পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F- . . . . . . . . . - - - -- ਾਂ - প্রবালী—আশ্বিন, ১৩২২ y জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কার av». ዳbb” | SAMMMMMM MMSMS SMSM SMS SMSSSS AM MM MSMSMS SMSMMSMMSMSMS - | - -o-o-o-o-o: হাত-পা আড়ষ্ট হইয়া যায়, তাহাকে জোর করিয়া কিছুদিন SMMMMSMSMSMSJJJSJJSJSSJJSJSJJMSMMMSMMMMMMMMMS - লজ্জাবতী-লতার স্বায়ু সেকেণ্ডে চৌদ্ধ ইঞ্চি বেগে উত্তেজন বহন করিতে পারে। গাছ যখন পরিশ্রান্ত হইয়া দুৰ্ব্বল থাকে, তখন এই বেগের পরিমাণ কমিয়া আসে, বিশ্রাম লাভ করিলে সেই বেগই বৃদ্ধি পায়। অনেক নিম্নশ্রেণীর --০৯:০১, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) পাতার উঠানামার কথা উদ্ভিদবিদগণ জানিতেন, কিন্তু উপযুক্ত যন্ত্রের অভাবে কেন এই গাছের পাতা আপনা-আপনি নড়াচড়া করে তাহা নির্ণয় করা হয় নাই। জগদীশচন্দ্র ヘーベーベーヘヘヘヘ চলাফেরা করাইলে স্বায়ু প্রকৃতিস্থ হইয় পড়ে ; তখন ~ : - | | লজ্জাবতীর দাড়া লেথা । xitŞl-ç#« «ts (Resonant Recorder) উদ্ভিদের মত্তাবস্থ৷ বিষ-প্রয়োগের অবস্থ, ক্ষপ্তি ক্লাস্তি শীত গরম প্রভৃতির অবস্থা অনুসারে সাড়ার চিত্র অঙ্কিত করিয়া - - দেখাইয়৷ থাকে। এ যন্ত্র জগদীশ চন্দ্রেরই উস্তাবন । হইত। হাত-পা বাধিয়া যদি কোনো লোককে পুষ্টিকর থাদ্য খাওয়ানো যায়, তাহ হইলে লোকটির দেহ বেশ পুষ্ট হয় বটে, কিন্তু তাহার হাত-পা আড়ষ্ট হইয়া যায়। সযত্বে পালিত লজ্জাবতী গাছটির অবস্থাও কতকটা সেই রকমই হইয়াছিল ; দেখিলে গাছটিকে খুবই স্বস্থ বলিয়া মনে হইত, কিন্তু মৃদু আঘাত-উত্তেজনায় সাড়া দিতে পারিত না। ইহা দেখাইয়। জগদীশচন্দ্র লজ্জাবতীর স্বায়ুর অস্তিত্ব প্রমাণ করিয়াছিলেন । জলই যদি উত্তেজনার বাহক হইত, তবে এই পরীক্ষায় গাছে সাড়ার অভাব হইত না। কাজেই স্বীকার করিতে হয়, দেহস্থ জলের চাপ উত্তেজনার বাহক নয়। লজ্জাবতীর দেহে প্রাণীদেহের ন্যায় স্বায়ুজাল বিস্তৃত আছে, তাহাই অনভ্যাসে নিক্রিয় হইয়া পড়িয়াছিল বলিয়াই লজ্জাবতী সাড়া দেয় নাই । ব্যবহারের অভাবে স্নায়ুমণ্ডলী বিকল হইলে যাহার অসাড় লজ্জাবতীর দেহে উপযুপরি আঘাত দিয়া এবং সৰ্ব্বাঙ্গে সেক দিয়া জগদীশচন্দ্র তাহাকে প্রকৃতিস্থ করিয়াছিলেন । এই অবস্থায় সে সুস্থ গাছের মতই সাড়া দিতে আরম্ভ করিয়াছিল। " - স্বায়বিক শক্তি সকল প্রাণীর সমান নয়। মামুষের মধ্যেই ইহার অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়। এমন লোক আছেন, যাহার শ্লেটের উপরে পেনসিল-ঘষার শব্দ সহ করিতে পারেন না। বালি দিয়া বাসন মাজার সময়ে যে শব্দ হয়, তাহাও অনেকের স্বায়ুমণ্ডলীকে পীড় দেয় । উদ্ভিদ-জাতির মধ্যে জগদীশচন্দ্র স্বায়বিক শক্তির এই বৈচিত্র্যও আবিষ্কার করিয়াছেন। কতকগুলি গাছ খুব উত্তেজনার মধ্যেও তাহাদের স্নায়ুকে সবল রাথিতে পারে; আবার কতকগুলি দুৰ্ব্বল মানুষের ন্যায় অল্প উত্তে জনাতেই অধীর হইয় পড়ে । উদ্ভিদ ও প্রাণীর এই ঐক্য সকলকেই বিস্মিত করিয়াছে। প্রসিদ্ধ উদ্ভিদতত্ত্ববিদগণ বৃক্ষকে স্বায়ুবর্জিত মনে করিয়া যে, সত্যই ভূল করিয়া আসিতেছিলেন, এখন পণ্ডিতমণ্ডলী তাহা স্বীকার করিতেছেন। গাছের ডাল পোড়াইলে এবং তাহার গায়ে ক্লোরোফর্মের বাপ লাগাইলেও, শাখা দিয়া যে উত্তেজনার চলাচল লক্ষ্য করা হইয়াছিল, তাহ স্নায়বিক উত্তেজনারই ফল। উদ্ভিদের স্নাযুজাল দেহের গভীর প্রদেশে বিস্তৃত থাকে, তাই বাহিরে প্রযুক্ত তাপাদি সহসা ভিতরে প্রবেশ করিয়া স্নায়ুমণ্ডলীকে উত্তেজিত করিতে পারে না। স্বায়ুর সাহায্যে উত্তেজন প্রবাহিত হইতে একটু সময় লয় । মানব দেহের স্বায়বিক উত্তেজনা প্রতি সেকেণ্ডে একশত দশ ফুট করিয়া চলে। কতকগুলি নিম্নশ্রেণীর প্রাণীর স্বায়ু এমন অপূর্ণ যে, কেনো উত্তেজনাকে তাহ সেকেণ্ডে দুই ইঞ্চির অধিক দূরে লইয়া যাইতে পারে না। উদ্ভিদের স্বায়ু থাকিলে তাহার উত্তেজনা-পরিবাহনের নির্দিষ্ট বেগ থাকারও সম্ভাবনা । জগদীশচন্দ্র নানাজাতীয় উদ্ভিদের স্বায়বিক বেগও আবিষ্কার করিয়াছেন। সতেজ o সে সুস্থ ব্যক্তিরই ন্যায় হাত-পা নাড়িতে পারে। পূৰ্ব্বোক্ত

| প্রাণীর তুলনায় লজ্জাবতীর স্নায়ু অধিকতর সবল ও কার্য্যক্ষম । আমাদের ঘরকন্নার দিক দিয়া দেখিলে, পূৰ্ব্বোক্ত আবিষ্কার হইতে অনেক উপকার হইবে বলিয়া মনে হয়। মানুষের স্বায়ুমণ্ডলী কিপ্রকারে বিকল হইয় পক্ষাঘাত প্রভৃতি রোগের উৎপত্তি করে, তাহ আমাদের ঠিক জান৷ নাই, কাজেই এইসকল ব্যাধির চিকিৎসাপদ্ধতি সম্বন্ধেও আমাদের জ্ঞান নিতান্ত অল্প। তার উপরে উচ্চশ্রেণীর প্রাণীর স্বায়ুমণ্ডল এত জটিল যে, সেই জটিলতা ভেদ করিয়া স্বায়বিক বিকৃতির কারণ নির্ণয় করা অসাধ্য হইয়৷ দাড়ায়। কিন্তু উদ্ভিদের স্বায়ুজাল একেবারে জটিলতাবর্জিত। সুতরাং উদ্ভিদের স্বায়ু 'কিপ্রকারে বিকল হয় এবং সেই বিকলতাকে কি ঔষধ প্রয়োগ করিয়া দূর করা যায়, তাহ নির্ণয় করা কঠিন নয়। মানব-দেহের স্বায়বিক পীড়ার চিকিৎসা-প্রণালী গাছের চিকিৎসার দ্বারা আবিষ্কৃত হইবে বলিয়া খুবই আশা হইতেছে। প্রাণীর হৃদপিণ্ড একটি অদ্ভূত যন্ত্র। ভ্ৰণ-অবস্থা হইতে মৃত্যুকাল পর্যন্ত ইহার কাৰ্য্যের বিরাম নাই। ইহাকে চালাইবার জন্য চেষ্টার প্রয়োজন হয় না, তালে তালে আপনিই চলিয়। প্রাণীর সর্বাঙ্গে নিযুত রক্তের প্রবাহ বহাইতে থাকে। শারীর-বিজ্ঞানের এত উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও হৃদযন্ত্রের কার্য্যের অনেক ব্যাপার আজও রহস্যাবৃত হইয়া রহিয়াছে। সেইসকল রহস্তের মীমাংসা করিতে গেলে প্রাণীর হৃদপিণ্ডের ন্যায় জটিল ধন্ত্রকে ব্যবচ্ছেদ করিয়া পরীক্ষা করিলে চলে না ; সরল যন্ত্রের কাজ বুঝিয়া ক্রমে জটিলতার দিকে অগ্রসর হইতে পারিলেই শুভফল পাওয়া যায়। প্রাণীর হৃদপিণ্ডের ন্যায় কোনে যন্ত্র যে উদ্ভিদ-দেহে

  • . আছে, এপর্য্যন্ত বৈজ্ঞানিকের তাহ জানিতেন না।

আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র “বনচাঁড়াল" গাছে হৃদপিণ্ডের অনুরূপ একটি অংশ আবিষ্কার করিয়াছেন, এবং তাহা যে হৃদ্যন্ত্রের মতই তালে তালে চলে তাহ দেখাইয়াছেন। বনচাড়ালের ইহাকে তাহার স্বাস্ত নিৰ্ম্মিত যন্ত্রে ফেলিয়া এবং তাঙ্গর হাতে কলম গুজিয়া দিয়া, নিজের বৃত্তান্ত নিজেকে দিয়াই লিখাইয়া লইয়াছেন। ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে, বনচাড়ালের-পাতার নৃত্য এবং প্রাণীর হৃদপিণ্ডের স্পন্দন একই ব্যাপার। হৃদযন্ত্রের উপরে ঈশ্বর নামক রা সুনিক দ্র ব क्लब **-* * কাজ দেখা যায়। অল্প ঈশ্বরে যন্ত্রের ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। অধিক প্রয়োগ করিলে অবসাদ আসে এবং শেষে ক্রিয় লোপ পাইয়া যায়। স্বস্ব বনচাঁড়ালকে কাচের আবরণের মধ্যে রাধিয়া বস্তু মহাশয় পরীক্ষা করিয়াছিলেন। আর ঈশ্বর বাপ পাত্রে প্রবিষ্ট হইবামাত্র উহার পাতা জোরে জোরে উঠানামা করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, কিন্তু বাপের পরিমাণ অধিক হইলে সেরকম জোরে পাতা নড়িতে পারে নাই। অধিক ঈথর-প্রয়োগে যেমন হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয় ক্রমে লোপ পাইতে থাকে, গাছটির পাতার নৃত্য সেইরকমে বন্ধ হইয়া । আসিয়াছিল। প্রাণীর হৃদ্যন্ত্রে ক্লোরোক্ষরমের যেসকল কাজ দেখা যায়—বনচাড়ালে জগদীশচন্দ্র অবিকল সেইসকল দেখিতে পাইয়াছেন। বেশী ক্লোরোফর্ম দিবামাত্র পাতার স্পন্দন বন্ধ হইয়া আসিয়াছিল ; তার পরে আধ ঘণ্টাকাল নান প্রকারে সেবাশুশ্ৰুষা করায়, তাহাতে মৃদু স্পন্দন স্বরু হইয়াছিল। প্রাণীর ন্যায় উদ্ভিদেরও হৃদযন্ত্র আছে কিনা, এই প্রশ্নের মীমাংসায় যে, জীববিজ্ঞানের খুব গৌরব বৃদ্ধি হইয়াছে একথা আমরা মনে করি না। উদ্ভিদের দেহে হৃদযন্ত্রের ন্যায় কোনো অংশে স্বতঃস্পন্ন ধরা পড়ায়, প্রাণীর স্বতঃস্পন্দনের যে ব্যাখান পাওয়া যাইতেছে, তাহাই উল্লেখযোগ্য। প্রাণীর হৃদপিও কেন আপনা হইতে স্পন্দিত হয়, জিজ্ঞাসা করিলে প্রাণীবিদগণকে নিরুত্তর থাকিতে দেখা যায়। খুব চাপাচাপি করিয়া ধরিলে তাহারা বলেন, দেহের ভিতর হইতে শক্তি সঞ্চয় করিয়া যন্ত্র স্বতঃস্পন্ন দেখায়। সেই সঞ্চিত শক্তিই "জীবনী শক্তি"। বলা বাহুল্য এই - - o -