পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wy প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩২ পেরেছে, এই আত্মপ্রসাদে তা’র জাত্মশ্লানি অনেকখানি চাপা পড়ে’ও গিয়েছিল। ধনিষ্ঠাও রাগের ঝোকে জেদের বশে সাধনকে শাস্তি দিয়ে বেশ স্বস্তি আহুভব করছিল না ; সে কিছু শুনতে না পেলেও অনুমান করতে পাবৃছিল যে, তার এই শাসনে গ্রামের আর. কেউ না হোক তো অন্ততঃ সাধন সপরিবারে তার উপর অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছে ; এবং সাধনের পক্ষে যে গ্রামে আর একজনও নেই এও তো হ’তে পারে না । কিন্তু তার উপরে বিরক্তির কারণ থাকা সত্ত্বেও কেউ যে তার একটুও নিন্দ করছে না এইণ্ডেই ধনিষ্ঠার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়ে উঠতে লাগল। যদি কেউ ঘূণাক্ষরেও তার নিন্দ কবুত তা হ’লে তার রুপ ও প্রসাদ পাবার লোভে সে খবর কেউ না কেউ ঠিক তার কানে পৌছে দিত ; কিন্তু তা যখন আজ পর্য্যস্ত হয়নি তখন ধনিষ্ঠার মনে হতে লাগল যে, হয় গামন্বন্ধ সকলেই তার নিদায় যোগ দিয়েছে, নগ্নতা কেউই কিছু লিনা করছে না। সকলেই ধদি নিন্দ থেকে বিরত হয়ে থাকে তা হ’লে এই অস্বাভাবিক ব্যাপারের কারণ নিশ্চয়ই ভার কাছ থেকে দও পাবার ভয় ছাড়া আর কিছু হ’ক্তে পারে না । ধনিষ্ঠার এক-একবার মনে হতে লাগল অনলকে অথবা মাধবীকে জিজ্ঞাসা করে, কেউ তার কিছু নিন্দ করছে কি না । কিন্তু তার অহঙ্কার তাকে সেই কৌতুঙ্গল প্রকাশ করতে বাধা দিতে লাগল। কিন্তু তার কৌতুহল হয়েছিল বলেই তার মন সকলের আচরণ ও বচন-সম্বন্ধে সজাগ-হয়ে উঠেছিল ; সে জানলার গড় খড়ির পার্থী তুলে বাইরে পথের উপর দৃষ্টি পেতে বসে বসে’ সকলকে লক্ষ্য করুত , তার মনে হ’তে লাগল লোকে গৌরীকে দেখলে হয় বিরক্তিতে মুখ বিকৃত করে, নয় মুখ টিপে “হাসে, আর নয় তো তাকে পরিষ্ঠার করে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে' চলে’ যায়। কিন্তু ধনিষ্ঠ। নিজের মনকে বোঝাতে লাগল, তার মন সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছে বলেই সে নিজের সন্দেহ ও কল্পনাকে অপরের উপর আরোপ করছে, বাস্তবিক কারো ব্যবহারে কোনো ব্যতিক্রম घटकैनिं । * ধনিষ্ঠYযখন অপ্রকাগু কৌতুহলে ও সন্দেহে দোমনা [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড श्र चबलि चश्ब्द कवृहिण, उशन अरूनि इ*ा९ खात्र কাছে গ্রামবার্তা মূৰ্ত্তি ধারণ করে এসে উপস্থিত হ’ল। সেই গ্রামে একজন ব্ৰাহ্মণী বিধবা বাস করে, সে গ্রামের ছেলেবুড়ে, বৌ-ঝি সকলেরই সরকারী জানোদিদি। সে বাড়া চার হাত লম্বা, মোটা-সোটা, অঁাটলটি, বলিষ্ঠ ; মুখখান তোলে হাড়ির মতন, ঠোঁটের উপর দিব্য গোফের সমারোহ, চিবুকে স্থানে স্থানে ছু-এক গুচ্ছ দাড়িরও চিহ্ন দেদীপ্যমান ; তার কণ্ঠস্বর গম্ভীর কর্কশ ; মেজাজ কড়া এবং স্পষ্টভাষিণী বলে’ গ্রামে তার বিশেষ খ্যাতি আছে ও সেইজন্য সকলেই তাকে বেশ একটু ভয় করে চলে। তাকে দেখলেষ্ট মনে হয় ভগবান তাকে পুরুষ গড় তে-গড়তে রঙ্গ দেখ বার খেয়াঙ্গে তাকে মেয়ে করেছিলেন । তার বয়স যে কত ত৷ ভাব চেহারা দেখে আন্দাজ করা শক্ত ; তার যে-রকম অঁাটালো চেহারা,তাতে তাকে পঞ্চাশের বেশী বয়সের মনে করা কঠিন ; কিন্তু নিজে সে কখনো বয়সের হিসাপ না দিলেও গ্রামের বৃদ্ধতম লোককেও নাম ধধে’ ডাকে এবং সকলকেই সে হতে দেখেছে ও কোলে-পিঠে করে’ মাহম করেছে এমন খবর সে প্রায়ই কারণে-অকারণে ঘোষণা করে থাকে। তাই সে সকলেরই জানো-দিদি, সঙ্কম ও ভয়ের পাত্রী । তার জানো নামটি জানকী অথবা জাহ্নবী বা জানোয়ার কোন শধের অপভ্রংশ তা শবতাত্বিকদের গবেষণার বিষয় হ'লেও গ্রামের লোক তা নিয়ে কোনো দিন মাথা ঘামায়নি, তারা আচণ্ডাল ও আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই জানো-দিদি বলে’ই নিশ্চিষ্ণ । জানো-দিদি ব্রাহ্মণ বলে সকলের পূজনীয় ; সকলের চেয়ে বয়সে বড় বলে মাননীয়, স্পষ্টবাদিনী রুক্ষপ্রকৃতি বলে’ বিভীষণ । জানো-দিদি বিধবা নিঃসন্তান নিরাত্মীয়া ; লোকে বলে তার হাতে বেশ দ্ব-পয়সা পুজি আছে, এবং কঙক গুলি শিষ্য-সেবক, থাকাতে তার একার খোরাক-পোশাকের छछ दिङ्कई डाय एङ ३ग्न ना ; डांब्र दांप्लेौ िनिरूद्र अकख জমির উপর, স্বতরাং জমিদারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই"। এইসব কারণে জানো-দিদি ভয় কাকে বলে তা জানে না ; সে সকলের কাছে সমান মুখফোড় জার বে-পরোয়, জমিদারকে পৰ্য্যপ্ত সে উচিত কথা শুনিয়ে