পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ জাহাঙ্গের অনেকে নিজের নিজের গ্রামে চলিয়। গিয়াছে । বিস্তর লোক বেকার হওয়ায় আহারাদির অপ্রাচুর্ঘ্যবশতঃ নানাবিধ পীড়ার আবির্ভাব হইয়াছে। গবর্ণমেণ্ট এরূপ অবস্থায় বিলাতে যেরূপ সত্বর প্রতিকার-চেষ্টা করেন, এদেশে সেরূপ করেন না। বোম্বাই অঞ্চলে মিল-ওয়ালাদের প্রভাব বেশী বলিয়া প্রমিকদের সাহায্যের জন্য যথোচিত বে-সরকারী চেষ্টাও ক্ষিপ্রকারিতাসহকারে আরন্ধ হয় নাই । শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডুর কৰ্ম্ম-পদ্ধতি এসোসিয়েটেড প্রেস বলেন, শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু কানপুর কংগ্রেসের জন্য নির্বাচিত সভাপতিরূপে কি করিবেন, তাহার নিম্নলিখিতরূপ আভাস দিয়াছেন –

  • নারীর পক্ষে যাহা শোভা পায়, আমার কার্য্য-পদ্ধতি সেইরূপ অনাড়ম্বর গার্হস্থ্য রকমেব হুইবে । উহার উদ্দেশ্য হইবে কেবলমাত্র ভারতমাতাকে তাঙ্গার গৃহস্থালীতে একমাত্র কত্রীর, র্তাহার সমৃদ্ধির অপরিমেয় উপাদান ও উপায়সকলের একমাত্র অভিভাবিকার এবং র্তাহার অকুষ্টিভ আতিথ্যের একমাত্র বিতরিত্রীর পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। ভারতমাতার ভক্তিমতী কন্যারূপে আগামী সারা বৎসর ধরিয়া আমার প্রীতিপ্রস্থত যদিও দুঃসাধ্য কৰ্ত্তব্য হইবে, আমার মায়ের ঘরকল্পায় শৃঙ্খলা আনয়ন, যে শোকাবহু বিবাদ-বিরোধে তাহার নানা সম্প্রদায়ের ও ধৰ্ম্মাবলম্বীদের সম্মিলিত পরিবারের একত্বকে ভাঙিয়া ফেলিবার উপক্রম করিতেছে সেই বিবাদ নিম্পত্তি করিয়া সম্ভাব স্থাপন, তাহার গৃহস্থালীতে র্তাহার দীনতম ও প্রবলতম সন্তানদের জন্য উপযুক্ত স্থান, জীবনোন্ধেগু ও সম্মান নিৰ্দ্ধারণ, এবং তাহার গৃহে তাহার সন্তান, অতিথি ও বিদেশী আগন্তুকদিগের পোষণ ।”

র্তাহার উন্ধেশ্ব সিদ্ধ হউক । ব্ৰহ্মদেশে বহিষ্কার আইনের প্রতিবাদ ব্ৰহ্মদেশে সম্প্রতি যে বহিষ্কার আইন পাস হইয়াছে, তদনুসারে, ব্ৰহ্ম-প্রবাসী কোন ভারতীয় কোন কোন অপয়াধে দণ্ডিত হইলে, তাহাকে ব্ৰহ্মদেশ হইতে তাড়াইয়া প্রবাসী—কার্তিক, ১৩৩২ [ २¢न छां★, २घ्र थ७ দেওয়া চলিবে । ত্ৰক্ষের ব্যবস্থাপক সভায় ভারতীয়সভোর এবং কোন-কোন ইউরোপীয় সভ্য উত্থার প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। তাহা সত্ত্বেও সরকারী সভ্য ও জাতীয় দলেৰ ব্ৰহ্মদেশীয় সভ্যদের মিলিত ভোটে উহা পাস হইয়াছে। এক্ষণে অনেক ব্ৰহ্মদেশীয় ব্যক্তিও প্রকাশ্য সভায়ু সমবেত হইয়া উহার নিন্দ ও প্রতিবাদ কল্লিতেছেন । - অতঃপর খাস ভারতবর্ষের এক-একটি প্রদেশেব গবর্ণমেণ্ট অন্ত-সব প্রদেশের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে এইরূপ জাইন করিলেই ইংরেজ-ভেদ নীতির পূর্ণ বিকাশ হয় । তাহা অসম্ভব৪ নহে। কারণ নিবুদ্ধিতা ও প্রাদেশিক ঈর্স্য। ব্ৰহ্মদেশীয়দিগের একচেটিয়া নহে । একই ব্রিটিশ প্রভুর গোলাম ভারত-সাম্রাজ্যের এক অংশের লোকেরা যখন অন্য অংশের লোকদের বিরুদ্ধে এইরূপ আইন করিতেছে, তখন দক্ষিণ আফিব। ভারতীয়দিগকে ভাড়াইবার চেষ্টা কkিবে, ভাঙ্গ আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । আপাতদৃষ্টিতে মনে হইতে পারে, ধে, দণ্ডিত অপরাধীকে তাড়াইয়া দেওয়া বিশেষ আপত্তিজন মঙ্গে । কিন্তু একটু ভাবিয়া দেখিলেই বুঝ। যাইবে, ব্যবস্থাটা কিরূপ অদ্ভুত। বিশেষ রকম ও গুরুতর অপরাধ না করিলে এক স্বাধীন জাতির লোক অন্ত স্বাধীন দেশ হইতে যথা—ইংরেজ ফ্রাঙ্ক হইতে, ফরাসী ইংলণ্ড হইতে, গুষ্টড ইটালী হুইতে ইত্যাদি তাড়িত হয় না । কি স্বদেশী কি বিদেশী চির-নিৰ্ব্বাসন দণ্ড গুরুতর অপরাধ ভিন্ন কাহাকে৪ দেওয়া হয় না। তা’ ছাড়া, ব্ৰহ্মদেশীয় ধে-অপরাধ করিলে তাড়িত হুইবে না, ভারতীয় তাহা করিলে তাড়িত হইবে। এইরূপ অসাম্য ভারত বিদ্বেষী ব্রিটিশ উপনিবেশসকলের ভারতীয়বিরোধী নীতির সমর্থনাৰ্থ ব্যবহৃত হইবে। যে-সব ভারতীয় রাজনৈতিক পুরুব ব্রহ্মদেশে छांश्रब्र१ चांनब्रtनव्र cफडे कब्रिह्बन, किषां छांब्रउँौञ्चद्दजब्र অধিকার রক্ষার চেষ্টা করিবেন, তাহাঁদের নামে একটা ষা তা’ অভিযোগ আনিয়া তাহাদিগকে দণ্ডিত ও নির্বালিত করা কঠিন হইবে না। সরকারভূত্য ইংরেজদের প্ররোচনায় ব্ৰহ্মদেশের