পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ماه ذ - তবে শ্বেতকেতুর ন্যায় আমাদিগকে আবার গ্রোধ ফল আহরণ করিয়া গুরুর চরণতলে উপসন্ন হইতে হইবে এবং মৌনী হইয়া বলিতে হইবে – চিত্রং বটতরোমূলে বৃদ্ধ শিষ। গুরুত্ব। - গুরোপ্ত মৌনং ব্যাখ্যানং শিষ্যাপ্ত ছিন্নসংশয়াঃ । তর্ক বিতণ্ডারাজ্যের রাজদণ্ড দেখাইয়া আমাদিগকে প্রলোভিত করিবে, কিন্তু যিশুখৃষ্টের ভাষায় আমাদিগকে বলিতে হইবে :– Who reads - Incessantly and to his reading brings not A spirit and judgment equal or superior, (And what he brings what needs he elsewhere seek?) Uncertain and unsettled still remains, Deep-versed in books and shallow in himself, Crude or intoxicate, collecting toys And trifles for choice matters, worth a sponge, As children gathering pebbles on the shore. –Paradise Regained, 4th book. বোধ হয়, এখন দিন আসিয়াছে যখন বিতণ্ডা ছাড়িয়া আমাদিগকে সিদ্ধান্তের দিকে লক্ষ্য করিতে হইবে। অভেদে ভেদ না দেখিয়া ভেদে অভেদ দৃষ্ট করিতে হইবে। আবার আমাদিগকে বলিতে হইবে, "সত্য এক, তত্ত্ব এক, কেবল বাদীর দর্শনভেদে তাহ অনেক, তাহ ভিন্নরূপ।” ভেদে অভেদ । একটি উদাহরণ দিলে একথা একটু বিশদ হইতে পারে। সকলেই জানেন, এ দেশের দার্শনিক-সমাজে জীবের স্বরূপ লইয়া যথেষ্ট বাদ বিবাদ আছে। জীব কি অণু না বিভূ ? জীব কি ব্রহ্মের অংশ না ছায়া ? জীব কি ব্রহ্ম হইতে ভিন্ন না অভিন্ন ? ইহা দর্শনের এক মূল সমস্যা। ইহার বিচারবিতণ্ডায় এক মহন্তর অতিবাহিত করিতে পারা যায় এবং মৈনাককে লেখনী করতঃ সমুদ্র-জলকে মসিরূপে ব্যবহার করিয়া নিঃশেষ করা যায়। তথাপি তর্কে ইহার মীমাংসা হয় না, কিন্তু ভেদে অভেদ দৃষ্টি & S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S করিলে হয় । , - যাহাকে বেদের মহাবাকা বলে, সেই মহাবাকাচতুষ্টয় জীব-ব্রহ্মের ঐক্য উপদেশ দিয়াছেন । “তত্ত্বমসি”, “সোহহং", “অয়মাত্মা ব্রহ্ম”, “অহং ব্রহ্মাশ্মি"—চরিবেদের এই চারি মহাবাকু ব্রহ্মের ও জীবের অভেদ উপদেশ করিতেছেন। কিন্তু অন্যত্র আমরা শুনিয়াছি – যদ সুদীপ্তাং পাবকাং বিস্ফুলিঙ্গা; সহস্রশ; প্রভবস্তে সরূপা । তথাক্ষরা বিবিধা সোমাভাব প্রজাতন্তে তত্র চৈবাপি যপ্তি। - —মুণ্ডকু,২১১ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ SMMSMMSMMSMMSMSMSMS MMMMMMS MSMMSMMSMMSMSMMS SMMS SMSSSS যথাপ্লে ক্ষুদ্র বিক্ষুলিঙ্গাৰু চরম্ভোবমেবান্মাদাত্মন: সৰ্ব্বে প্রাণী সঙ্গে - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । BB BB BB BBBB BBBB BBBg S gg S S মমৈবাংশে জীবলোকে জীবভূত; সনাতন: —গীত ব্রহ্মস্বত্রও বলিয়াছেন ; অংশে নানাব্যপদেশাং ইত্যাদি—২।৩।৪৩ -i. অথচ গীতা বলিতেছেন – অবিনাশি তু তদ বিদ্ধি যেন সৰ্ব্বমিদং ততম বিনাশমব্যয়সাল ন । কশ্চিং কৰ্ত্তমস্থতি। অন্যত্র আবার উপনিষদ বলিতেছেন – এক এক হি ভূতাত্মা ভূতে ভূতে বাবস্থিত । একধ বহুধ চৈব দৃপ্ততে জলচন্দ্রবং –ব্রহ্মবিলু, ১২ ৷ একই । অদ্বিতীয় ) ভূতাত্মা ভূতে ভূতে অবস্থিত রহিয়াছেন। জলে চন্দ্রের প্রতিবিম্ববং তিনি এক ও বহুরূপে দৃষ্ট হইতেছেন। এই আভাস বা প্রতিবিম্ববাদের o - ১ম সংখ্য। ] ভারতীয় দশন । 6ని /*ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘル、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ാ - যস্মাং ক্ষরমততোহহমক্ষরাদপি চোত্তম: | এষ আত্মাহপহস্তপাপ মা বিজবোবিস্তুবিশোকে বিজিবংীেছ • অতোহশ্মি লোকে বেদে চ প্রপিত; পুরুষোত্তম: | পিপাস; সত্যুকামঃ সত্যসংকল্প; ছ', ৮।১৫

Fبالاـن لا له لا ي

লোকে দুই পুরুষ, ক্ষর ও অক্ষর । সমস্ত ভূত ক্ষর - পুরুষ এবং কুটস্থ অক্ষয় পুরুষ। আর-একজন পুরুষোত্তম আছেন, যাহাকে পরমাত্মা বলে , যিনি অব্যয় ঈশ্বর, লোকত্রয়ে অনুপ্রবিষ্ট হইয়। ধারণ করিতেছেন। যেহেতু তিনি ক্ষরের অতীত এবং অক্ষরের উত্তম, সেইজন্য লোকে ও বেদে তাহাকে পুরুষোত্তম বলে।’ এই ত্রিপুরুষ-তত্ত্বের সাহায্যে গীত। আমাদিগকে যে মীমাংসার ধামে উপনীত করিয়াছেন, তাহার প্রতি একটু লক্ষ্য করা যাক। উপরিধুত শ্লোক হইতে আমরা জানিলাম যে, গীতার মতে পুরুষ তিন —ক্ষর পুরুষ, অক্ষর পুরুষ ও উত্তম - মর্থন ক - - : a সমর্থন করিয়া বাদরায়ণ স্বত্র করিয়াছেন পুরুষ। উত্তম পুরুষ = পরমাত্ম , অক্ষর পুরুষ- অধ্যাত্মা ; আভাস এব চ —২৩৫ - পুত্র । এবং ক্ষর পুরুষ- জীবাত্ম। উত্তম & 4 অন্যত্র তিনি বলিয়াছেন :– द्र ५ | পুরুষকে শাস্ত্রে অতএব চোপম সুৰ্য্যকাধিবং —৩২১৮ ফুত্র। চিদাকাশ বলে , অক্ষর পুরুষ - চিন্মাত্র, যাহাকে কুটস্থ - - --> বলে ; এবং ক্ষর পুরুষ= চিদাভাস। চিদাকাশ সিন্ধু, অতএব আমরা উপনিষদে তিনটি বিরোধী মতের উপ | ' সিন্ধু ন্যাস দেখিতে পাইতেছি ;–প্রথম জীব ও ব্রহ্ম অভিন্ন। দ্বিতীয় জীব ব্রহ্মের অংশ বা লিঙ্গ ; তৃতীয়, জীব ব্রম্বের আভাস বা প্রতিবিম্ব । যে উপনিষদ বলিতেছেন, জীব বিস্তু, স বা এয মহান অজ আত্নী । আকাশবদ সৰ্ব্বগতশ্চ নিতা । "এই আত্মা ( জীব ) মহান ও জন্মরহিত। তিনি আকাশের ন্যায় সৰ্ব্বগত ও নিত্য ।” তিনিই অন্যত্র বলিতেছেন - বালাও-শতভাগস্ত শতধ কল্পিতসা চ । - অর্থাৎ "কেশের অগ্রভাগের শতভাগের শতভাগ জীবের পরিমাণ । এইসকল বিরোধী শ্রুতিবাক্যের উপর নির্ভর করিয়া দার্শনিক-সমাজে যে বহু বাদ বিবাদ উত্থিত হইবে, ইহা । বিচিত্র নহে। কিন্তু সমন্বয় দৃষ্টিতে দেখিলে ইহার সামঞ্জস্ব বিধান অসম্ভব নহে। এই সমন্বয়-ভূমি আমরা গীতাগ্রন্থে | স্বপ্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাই। গীতা উপদেশ দিয়াছেন — । - - - দ্বাবিমেী পুরুষে লোকে ক্ষরশ্চাক্ষর এবর্চ গর: সৰ্ব্বানি ভূতানি কূটস্থোৎক্ষর উচ্যতে । উত্তম পুরুষস্থা, পরমাত্মেত্যুদাহৃত: | যে লোকত্ৰয়মাবিশ্ব বিভৰ্ত্তবায় ঈশ্বরঃ । চিন্মাত্ৰ যেন বিন্দু। ইহাই বিক্ষ লিঙ্গবাদ। এই ভাবে জীব ব্রহ্মের অংশ। কিন্তু সিন্ধু ও বিন্দুতে স্বরূপত: কোন ভেদ থাকিতে পারে না। অংশ ও অংশ তত্ত্বত: অভিন্ন । সেইজন্য জীব ব্রহ্মকে লক্ষ্য করি। বলিতে পারে, - "८नश्क्ष्९", “অহং - ব্রহ্মাশ্মি" | সেইজন্য জীবকে লক্ষ্য করিয়া বলা যাইতে পারে ;–“অযুমাত্মা ব্রহ্ম”, “তত্ত্বমসি"। এই অধ্যায় বা চিন্মাত্রের প্রতি লক্ষ্য করিয়া উপনিষদ বলিয়াছেন – অধ যদি অস্মিন ব্রহ্মপুরে দহরং পুওরীক বেশ্ম, দহরোহশ্বিন, DDB BBBB BBB BBDS DD BB DD BBBBBBBS —ছান্দোগ্য ৮১১ এই ব্রহ্মপুরে। দেহে ) ক্ষুদ্র পুওরীকরূপ এক গৃহ আছে; তথায় ক্ষুদ্র অন্তর-আকাশ বিরাজিত। তাহাতে যাহা অন্তর্গত, তাহার অন্বেষণ করা, তাহার অনুসন্ধান করা কৰ্ত্তব্য । এই অন্তর-আকাশ কি ? শঙ্করাচার্য বলেন, এই আকাশই ব্রহ্ম। বেদান্তের পরিভাষায় হৃদয়স্থ আত্মার নাম দহরাকাশ। এই আকাশ যে আত্ম, ইহা উপনিষদই ষ্টাক্ষরে বলিতেছেন – ইনিই আত্ম, পাপহীন, জরাহীন, মৃত্যুহীন, ক্ষুধাতৃষ্ণ হীন, সত্যকাম, সত্যসংকল্প । - উপাধির স্বল্পত উপলক্ষ্য করিয়া এই আত্মাকে অণু বলা হয় ;– অনুরেষ আত্ম । - ইহাকেই লক্ষ্য করিয়া বলা হইয়াছে – অশোরণীয়ান । তিনি অণু হইতে অণু । অথচ তিনি মহান অপেক্ষাও মহান । মহতে। মহীয়ান । কারণ, যে আত্মা দহর-পুণ্ডরীকে বিরাজিত আছেন, তিনিই জগতের সর্বত্র অহস্থ্যত আছেন। সেইজন্ত ছান্দ্যোগ্য উপনিষদ বলিতেছেন :– BBB BBBBB BBBBBDD BB BBBBBS BB BBBDS পৃথিবী অস্তরের সমাধিতে উভাবমিশ্চ বায়ুশু হুয়াচক্রমসাৰুভে । বিছান্নক্ষত্ৰাশি যচ্চাস্তেহাস্তি যচ্চ নাস্তি সৰ্ব্বং তদক্ষিণ সমাহিতম্ ইতি। - ছ, ৮।১৩ "সেই অন্তর হৃদয়ের আকাশ, এই আকাশের ন্যায় বৃহৎ। তাহাতে স্বর্গ, মৰ্ত্ত্য, অগ্নি, বায়ু, চন্দ্র, স্বৰ্য্য, বিদ্যুৎ ৷ নক্ষত্ৰ—যাহা কিছু আছে, যাহা কিছু নাই, সমস্তই তাহার - - অন্তর্গত।’ ব্ৰহ্ম যে আত্মারূপে হৃদয়ে রহিয়াছেন, ইহা শ্রুতি । অন্যত্রও উপদেশ দিয়াছেন— । কতম আত্মা যোহয়ং বিজ্ঞানময় প্ৰাণেষু হৃদি অস্তজোতি পুরুষঃ। - —বৃহদারণ্যক । - ‘আত্মা কে ? ইহার উত্তরে বলিতেছেন–ধিনি न्वितः অন্তর্জ্যোতি পুরুষ, প্রাণসমূহের মধ্যে হৃদয়ে বিরাজিত | রহিয়াছেন । এই চিন্মাত্রকে লক্ষ করিয়া গীত বলিয়াছেন,— । "গহনায় ওটাকেশ সৰ্ব্বভুতাশয়স্থিত —গত ১.২. । "ভগবান আত্মারূপে সকল ভূতের আশয়ে প্রতিষ্ঠিত।” যেমন জ্যোতিৰ্ম্ময় হুর্য্যের দর্পণস্থ প্রতিবিম্ব অন্য স্বচ্ছ পদার্থে প্রতিফলিত হইয়৷ আভা বিকীর্ণ করে : সেই আভা স্বৰ্য্যও নয়, স্বর্ষ্যের প্রতিবিম্বও নয় ; সেইরূপ হৃদিস্থিত (গুহাহিত) আত্মা বুদ্ধিতে প্রতিবিম্বিত হন। ইহাকে লক্ষ্য করিয়া বাদরায়ণ স্বত্র করিয়াছেন,—