পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] হরিৎদ্বীপে >や{2 ফিরে অনেকক্ষণ বাজল, তা’র পর একটা ক্লান্ত অবসাদের মাঝে তা’র স্বর ধীরে-ধীরে মিলিয়ে গেল। তখন রাজপুত্র হঠাৎ শুনতে পেলে, কে যেন ডাকৃছে--রাজপুত্র, 3 রাজপুত্র - রাজপুত্র চমকে মুখ তুলে চেয়ে দেখলে। দেখলে, বলাভূমে যেখানে তরঙ্গের দল সব এসে-এলে ফিরে যাচ্ছে সেইখানে দুই কনুইয়ে তর দিয়ে হাতে চিবুক রেখে অৰ্দ্ধfায়িত অবস্থায় এক অপরূপ জীব । তা’র কটি পৰ্য্যস্ত একটি অপরূপ রূপসী জনাবৃতদেহ কিশোরী। দীর্ঘ নবিড় কুন্তল, গায়ের রঙ জ্যোৎস্নার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে গছে, দুষ্টটি নিটোল স্থির বক্ষ, পল্লবের মতো ছুটি বাহু, ইটি চোখে যেন সাগরের মায়া। আর কটি থেকে একটি মৎস্যপুচ্ছ—তা’র শঙ্করাঞ্জি জ্যোৎস্না-কিরণে রূপোর তো চকু-চকু করছে । রাজপুত্র আশ্চর্ঘ্য হয়ে জিজ্ঞেস করলে—“তুমি কে ?” "আমি একটি মৎস্যনারী” “একটি মৎস্যনারী ! তোমার নাম কি ?” মৎস্তনীর উত্তর করলে—“আমার নাম সাগরিক।” রাজপুর জিজ্ঞেস করলে—“সাগরিক, আমাকে জিপুত্র বললে কেন ?" সাগরিক উত্তর করলে—“তুমি বে রাজপুত্ৰই। fষ্ণদ্বীপের রাজা তোমার জনক, বিমাতার হিংসায় তামার দেশাস্তুর ” রাজপুত্র ক্ষণকাল মৌন থেকে ধীরে ধীরে বললে— বুঝেছি, তাই বুঝি এই ধীবরপল্লীর জীবনের সঙ্গে কিছুভই আমার জীবন মিলিয়ে দিতে পারছিলুম না।” সাগরিক উত্তর করলে—“সত্যিই তাই ।” তা’র পর কছুক্ষণ চুপ ক’রে থেকে বললে—“রাজপুত্র, আমি তামার বাণী শুনছিলুম। জানো কি, তোমার বঁাশীর র কি বলছিল ? শক ro “বাণীর স্বর ঘুরে-সুরে শুধু এই কথাই বলছিল— এক-একা—আমি বড় একা ।” রাজপুত্র বললে—“বুঝিনি। কিন্তু এ আকুলতার মি মানে বুঝতে পারছিনে। কিছুদিন থেকে আমার MAAAS AAAAA AAAA AAAAMAMSMMMMAMMSMMTS বঁাশীর বুক চিরে কেবল এই আকুলতাই ফুটে বেঙ্কচ্ছে -८कन ?” "কারণ-রাজপুত্র তোমার জীবনের কিনারা বসন্ত দেখা দিয়েছে।” “সে কি ?” “चर्थ९ cयौवन ।” “ভাই বা কি ?” “প্রতিবৎসরে যেমন বসন্ত, প্রতিজীবনে তেমনি যৌবন।” “ভা'তে কি হয় ?” “প্রতিবসম্বে যেমন পৃথিবীর আকাশবাতাস এক নব স্পন্দনে স্পদিত হ’য়ে উঠে, প্রতিযৌবনে তেমনি মানুষের জীবন এক নব স্পন্দনে আকুল হ’য়ে যায়।” "এর শেষ কি.?” 緩 “পুথিবীর উচ্ছ্বসিত হৃদয় যেমন সার্থক হ’য়ে ওঠে নব পল্লবের স্নিগ্ধতায়, প্রস্ফুটিত ফুলরাশির বর্ণচ্চটায়, অলির গুৰুরণে, পৌরভের মাদকতায়ু, নানা অশরীরী হরের মৃচ্ছনায়, তেমনি মামুযের এই আকুলতারও মুক্তি হয়—” “क्टिन ?” "প্রেমে * “কি এ প্রেম ?” "এ এক অপূৰ্ব্ব রহস্য, কেউ জানে না যে কি । দশ খানি মুখের মধ্যে একথানি মুখ, দশজোড়া চোখের মধ্যে দুখানি চোখ, একটি নাক,দুখানি ঠোঁট, একটি চিবুক, একখানি গ্রীবাভঙ্গি কেন যে একদিন বিশেষ হ’য়ে ওঠে মোহন হ’য়ে ওঠে, আকাঙ্ক্ষার বিষয় হ'য়ে ওঠে তা কেউ জানে না ।” তা’র পর একটু থেমে ধীরে-ধীরে বললে—“আর জানে না ব'লেই তা মাহুষের জীবনে এমন অপূৰ্ব্ব রহস্য স্বষ্টি করতে পারে । প্রেমের দেবতা অন্ধ । এই অঞ্চ দেবতার চোখ ফুটিয়ে দিলে প্রেমিক হ’রে উঠবে জ্ঞানী। প্রণয়ীর চিত্তলোকের কাব্য তখন হ’য়ে উঠবে তা’র মানস লোকের বিজ্ঞান । এতে মানুষের লাভ বেশী না ক্ষতি বেশী ত৷ ওজন ক’রে বলা কঠিন।" ক্ষণকাল মৌন থেকে রাজপুত্র জিজ্ঞাসা করলে—“এই প্রেম কোথায় মিলবে ?"