পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] শূদ্রধৰ্ম্ম ২১৩ শ্রমজীবীরা সমাজের সেই গরজের কথাটা মাথা নাড়া দিয়ে সমাজের নিষ্কৰ্ম্ম, বা পরাসক্ত বা বুদ্ধিজীবীদের জানান দেয় তখন সমাজে একটা ভূমিকম্প উপস্থিত হয় । তখন কোথাও বা কড়া রাজশাসন, কোথাও বা তাদের আরজি মঞ্জুরির দ্বারা সমাজ রক্ষার চেষ্টা হয় । আমাদের দেশে বৃত্তিভেদকে ধৰ্ম্মশাসনের অন্তর্গত ক'রে দেওয়াতে এরকম অসন্তোষ ও বিপ্লবচেষ্টার গোড়া নষ্ট ক'রে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে ক’রে জাতিগত কৰ্ম্মধারাগুলির উৎকর্ষ সাধন হয়েছে কি না ভেবে দেখ বাব বিষয় । যেসকল কাজ বাহ অভ্যাসের নয়, বা মুদ্ধিমুলক বিশেষ ক্ষমতার দ্বারাই সাধিত হ’তে পারে, তা ব্যক্তিগত না হ’য়ে বংশগত হ’তেই পারে না । যদি তা’কে বংশে আবদ্ধ করা হয়, তা হ’লে ক্রমে তা’র প্রাণ ম'রে গিয়ে বাইরের ঠাটুটাই বড়ো হ'rয় ওঠে। ব্রাহ্মণের যে-সাধনা আক্তরিক তা’র জন্যে ব্যক্তিগত শক্তি ও সাধনার দরকার ; যেটা কেবলমাত্র আঙ্গুষ্ঠানিক, সেটা সহজ । আগুষ্ঠানিক আচার বংশানুক্রমে চলতে চলতে তা’র অভ্যাসটা পাকা ও দস্তুটা প্রবল হতে পারে, কিন্তু তা’র আসল জিনিষটি ম’রে যাওয়াতে আচারগুলি অর্থহীন বোঝা হ’য়ে উঠে জীবনপথের বিঘ্ন ঘটায়। উপনয়ন প্রথা একসময়ে আর্য দ্বিজ্ঞদের পক্ষে সত্য পদার্থ ছিল,—তা’র শিক্ষা, দীক্ষা,ব্ৰহ্মচর্যা, গুরুগৃহবাস সমস্তই তখনকার কালের ভারতবর্ষীয় আৰ্য্যদের মধ্যে প্রচলিত শ্রেষ্ঠ আদর্শগুলিকে গ্রহণ করবার পক্ষে উপযোগী ছিল। কিন্তু যেসকল উচ্চ আদর্শ আধ্যাত্মিক, যার জন্তে নিয়ত জাগরূক চিৎশক্তির দরকার সে তো স্বত পদার্থের মশে কঠিন আচারের পৈতৃক সিন্ধুকের মধ্যে বদ্ধ করে রাখবার নয়। .সেইজন্তেই স্বভাবতই উপনয়ন প্রথা এখন প্রহসন হ’য়ে দাড়িয়েছে। তা’র কারণ উপনয়ন যে-আদর্শের বাহন ও চিহ্ন সেই আদর্শই গেছে সরে। ক্ষত্রিয়েরভ সেই দশ, কোথায় যে সে, তা’কে খুজে পাওয়া শক্ত। যারা ক্ষত্ৰিয়বর্ণ বলে পরিচিত জাতকৰ্ম্ম বিবাহ প্রভৃতি অনুষ্ঠানের সময়েই তারা ক্ষত্রিয়ের কতকগুলি পুরাতন अॉफ़ॉन्न *ोंजन क८ङ्ग भांब ।। বড়ে বেশি অনুভব করে । এদিকে শাস্ত্রে বলচেন স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্ৰেয়ঃ পরধর্শে ভয়াবহ । এ-কথাটার প্রচলিত অর্থ এই দাড়িয়েছে যে, ধে-বর্ণের শাস্ত্রবিহিত যে-ধৰ্ম্ম তাকে, তাই পালন কবৃতে হবে । এ-কথা বললেই তা’র তাৎপর্যা এই দাড়ায় যে, ধৰ্ম্ম-অস্থশাসনের যে-অংশটুকু অন্ধভাবে পালন করা চলে, তাই প্রাণপণে পালন করতে হবে, তা’র কোনো প্রয়োজন থাকৃ তার নাই থাক, তাতে অকারণে মানুষের স্বাধীনতার খৰ্ব্বত ঘটে কা’র ক্ষন্তি গেক । অন্ধ আচারের অত্যাচার অত্যস্ত বেশি,তা’র কাছে ভালো-মন্দর আস্তরিক মূল্যবোধ নেই। তাই যে শুচিবায়ুগ্ৰস্ত মেয়ে কথায় কথায় স্নান করতে ছোটে, সে নিজে চেয়ে অনেক ভালো লোককে বাহগুচিতার ওজনে ঘৃণাভাঙ্গন মনে করতে দ্বিধ বোধ করে না। বস্তুত তা’র পক্ষে আন্তরিক সাধনায় কঠিনতর প্রিয়াস অনাবশ্যক। এই জন্তে অহঙ্কার ও অন্যের প্রতি অবস্থায় তা’র চিত্তের অশুচিত্ত ঘটে। এই স্কারণে আধুনিককালে যারা বৃদ্ধিবিচার জলাঞ্জলি দিয়ে ব্রাহ্মণসভার মতে স্বধৰ্ম্মপালন করে, তাদের ঔদ্ধতা এতই দুঃসহ, অথচ এত নিরর্থক । অথচ জাতিগত স্বধৰ্ম্ম পালন করা খুবই সহজ যেখানে সেই স্বধৰ্ম্মের মধ্যে চিত্তবৃত্তির স্থান নেই। বংশানুক্রমে ইড়ি তৈরি করা, বা ঘানির থেকে তেল বের করা বা উচ্চতর বর্ণের দাস্যবৃত্তি করা কঠিন নয়—বরং তাতে মন যতই ম’রে যায়, কাজ তত্তই সংজ হ’য়ে আসে। এইসকল হাতের কাজেরও নূতনতর উৎঞ্চর্য সাধন করতে গেলে চিত্ত চাই। বংশানুক্ৰমে স্বধৰ্ম্ম পালন করতে গিয়ে তা’র উপযুক্ত চিত্তও বাকি থাকে না, শাহ্য কেবল ঘ্ৰ হ’য়ে একই কৰ্ম্মং পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। যাই ঠোক্, আজ ভারতে বিশুদ্ধভাবে স্বধর্শ্বে টি কে আছে কেবল শূত্রেরা। শূত্রত্বে তাদের অসন্তোষ নেই। এইজয়েই ভারতবর্ষের নিমকে-জীর্ণ দেশে-ফেরা ইংরেজ-গৃহিণীর মুখে অনেকবার শুনেছি, স্বদেশে এসে ভারতবর্ষের চাকরের অভাব তা’র ধৰ্ম্মশাসনে পুরুষাঙ্গুক্ষমে যাদের চাকর বানিয়েছে তাদের মতো চাকর পৃথিবীতে কোথায় পাওয়া যাবে? লাথিবীটা বর্ষণের মধ্যেও তারা স্বধৰ্ম্মরক্ষা করতে কুষ্ঠিত হয় না। তা’র ভো কোনো লে