পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- সকল মূল নকলগুলি পুড়িয়া নষ্ট হইয়। গিয়াছে। প্রায় পাচ বংসর পূৰ্ব্বে বিলাত হইতে শ্ৰীমতী হেরিংহ্যাম আসিয়া বহু ব্যয় ও কষ্ট স্বীকার করিয়া অনেকগুলি চিত্রের নকল নিজে করেন ও কয়েকজন শিল্পীর দ্বার। প্রস্তুত করান। এইসকল নকলের প্রতিলিপি লওনের প্রকাশিত হইবে। শেষোক্ত চিত্রগুলির মধ্যে অনেকগুলির o ാ- -- :تع-- ت ল ত্রযুক্ত গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের নিকট রক্ষিত গুলি প্রাচীর ছাদ ও থামের উপর অঙ্কিত। দত প্রস্তরের গাত্র সমতল করিবার জন্য র উপর চুন বালির মত—একপ্রকার -- এই লেপনট বোধ হয় গোবর, মাটি ও এই মোটা লেপনের উপর খুব পাতল৷ সা —প্রায় ডিমের খোলার মত—আর-এক -- আছে। চিত্রের প্রথম রেখাঙ্কন এই সাদা লেপনের o গৈরিক বর্ণে অঙ্কিত চিত্রের অন্যান্য বর্ণ এই সরণ করে। অজন্তার সৰ্ব্বাপেক্ষ পুরাতন . ব্যবহৃত হয় নাই। প্রাচীর খুব as iাছিল এবং পাথরের গায়ে কেবল o ੋਂ - স৷ o হইয়াছিল। ১ম চিত্রটি সেইরূপ অহমান হয় এই ছবিতে শিবিরাজার ও গোময়-লেপন য়োজন হইত না। ভাস্কৰ্য-নৈপুণ্যে ৭ ও হুগঠিত হইত যে তাহাদিগের উপর iার করিলেই চলিত। - প্রথম রেখাঙ্কনের গঠন কিরূপ হইত তাহার - স্পী পাওয়া যায়। এই চিত্রে অনেক স্থানে— বিশেষতঃ পুরুষের মূৰ্ত্তিতে—রং উঠিয়া যাওয়ায় প্রথম রক্ত. বর্ণ রেখান্ধন বাহির হইয় পড়িয়াছে। সকল সময়েই যে প্রথম রেখাঙ্কন বাহাল থাকিত এমন নয়। কখন কখন রং করিতে করিতে রেখাঙ্কন সংশোধিত বা পরিবর্তিত হইত। ৩য় চিত্রে ছয় স্থানে এইরূপ সংশোধনের চিহ্ন আছে। - • প্রকৃতির লাবণ্য দেখিলে যেমন স্রষ্টার কথা মনে পড়ে, - - - শিল্পের সৌন্দৰ্য্য দেখিলে সেই শিল্পের স্রষ্ট শিল্পীর কথা মনে পড়ে। অজস্তার চিত্রশিল্প দেখিলে যে-শিল্পীরা সেগুলি অ কিয়াছিল তাহাদের বিষয় কিছু জানিতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু তাদের বিষয় সবিশেষ কিছু জানিবার উপায় নাই। ইহাতে যদিও আমরা এইসকল চিত্রকরের নাম জানিতে বঞ্চিত হই, কিন্তু ইহাতে আক্ষেপের বিষয় কিছুই নাই। নামে আসে যায় কি ? যদি অজস্তার চিত্রাবলী শিল্পীদিগের স্বাক্ষরিত হইত, তাহ হইলে চিত্রগুলি আরও ৷ মূল্যবান হইত না। আমার মনে হয় অজস্তার এই অসংখ্য । চিত্রাবলীর মধ্যে যে একটিও চিত্রকরের নাম নাই ইহা । আমাদের সৌভাগ্য ও গৌরবের বিষয়। কত শত বৎসরের * - শিল্পসাধন এই অজন্তায় ; কত শত শিল্পী এইখানে | আপনার শিক্ষা-নৈপুণ্যের পরিচয় রাথিয়া গিয়াছে, অথচ । । কেহ কথন আপনার নাম পৰ্য্যস্ত লিখিয়া যায় নাই। ইহার অস্তরে কি এক মহান অপরিসীম বিনয়ের ভাব আছে! ভক্ত যেমন সকল স্বার্থের কথা ভুলিয়া আত্মনিবেদন করে, এই শিল্পীরাও আজীবনের সাধনফল তাহাদের ধৰ্ম্মমন্দিরে অঞ্জলি দিয়া গিয়াছে ! | কবির কাব্যের মত শিল্পীর শিল্পই তাহার পরিচয় দিয়া । দেয়। শিল্পীর মনের ভাব ও আদর্শ তাহার শিল্পে ফুটিয়া - উঠে। শ্ৰেষ্ঠ শিল্পের রূপে অন্তরাত্মার ভাবপ্রকাশ। * অজন্তার শিল্পীদিগের আদর্শের মূলে যে চিরপ্রফুল্ল অথচ । বিনীত নিবেদনের আভাস পাওয়া যায় তাহতেই তাহদের } শ্ৰেষ্ট পরিচয় । শিল্প তাহাদের কাছে পবিত্র 'সাধনা ছিল ; ি শিল্পের প্রতিষ্ঠায় তাহারা ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা দেখিত, শিল্পের | নিবেদনকে তাহারা আত্মনিবেদন বুঝিত। ধন্য সেই নাম- । বিহীন শিল্পীরা ! তাহাদের নাম নাই, অথচ তাহারা চির- 1 স্মরণীয় হইয়া থাকিবে। তাহদের শিল্পসাধনার আদর্শ সম্মুখে | রাপিয়া যদি আমরা শিল্পের আরাধনা করি তাহা হইলে । ভারতশিল্পের লুপ্ত গৌরব একদিন-না-একদিন ফিরিয়া । আসিবেই । - শ্ৰীসমরেন্দ্রনাথ গুপ্ত - ২৯ পৌষ, রেলগাড়ি । যাত্রাগান আনন্দ-গান উঠুক তবে বাজি এবার আমার ব্যথার বঁাশিতে । অশ্রুঞ্জলের ঢেউয়ের পরে আজি পারের তরী থাকুক্‌ ভাসিতে । যাবার হাওয়া ঐ যে উঠেছে,—ওগো ঐ যে উঠেছে, সারারাত্রি চক্ষে আমার ঘুম যে ছুটেছে। হৃদয় আমার উঠচে দুলে দুলে অকুল জলের অট্টহাসিতে, কে গে৷ তুমি দাও দেখি তান তুলে এবার আমার ব্যথার রাশিতে । হে অজানা, অজানা সুর নব বাজাও আমার ব্যথার রাশিতে, হঠাৎ এবার উজান হাওয়ায় তব পারের তরী থাকুনা ভাসিতে। । কোনো কালে হয়নি যারে দেখা—ওগো তারি বিরহে এমন করে ডাক দিয়েছে, ঘরে কে রহে ? বাসার আশা গিয়েছে মোর ঘুরে, ঝাপ দিয়েছি আকাশরাশিতে ; পাগল, তোমার স্বষ্টিছাড়া স্বরে তান দিয়ে মোর ব্যথার বাশিতে | শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। - - -- - - - . প্রবাসী—বৈশাখ, ১০২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ১ম সংখ্যা ] হৃদয়ের আকাঙিক্ষত দেশ ৭৯ ********************. . . . -- - -- -------S S S S S S S S S S S S S S**ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。 ***********ゞペ・・・・・・・・・・・・ハッッ・ヘ、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ SJMS MJMS MMMM MMS SSS -- ক্ষত দেশ” । “হৃদয়ের আক ডব্লিউ বি ইয়েটস প্রণীত । - বধু a গুরুঠাকুর পরী-বালিকা পুরাতন কালে, অজানা দেশে দৃগুটি অবস্থিত। দৃপ্ত ছায়াসমাকীর্ণ বিশ্রাম-ঘরের মাঝে একটি |कूटंद्रौप्ङ औstनत्र हुन । সেথানে কয়েকথান আসন বিছানে আছে, দেয়ালে এক * মূৰ্ত্তি। আগুনের আলোতে থর উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ধ দরজা আছে—তা দিয়ে বাইরে বন দেথা যায়—এখন সন্ধা আভ মিটমিট করচে–চন্দ্র গাছের ফাক দিয়ে দেখা --- চারপাশে বসে আছে। আসনের সামনে খাদ্য এবং পানীয় আছে। । বন্ধ দরজ র কাছে দাড়িয়ে একথান বই পড়ছে। যদি সে চোখ । উচু করে চায় তবে দরজা দিয়ে বন দেখতে পাবে। ] , রাতের আহারের জন্যে বাসনগুলি পরিষ্কার করতে বলেছি কিনা তাই ও কুড়ে থেকে বইখানা এনেছে। । সেই হতে কতবার ও ঘুরে ফিরে এসে এটাকেই নিয়ে পড়ছে । ঠাকুর মশায়, যদি অন্য কারো মত ওকে কাজ করতে হত তবে ওর গেঙনি শুনতে শুনতে আমরা । কালা হয়ে যেতাম। আমার মত যদি রোজ ভোরে । উঠে ঘসা মাজ করতে হত, কিংবা আপনার মত দুৰ্যোগ । রাত্রিতে কোষাকুষি আর পুথি বগলে করে বাইরে যেতে হত তা হলে ও না জানি কিই করত ? ৷ - পুত্র ম, তুমি বড় বেশী রাগ কর । তুমি ওকে বিয়ে করেছ কি না, তাই ওকে বিরক্ত করতে তুমি ভয় পাও, আর তাই তার পক্ষ ફg i , কৰ্ত্তা - ( গুরুঠাকুরের প্রতি ) তরুণ তরুণীর পক্ষ সমর্থন করবে এ ত ঠিকই। ও সময় - সময় আমার স্ত্রীর সঙ্গে একটু আধটু ঝগড়া করে, কিন্তু -