত ও मूलादान अधूनमू९ খুব কম টোলেই আছে। অধিকাংশ লেকেরই জ্ঞান সীমাবদ্ধ থাকিয় যায় এবং ইহাই তাহরে সংসার-জীবনের একমাত্র অবলম্বন। যে প্রণালীতে টোলে শিক্ষা দিবার কল্পনা চলিতেছে তাছ প্রচলিত হইলে টােলের শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ হইবে। বৰ্ত্তমান সময়ে ইংরেজী বিশ্ববিদ্যালয়েও ভূগোল শিক্ষা দেওয়া একপ্রকার বন্ধ হওয়ার মধ্যে । শিক্ষার দ্রুত উন্নতি দেখিতে হইলে, অধ্যাপকদিগকে সাংসারিক চিন্ত৷ হইতে দূরে রাখা দরকার। অধ্যাপক ও ছাত্রদিগের ব্যয়ভার গ্রামের শিক্ষিত লোকদিগের উপর নির্ভর করিতেছে । টেলের পণ্ডিতগণের পারিবারিক ভাষা বাঙ্গলাকে সন্মানের চক্ষে দেখা উচিত। বৈঙ্গেশিক ভাষার গ্রন্থ অনুবাদ দ্বারা যেমন জাতীয় সাহিত্য পুষ্টিলাভ করে, তেমনি নিজদেশের প্রাচীন জ্ঞানের থমি হইতে অপরিচিত রত্নসমূহ সাধারণের নিকট উপস্থিত কর। কৰ্ত্তব। মৌলিক ও অমুবাদগ্রন্থ বাঙ্গালীয় প্রকাশিত হইয়৷ বিক্রয় হইলে, টোলের একটা নির্দিষ্ট আয়ের পথ হইবে। ছাত্রগণেরও শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অধ্যাপকদিগকে সহায়তা করা উচিত। দুই দিকেই লাভ হইবে। বৰ্ত্তমান সময়ে টেলের ছাত্রগণ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়াই ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করিতেছেন। ইহাতে বেশ বোঝা যায়, তাহার নানা বিষয়ের শিক্ষার জন্য বাগ্র । (१श्%, छल्न ) w શ્રેનિtના નિફાત્રી નહીં । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ s-م.م. --- ہمیs-بر. -..۔ পড়েন স্টার কাবা পড়েন না, হাৱা স্থায় পড়েন । তি o t [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড, ۔ مہمہمہ .مہمرہ- برہمبر へヘヘヘヘヘヘヘ * م - ما - ہ.. - مرہ-یہ-آر.سی..............., ভামেরিকার কথা লোহিতাঙ্গ ইণ্ডিয়ান । সাত সাত বৎসরের পর হার্ভার্ডের অধ্যাপকের একবর্ষব্যাপী বিদায় পাইয়া থাকেন। এইরূপ এক ছুটিতে নৃতত্বের অধ্যাপক ডিক্সন ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন । কাশ্মীরের পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশ, হিমাচল, পঞ্চনদ, আসাম ইত্যাদি স্থান পৰ্যটন করিয়া দেশে ফিরেন। কলিকাতা মিউজিয়ামের মারাঠা পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত গুপ্তে মহাশয়ের সঙ্গে ইহার আলাপ হইয়াছিল। ইনি বলিলেন—“আমি আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের প্রাচীন ও বর্তমান নরসমাজ সম্বন্ধেই বিশ্বেষ ভাবে আলোচনা করিতাম । ক্রমশঃ ভাবিলাম বোধ হয় যে প্রশাস্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে আমার সমস্তাসমূহের আনুষঙ্গিক তথ্য কিছু কিছু পাওয়া যাইবে। এই বুঝিয় ফিলিপাইন স্বমাত্রা অষ্ট্রেলিয়৷ ইত্যাদি দেশ পর্য্যস্ত পৌছিলাম। ক্রমশঃ দেখিলাম আমার অনুসন্ধানের ক্ষেত্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহেও বিস্তার করিতে হইবে। এই স্বত্রে আমার ভারত ভ্রমণ। আবার যাইব আশা আছে।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—“হার্ভার্ডে শরীরতত্ত্বের দিক হইতে নৃষ্ঠত্বের আলোচনা কতদিন হইল স্বরু হইয়াছে ?” ইনি বলিলেন—“এ সম্বন্ধে আমরা এখনও অতি शैन অবস্থায় রহিয়াছি। চিকিৎসাবিভাগের কোন কোন ছাত্র এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করিতেছে। একজন অধ্যাপকও আছেন। কিন্তু মোটের উপর বলা যাইতে পারে যে এখনও আমর Anthropometry বা নৃতত্ত্বে বিশেষ কিছু করি নাই। বস্তুত যুক্তরাষ্টে অধ্যাপক বোয়াজ, ব্যতীত আর কোন পণ্ডিত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন না বলিলেই চলে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন আছেন । এই বিষয়ের আলোচনা অক্সফোর্ডে কিছু - किहू इङ्ग्रेग्न थाप्क। अङ्कड 4°" জাৰ্ম্মানিই এই বিদ্যার কেন্দ্র। পারিতেওঁ এই আলোচনা প্রসার লাভ করিতেছে । আমেরিকায় আমর প্রাচীন ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব ( archaeology ) সম্বন্ধেই বিশেষ नृ४ि দিয়াছি । আমাদের নৃতত্ত্ববিভাগ ঐতিহাসিক বিবরণেরই এক অধ্যায়। আমরা শরীরতত্ব অথবা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের | | . 一、ヘヘヘヘヘヘーへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘー দিক হইতে মানবজাতির পরিচয় লইতে এখনও সবিশেষ চেষ্টা করি নাই—সমাজতত্ত্বের এক শাখা-স্বরূপ নৃতত্ত্বের আলোচনা চালাইয়া থাকি।” i আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—“সৰ্ব্বত্রই দেখিতেছি— নৃতত্ত্ববিদের প্রাচীন মানবের অথবা বৰ্ত্তমান যুগের “অসভ্য" ও অৰ্দ্ধসভ্য জাতিপুঞ্জের তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত। দুনিয়ার অলিগলিতে আজকাল নৃতত্ত্বাভিযান পাঠান হইতেছে। যাহাদিগকে সভা বলা হয় সেই সকল জাতির মধ্যযুগ অথবা প্রাচীন যুগের আলোচনা নৃতত্ত্ববিদেরা করেন না কেন ? বিশেষতঃ উনবিংশ শতাব্দীর পূর্ব পৰ্য্যন্ত ইউরোপের সভ্য মানব এবং এশিয়ার সভ্য মানব প্রাচীন গ্রীস, প্রাচীন ক্রীট,প্রাচীন মিশর, প্রাচীন চীন, প্রাচীন এসিরিয়া, এবং এমন কি প্রাচীন লোহিতাঙ্গ ইণ্ডিয়ান এবং বহু বৰ্ত্তমান “অসভ্য” ও “অৰ্দ্ধসভ্য” সমাজেরই অনেকট সমান ছিল না কি ? বাপশক্তির প্রয়োগে বিগত একশত বৎসরে যত পরিবর্তন হইয়াছে বোধ হয় প্রাচীনতম ফারাও সম্রাটের আমল হইতে চতুর্দশ লুইয়ের যুগ পৰ্য্যন্ত ৮০০ বৎসরের ভিতর তত পরিবর্তন হয় নাই। কাজেই নৃতত্ত্ববিদগণ অসভ্য, অৰ্দ্ধসভ্য, প্রাচীন বা আদিম মানব বলিলে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পৰ্য্যস্ত সমগ্র জগতের নরনারীকে বুঝেন না কেন ?" ডিক্সন বলিলেন—“ঠিক কথা। এখন পৰ্য্যন্ত ইতিহাস ७ नृउरु-4श् छ्श् दिनTांद्र नकि शशिउ श्य नाशे । ইতিহাস-বিদ্য৷ তথাকথিত সভ্য জাতিগুলির আলোচনা করিতেছে। নৃতত্ব প্রাচীন, আদিম এবং নূতন নূতন জাতির বিবরণ দিতেছে । নৃতত্ত্বের তথ্যগুলি ক্রমশ: ইতিহাসবিদ্যার মশল বা উপকরণে পরিণত হইতেছে। কিন্তু কালে বোধ হয় ৫০ বৎসর পরে নৃতত্ব ও ইতিহাসে কোন প্রভেদ থাকিবে না। "বৰ্ত্তমানে আরও কিছুকাল পর্য্যন্ত নৃতত্ত্ববিদগণের স্বতন্ত্র দায়িত্ব রহিয়াছে। প্রাচীন মানব, আদিম মানব অথবা অসভ্য মানব জগতে আর থাকিবে না। আধুনিক সভ্যতা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই-সকল জাতির বিশেষত্ব শীঘ্রই লুপ্ত হইয়। যাইবে । বিভিন্ন সভ্য ও অৰ্দ্ধসভ্য নরনারীর সঙ্গে এই সমুদয় আদিম মানবের রক্ত সংমিশ্রণও ঘটতে আমেরিকার কথা - - १७० । । AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS থাকিবে । কাজেই এক্ষণে নৃতত্ত্ববিদের অন্যান্য সকল । বিভাগ ছাড়িয়া দুনিয়ার বনজঙ্গলে অলিগলিতে এবং - - " ' " " . কোণে ঘোচে প্রবেশ করিতেছেন। এই ধরণের তথ্য - ভবিষ্যতে আর পাওয়া যাইবে না।” ੰ - - - - - ~ : - কলম্বিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ব বিভাগ প্রাচীন । মেক্সিকোর র্যাজটেক সভ্যতার পুরাতত্ব -- করিতেছেন। ইয়েল বিশ্ব नृउसूविडांश्न পেরুর - প্রাচীন সভ্যতা সম্বন্ধে গবেষণা করিবার জন্য একজন - - --- ধনবানের অর্থসাহায্য পাইয়াছেন। এই ব্যক্তি বৎসরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করিতেছেন। হার্ভার্ডের । কৰ্ত্তার মধ্য-আমেরিক অর্থাং ইউকুটান, হণ্ডুরাস ইত্যাদি জনপদের ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্ৰহ করিতেছেন। - আমি জিজ্ঞাসা করিলাম—”এই তিন জনপদের প্রাচীন সভ্যতায় কোনরূপ আদান প্রদান ছিল কি? আমেরিকায় । যখন ইউরোপীয়ের বসতি স্থাপন করিতে আসে তখন ত এখানে লোহিতাঙ্গ ইণ্ডিয়ান বাস করিত। এই-সকল - - ইণ্ডিয়ানের কি প্রাচীন মেক্সিকো, পেরু ও হণ্ডুরাসের নরনারীগণের উত্তরাধিকারী ?” । ডিক্সন বলিলেন—“মহাশয়, এই-সকল প্রশ্নের উত্তর । দেওয়া বড়ই কঠিন। মেক্সিকোর সঙ্গে `े । বিনিময় ও আদান প্রদান বোধ হয় চলিত। দুই অঞ্চলের । পঞ্জিকা, দিনগণনা, কালনিরূপণ-প্রথা ইত্যাদি একরূপ। কিন্তু পেরুর সঙ্গে ইহাদের কোনটির সম্বন্ধ ছিল কিনা আন্দাজ করিবার উপায় নাই। বিশেষত এখন পর্যন্ত । এই তিন জনপদের প্রাচীন সভ্যতার কাল নিরূপিত হয় । ידי নাই। কেহ বলিতেছেন- এই-সকল স্থানে খৃষ্টপূৰ্ব্ব দশম শতাব্দীতে মানব-সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত ছিল। কেহ । - - - বলিতেছেন খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে এখানে সভ্যতা । - ছিলই না। বলা বাহুল্য এইসকল সমস্তার মীমাংসা । হইবে না।” । - লোহিতাঙ্গ ইণ্ডিয়ানের প্রাচীন যাজটেক इंजानि জাতিপুঞ্জের বংশধর কিনা তাহা বলা কঠিন। লোহিতাঙ্গদিগের সমাজে কোন সাহিত্য গড়িয়া উঠে নাই। ইহাৱা গান করিত, ছবি আঁকিত, কিন্তু লিপিগ্রণালী অথবা বর্ণমাল| উদ্ভাবন করিতে শিখে নাই। ইহাদের ধৰ্ম্ম -