পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] একটু আমার সঙ্গে", বলিয়। নবাগত শৈলর হাত ধরিয়া টানিতে-টানিতে সে চলিতে আরম্ভ করিল। শৈল একটুখানি আপত্তি প্রকাশ করিয়া বলিল, “আমার যে দেরী হয়ে যাবে মালি, মা আমাকে শিগগির করে ফিরতে বলেছে।” "কেন লা ? তোর বর আসবে বুঝি আজ ?” মেয়েটি লাল হইয়া উঠিয়াই তাহার কথার উত্তর দিল । “আচ্ছা যা, আমি একলাই এটুকু যেতে পারব,"বলিয়া সরোজিনী শৈলকে ছাড়িয়া দিয়া চলিতে আরম্ভ করিল। ছিদামের বাড়ী বেশী দূর নয়। বাড়ীর কাছাকাছি আসিয়াই সরোজিনী দেখিল, তাহার চার বছরের ছেলে কাকু বলিয়া-বসিয়া একটা ছাগলছানাকে কচি পাতা আর ঘাস খাওয়াইভেছে। ছিদামের নাভি পাণ্ডা-ঘাস কুড়াঙ্গয়া আনিতেছে এবং নাত্বটি আপনার পাধের মল খুলিয়া ছাগলের পায়ে পরানোর চেষ্টার ব্যস্ত । চতুষ্পদটি এ-প্রকার প্রসাধনে প্রবল আপত্তি করিলেও তাহাকে মোটেই নিষ্কৃতি দেওয়া হইতেছে না। ঠাস ঠাস করিয়া গোটকতক চড় লাগাইয়া দিয়া সরোজিনী ছেলের হাত ধরিয়া টানিতে-টানিতে বাড়ী আসিয়া হাজির হইল। ছেলে সারাপথ আৰ্ত্তনাদে মুখর করিয়া তুলিল। বাড়ীতে পদার্পণ করিয়াই সরোজিনী পড়িল তাহার পূজনীয়া মেজমসির সামুনে। তিনি বারাও'র উপর দুই পা বথাসম্ভব ছড়াইয়া বসিয়া হাই তুলিতেছিলেন। বোনঝিকে দেখিয়াবলিলেন,"ছেলেটাকে আমন করে ঠাণ্ডাচ্ছিস কেন রে ?” “ন ঠেঙিয়ে করি কি ? যা লক্ষ্মীছাড়া ছেলে, কোৰু দিন জলে ডুবে মরবে ! গিয়ে দেখি পুকুরপাড়ে বসে কাদা নিয়ে খেলছে।” “আমি পুকুরপাড়ে যাইনি, আমি ছাগলছানা নেবো ও-ও-ও”, করিয়া কান্থ আবার চীৎকার স্বরু করিল। পাছে সব কথা ফাশ হইয়া যায় সেই ভয়ে ছেলেকে আরো গোটা কয়েক চড় লাগাইয়া সরোজিনী তাহার কথা বলার পথ বদ্ধ করিয়া দিল । “কি ছেলে-ঠ্যাঙানীই হয়েছিল বাছ, দশটা না পাঁচটা না, ঐ ত একটাতে ५rग dएकाइ भ८ब्र' करब्र', छांटक७ ब्रांड निन कफ़ e في دعوجة দেবতার গ্রাস চাপড় !" বলিয়া বৃদ্ধ আবার হাই তোলায় মন দিলেন। মাঙ্গীর কথায় সরোজিনীর ছেলে ঠ্যাঙানোর উৎসাহ হঠাৎ যেন অস্তধান করিল। সে কান্থকে ছাড়িয়া দিয়া নিজের শোবার ঘরে গিয়া ঢুকিল । সরোজিনীর বিবাহ হইয়াছিল নিকটেরই এক গ্রামে। বিবাহের পর প্রথম প্রথম প্রতি বৎসরই সে পূজার সমর বাড়ী আসিত। দুই একটি ছেলে মেয়ে হওয়ার পর ক্রমে বাপের বাড়ী আসাট তাহার কমিয়া আসিল । এইবার সে আসিয়াছে চার পাচ বৎসর পরে। ইহার ভিতর মুখ-দুঃখের কত প্লাবন তাহার উপর দিয়া বহিয়া গিয়াছে তাহার ঠিকানা নাই । তিনটি সপ্তানের মধ্যে দুইটি ভাহাকে ছাড়িয়া গিয়াছে । অবশিষ্ট যেটি আছে ভাহাকে লইয়া সরোজিনীর আশঙ্কার অন্ত নাই । কান্থকেও কি আর বিধাতা তাহার মত হতভাগিনীর কাছে রাখিবেন ? তাহার মাতৃপ্তদগ্নেয় সমস্ত ঐশ্বর্ঘ্য সে উজাড় করিয়া এই শিশুদেবতার নিকটেই উৎসর্গ করিতে চাহিত, আবার ভয়ে হাত গুটাইয়া লইত । এই জন্য ছেলের প্রতি ব্যবহারে তাহার কোনো সামঞ্জত ছিল না। কখনও তাহাকে আদরে আদরে ডুবাইয়া রাখিত, কখনও বা তাহার অদুষ্টে চড়চাপড় বকুনি ভিন্ন কিছুই জুটিত না। দেশের বাড়ীতে থাকিতে এইরূপ ব্যবহারে কাছুর কিছু অন্ধবিধা ছিল, কারণ মায়ের আদর বা অনাদর কোনো কিছু হইতেই তাহার পলাইয়া নিষ্কৃতি পাইবার উপায় ছিল না। বাড়ীর যে ক’টা কি চাকর ছিল, সব ক'জন এই একমাত্র শিশুর পিছনে ঘুরিত। একটু সদর দরজার চৌকাঠ মাড়াইলেই তাহাকে গ্রেপ্তার হইয়া ফিরিয়া আসিতে হইত। কিন্তু মামার বাড়ী আসিয়া সে বাচিয়া গিয়াছিল। মাও এখানে সারাক্ষণ তাহাকে জাগ লাইয়। রাখিতে সময় পায় না ; বাল্যসখী, ভ্রাতৃজায়া প্রভৃতির সঙ্গে গল্প করিয়া, তাস পাশা খেলিয়া তাহার অনেকটা সময়ই কাটিয়া যায়। জরিদ্রের সংসারে ঝি-চাকরের বালাইও বিশেষ ছিল না, কাজেই মায়ের হাত হইতে ছাড়া পাইলেই কামুর ङ्लि अवांश श्रृंठि ।