পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS - গিরি কড়িয়া লইয়াছে।" তাই এখন আবার তাহারা পৈত। লইয়া ব্রাহ্মণ হইবার চেষ্টায় আছেন। নাথেদের আচারব্যবহার কিন্তু ব্রাহ্মণদের মত নয়। নাথপন্থ ( Nathism ) নামে এক প্রবল ধৰ্ম্মসম্প্রদায় বহু শত বৎসর ধরিয়া বাঙ্গলায় এবং পূৰ্ব্ব-ভারতে প্রভূত্ব করিয়া গিয়াছে। গোরক্ষনাথ ষ্টের আট শ বছর পরের লোক । নেপালে বৌদ্ধদিগের সংস্কার যে, সব নাথেরাই বৌদ্ধ ছিলেন, কেবল গোরক্ষনাথ বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম ছাড়িয়া শৈব হন। বৌদ্ধ অবস্থায় তাহার নাম ছিল রমণবজ্র কি অনঙ্গবজ। ক্রমে খুজিতে খুজিতে "কোলজ্ঞানবিনিশ্চয়” নামে মংস্তেন্ত্ৰনাথ বা মচ্ছদ্মপাদের "অবতারিত" একথানি তন্ত্র পাই, লাম। উহা যে অক্ষরে লেখা, সে অক্ষর পৃষ্টের নয় শত বৎসরের পর উঠিয়া গিয়াছে। তাহাতে কিন্তু বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের নাম গন্ধও নাই। একখানি বৌদ্ধ গ্রন্থে মীননাথের একটি বাঙ্গলা পদ তুলিয়া বলিয়াছে যে, ইহা পরদর্শনের মত। আরও অনেক কারণ আছে, যাহাতে বেশ বোধ হয় যে নাথের না-হিন্দু, না-বৌদ্ধ এমন একটি ধৰ্ম্মমত প্রচার করেন। শিব তাহাদের দেবতা। তাহাদের বইগুলি হরপাৰ্ব্বতী সংবাদে তন্ত্রের আকারে লেখা। তাহারাই সেইগুলি কৈলাস হইতে নামাইয়া লইয়া আসেন। তাহারাই হঠযোগ - - প্রচার করেন। নানারূপ আসন করিয়া যোগ করা তাহাদের ধৰ্ম্ম । তাছাদের ধর্থের মূল কথাগুলি এখনও পাওয়া যায় নাই। য কিছু পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে বোধ হয় যে, তাহার লোককে গৃহস্থাশ্রম ছাড়িতেই পরমর্শ দিতেন। তাহদের ধৰ্ম্মে স্বৰ্গ-অপবর্গের দিকে তত কেশক ছিল না। তাঙ্গদের চেষ্টা সিদ্ধিলাভ। এই সিদ্ধি পরিণামে ভেৰী হইয় দাড়াইয়াছে। মূল নাথের কি করিতেন, জানা যায় না; কিন্তু এখন অনেক নাথের - ভেী দেখাইয়া ভিক্ষা করিয়া বেড়ায় । ইন্দ্রিয়সেবায় নাথেদের কোন আপত্তি নাই নাথেরা যে বাঙ্গল দেশের" বা পূৰ্ব্ব-ভারতের লোক, তাহার স্পষ্ট প্রমাণ —মীন-নাথের একটি পদ পাইয়াছি, সেটি খাটি বাঙ্গল। গোরক্ষনাথের লীলাক্ষেত্র বাঙ্গলাতেই མི་ তাহারই চেল হাড়িপা আমাদের ময়নামতীর প্রবাসী—বৈশাখ, ك لا( && - এ দেশে রাজাদের গুরু ছিলাম, ব্রাহ্মণের আমাদের গুরু- গানের নায়ক o - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড { ১ম সংখ্যা ] -- ヘヘヘヘヘヘヘヘ。 - মীননাথ যখন তাহার নিজের ধৰ্ম্ম ভূলিয়া গিয়াছিলেন, গোরক্ষনাথই তখন তাহাকে সেকথা মনে করাইয় দেন। মৎস্যেন্দ্রনাথকে অনেক সময় মচ্ছ : নাথ বলে, অর্থাং তিনি জেলের ছেলে ছিলেন। এ | কথা যদি সত্য হয়, তাহ হইলে তাহার বাঙ্গল দেশের । লোক হওয়াই সম্ভব। ক্রমে নাথ-পন্থ খুব প্রবল - সেসকল বিহার এখনও লোকে অতি পবিত্র বলিয়া মনে হইয়া উঠিলে বৌদ্ধের ও হিন্দুরা নাথেদের উপাসন | a দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বা অতিশ যখন তিব্বত দেশে করিত। মংগোস্ত্রনাথের গ্রন্থে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের নাম গজ । যান, তখন তাহার বয়স ৭০ বৎসর। এরূপ বৃদ্ধ বয়সেও না থাকিলেও, তিনিই এখন নেপালী বৌদ্ধদিগের প্রধান । তিনি তিব্বতে গিয়া অসাধারণ পরিশ্রম করিয়াছিলেন BBBS BBB BBBBBB BBBB BBB BBB S BB BBBB BBB BBBB BB BB BBS হইয়া থাকে, এমন আর কোনও দেবতার कान७ T अधािझिलन। उशत्र अन लिलाउ नाना प्रोक যাত্রায় হয় না। গোরক্ষনাথের উপর নেপালী বৌদ্ধের । সম্প্রদায়ের উদ্য ইয়াছে। তিব্বতে যে কখন বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সকলে খুলী না থাকিলেও অনেক বৌদ্ধের এখনও লোপ হইবে, এরূপ আশঙ্কা আর হয় নাই। তিনি তিব্বতে তাহার পূজা করে, তিব্বতেও তাহার পূজা হয়। " মানমতেরই প্রচার করেন। তিনি বেশ বুঝিয়াছিলেন যে, - - তিব্বতীর বিশুদ্ধ মহাযানধৰ্ম্মের অধিকারী নয়; কেননা, তাহার দশম গৌরব—দীপঙ্কর স্ৰজান। | ; তখনও দৈত্যদানবের পূজা করিত, তাই তিনি অনেক বজ্রতাহার নিবাস পূর্ববঙ্গে বিক্রমণীপুর। তিনি ভিক্ষু | মান ও কালচক্রধানের গ্রন্থ তর্জমা করিয়াছিলেন ও অনেক श्य বিক্রমশীল বিহারে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানে । | পূজাপদ্ধতি ও স্তোত্রাদি লিখিয়াছিলেন। তেজুর ক্যাটালগে প্রতি পাতেই দীপঙ্কর ঐজ্ঞান বা অতিশার নাম দেখিতে পাওয়া যায়। আজিও সহস্ৰ সহস্ৰ লোক তাহাকে দেবতা --- - - --SumitaBot (আলাপ) ০৮:০২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ক্রিমশীল বিহার হইতে দীপঙ্কর প্রজ্ঞানকে সসম্মানে আপন দেশে লইয়া যান। যাইবার সময় তিনি কয়েক দিন নেপালে স্বাস্তুক্ষেত্রে বাস করেন। যিনি তাহাকে আহ্বান করিয়া নিজ দেশে লইয়া গিয়াছিলেন, তাহার রাজধানী পশ্চিমতিব্বতে ছিল। যে-সকল বিহারে তিনি বাস করিয়াছিলেন, হন । সে সময় মঠের অধ্যক্ষ তাহাকে সুবর্ণদ্বীপে প্রেরণ করেন। তিনি সুবর্ণদ্বীপে বৌদ্ধধৰ্ম্ম সংস্কার করিয়া প্রসিদ্ধ । - হন । তথন নালন্দার চেয়েও বিক্রমশীলের খ্যাতি প্রতি । প্রত্তি অত্যন্ত অধিক হইয়াছে। অনেক বড় বড় লোক । অনেক বড় বড় পণ্ডিত, বিক্রমশীল হইতে লেখা পড়া । শিথিয়, শুধু ভারতবর্ষে নয়, তাহার বাহিরেও গিয়া । বিদ্যা ও ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন। বিক্রমশীল-বিহী রের রত্নাকর শান্ত্রি একজন খুব তীক্ষবুদ্ধি নৈয়ায়িক ছিলেন। প্রজ্ঞাকরমতি, জ্ঞানত্রভিক্ষু প্রভৃতি বহুসংখ্যক | গ্রন্থকার ও পণ্ডিতের নাম বিক্রমশীলের মুখ উজ্জল করিয়া - রাখিয়াছিল। এরূপ বিহারের অধ্যক্ষ হওয়া সৌভাগ্যের কথা। দীপঙ্কর অনেক সময় ব্রাহ্মণ, পণ্ডিত ও অন্য যানাবলম্বদিগের সহিত ঘোরতর বিচারে প্রবৃত্ত হইতেন । ও তাহাতে জয়লাভ করিতেন। এই সময় তিব্বত দেশে । বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম প্রায় লোপ হইয়া আসে ও বনপার দল খুব প্রবল হইয়া উঠে। তাহাতে ভয় পাইয়া তিব্বত দেশের রাজ । - যা কিছু বিদ্যা, বুদ্ধি, সভ্যতা—এ সমূদায়ের মূল কারণ তিনিই । - শান্তিদেবের শিক্ষাসমূক্ষয় নামে পুথিখানি কাগজের, হাতের লেখা, অধিকাংশই বাঙ্গলা। অনেক পূৰ্ব্বে নেপালে কায়গদ ছিল। ‘কায়গদ’ শব্দটি চীনের। আমরা কাগজ পরে পাইয়াছি, কেননা আমরা উহা সরাসর চীন হইতে পাই নাই, মুসলমানদের হাত হইতে পাইয়াছি, মুসলমানের চীন হইতেই পাইয়াছিল। মুসলমানের কায়গদ শব্দটিকে কাগজ করিয়া তুলিয়াছে। পুথিখানির শেষে লেখা আছে —‘দেয় ধৰ্ম্মোয়ং প্রবরমহাযানযায়িনো জাগদল-পণ্ডিত বিভূতিচন্দ্রস্ত" ইত্যাদি। কয়েকখানি পুথিতে জগদল মহাবিহারের নাম পাই ; বিভূতিচন্দ্রেরও -- - বাঙ্গলার প্রাচীন গৌরব S S S S S S S S S S S S S S S S S -------------------------------- JSMS MMJSJMS SSAS SSAS SSAS নাম পাই। তিনি “অমৃতকণিকা" নামে “নামসংগীতির" একখানি টাকা করেন, ঐ টীকা কালচক্র্যানের মতে লিখিত হয়। তাহার পর রামচরিত কাব্য ছাপাইবার সময় জানিতে পারি, রামপাল রামাবতী নামে যে নগর বসান, - ‘জাগদল মহাবিহার" তাহারই কাছে ছিল। উহা গন্ধা ও । করতোয়ার সঙ্গমের উপরেই ছিল। এখন করতোয় গঙ্গায় । পড়ে না—পড়ে যমুনা , গঙ্গাও এক সময় বুড়ীগঙ্গা দিয়া । যাইত। তাই ভাবিয়াছিলাম, রামপাল নামে মুন্সীগঞ্জে যে এক পুরাণ গ্রাম আছে, হয়ত সেই রামাবতী ও জগদ্দল । উহারই নিকটে কোথাও হইবে। আমি এ কথা প্রকাশ করার পর, অনেকেই জগদ্দল খুজিতেছেন, কেহ মালদহে, কেহ বগুড়ায় ; কিন্তু খোজ এখনও পাওয়া যায় নাই । পাওয়া কিন্তু নিতান্ত দরকার। কারণ মগধে যেমন । নালন্দা, পেশোয়ারে যেমন কনিষ্ক-বিহার, কলখোতে যেমন দীপদত্তম বিহার, সেইরূপ বাঙ্গলার মহাহির । জগদল। তেজুরে কোথাও লেথে উহা বরেক্সে ছিল, - কোন কোন জায়গায় লেখে বাঙ্গলায়, কোন কোন ৷ জায়গায় লেখে পূৰ্ব্ব-ভারতে। যাহা হউক উহা একটি প্রকাও বিহার ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। রামপালই যে ঐ বিহার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, এমন বোধ হয় না। । এই বিহারে অনেক বড় বড় ভিক্ষু থাকিতেন, তাহাদের মধ্যে বিভূতিচন্দ্রই প্রধান। বিভূতিচন্দ্র অনেকগুলি । সংস্কৃত বৌদ্ধ গ্রন্থের টাকা-টপ্পনী লিখিয়াছিলেন। যখন । তিব্বত দেশে এইসকল বৌদ্ধগ্রন্থ তর্জমা হইতেছে, তখন - - তিনি অনেক পুস্তকের তর্জমায় সাহায্য করিয়াছেন এবং নিজেও দুই-চারিখানি পুস্তক তর্জমা করিয়াছেন। - জগদলের আর-একজন মহাভিক্ষুর নাম দানশীল। তিনিও এইরূপ অনেক পুস্তক তর্জমায় সাহায্য করিয়াছেন - স্বতরাং তিব্বতওয়ালারা যে এক সময় জগদল-ভিক্ষুদের । উপর নির্ভর করিত, সেটা বেশ বুঝা যায়। । দ্বাদশ গৌরব—লুইপাদ ও তাহার সিদ্ধাচার্ষ্যগণ লুইপাদ আদি-সিদ্ধাচাৰ্য ছিলেন। তাহার বাড়ী । - বাঙ্গলায় ছিল । - - রাঢ়দেশে এখনও তাহার নামে পূজা হয়, । তাহার নামে পাট ছাড়িয়া দেয়। ময়ূরভঞ্জেও তাহার । -