পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*२98 প্রবাসী—অগ্রহায়에, లిలిషి [ २०* छां★, २ग्न थe সম্মানের দাবী করেনি, পায়ওনি, তারা কেবল শূত্রধর্ম ’অত্যন্ত বিশুদ্ধভাবে রক্ষা করেই নিজেকে কৃতাৰ্থ মনে করেছে । আজ যদি তা’র বিদেশী শিক্ষায় মাঝে মাঝে আত্মবিশ্বত হয়, তবে ব্রাহ্মণসভা তাদের স্পৰ্ব সম্বন্ধে আঙ্কোশ প্রকাশ করে । স্বধৰ্ম্মরত শূত্রের সংখ্যাই ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি, তাই একদিক থেকে দেখতে গেলে ভারতবর্ষ শূত্রধর্শেরই দেশ । তা’র নানা প্রমাণ ইতিহাসে পাওয়া গেছে । এই অতি প্রকাও শূত্রধর্থের জড়ত্বের ভারাকর্ষণে ভারতের সমস্ত fঃ দু সম্প্রদায়ের মাথা হেঁট হয়ে আছে। বুদ্ধিসাধ্য ংজ্ঞানসাধ্য চরিত্র-শক্তিসাধ্য যেকোনো মহাসম্পদলাভের সাধন আমরা আজ করতে চাই ও এই প্রবল শূন্ত্রত্বভার ঠেলে তবে করতে হবে-তা’র পরে সেই সম্পদকে বৃক্ষ করবার ভারও এই অসীম অন্ধতার হাতে সমর্পণ করা ছাড়া আর উপায় নেই। এই কথাই আমাদের ভাব ব্যয় কথা । এই শূত্রপ্রধান ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড়ে দুৰ্গতির যে ছবি দেখতে পাই,সেই পরম আক্ষেপের কথাটা বলতে বসেছি। প্রথমবারে যখন জাপানের পথে হংকঙের বন্দরে আমাদের জাহাজ লাগল, দেখলুম সেখানে ঘাটে একজন পাঞ্জাবী পাহারাওয়ালা অতিতুচ্ছ কারণেএকজন চৈনিকের বেণী ধরে তাকে লাথি মারলে। আমার মাথা হেঁট হ’য়ে গেল। নিজের দেশে রাজভূত্যের লখনধারীকর্তৃক স্বদেশীয় এরকম অস্ত্যাচার-দুৰ্গতি অনেক দেখেছি, দূর সমুদ্রতীরে থিয়েও তাই দেখলুম। দেশেবিদেশে এরা শুভ্রধশ্বপালন কবৃচে। চীনকে অপমানিত করবার ভার প্রভূর হয়ে এর গ্রহণ করেচে। সে সম্বন্ধে এর কোনো বিচার করতেই চায় না, কেননা এর শূত্রধর্থের হাওয়ায় মানুষ। নিমকের गश्च गांशै। शय्यूब cनीशब७वा गश्रख३ उrrरु वश्व লঙ্ঘন ক’রে ষায়, তাতে আনন্দ পায়, গৰ্ব্ব বোধ করে। চীনের কাছ থেকে ইংরেজ যখন হংকঙ, কেড়ে নিতে গিয়েছিল তখন এরাই চীনকে মেরেছে। চীনের বুকে এদেরই অস্ত্রের চিহ্ন অনেক আছে—সেই চীনের বুকে যে চীন আপন হৃদয়ের মধ্যে ভারতবর্ষের বুদ্ধদেবের পদচিহ্ন ধারণ করেছিল, সেই ইংলিং হিউয়েনুলাভের চাঁন? মানব-বিশ্বের আকাশে আজ যুদ্ধের কালো মেঘ চারদিকে ঘনিয়ে এসেছে। এদিকে প্যাসিফিকের তীরে ইংরেজের তীক্ষ্ণচঞ্চু খরনধর-দারুণ শোনতরণীর নীড় বাধা হচ্চে। পশ্চিম মহাদেশে দিকে দিকে রব উঠেছে যে, এসিয়ার অস্ত্রশালায় শক্তিশেল তৈরি চলচে, যুরোপের মৰ্ম্মের প্রতি তা’র লক্ষ্য। রক্ত মোক্ষণক্লান্ত পীড়িত এসিয়াও ক্ষণে ক্ষণে অস্থিরতার লক্ষণ দেখাচ্চে। পূৰ্ব্বমহাদেশের পূৰ্ব্বত্তম গ্রান্তে জাপান জেগেছে, চীনও তার দেওয়ালের চারদিকে সিধ কাটার শব্দে জাগ বার উপক্রম কবৃচে। হয়তে একদিন এই বিরাট বায় জাতি তা’র বন্ধন ছিন্ন করে উঠে দাড়াতে চেষ্টা করবে হয়তো একদিন তা’র আফিমে আবিষ্ট দেহ বহুকালের বিষ ঝেড়ে ফেলে আপনার শক্তি উপলব্ধি করতে পারবে। চীনের থলিঝুলি যার ফুটো করতে লেগেছিল, তা’র চীনের এই চৈতন্যলাভকে যুরোপের বিরুদ্ধে অপরাধ য’লেই গণ্য করবে। তখন এসিয়ার মধ্যে এই শূত্রভারতবর্ষের কী কাজ ? তখন সে যুরোপের কামারশালায় তৈরি লোহার শিকল ৰাধে ক’রে নিৰ্ব্বিচারে তা’র প্রাচীন বন্ধুকে বধিতে যাবে। সে মার্বে,সে মরবে। কেন মার্বে, েকন মরূবে একথা જન્ન করতে তা’র ধর্থে নিষেধ। সে বলবে স্বধর্ণে হননং শ্ৰেয়, স্বধর্শ্বে নিধনং শ্ৰেয় । ইংরেজসাম্রাজ্যের কোথাও সে সম্মান চাইও না,পায়ও না—ইংরেজের হয়ে সে কুলিগিরির বোঝা ব’য়ে মরে,যে-বোঝার মধ্যে তা’র অর্থ নেই,পরমার্থ নেই, ইংরেজের হয়ে পরকে সে তেড়ে মাৰ্বতে যায়,যে-পর ভা’র শক্র নয়, কাজ সিদ্ধ হবামাত্র আবার তাড়া খেয়ে তোষাখানার মধ্যে ঢোকে। পূত্রের এই তো বহু যুগের দীক্ষা। তার কাজে স্বার্থও নেই, সন্মানও নেই, আছে কেবল স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্ৰেয়ঃ এই বাণী । নিধনের অভাৰ হচ্চে না ; কিন্তু তার চেয়েও মানুষের বড় দুৰ্গতি আছে, যখন সে পরের স্বার্থের বাহন হয়ে পরের সর্বনাশ করাকেই অনায়ালে কৰ্ত্তব্য ৰ'লে মনে কয়ে। অতএব এতে আশ্চর্য্যের কথা নেই যে, যদি দৈবক্রমে কোনোদিন ব্রিটানিয়া ভারতবর্ষকে হারায় তা ran fartin cow wow, “I miss my best servant.”