পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ e প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ [ २८* छां★, २ग्न थ७ খাব না, মুড়ি খাব । আমাকে মামাবাড়ী নিয়ে চল, সেখানে মুড়ি আছে।” সরোজিনী সাঙ্কনার স্বরে বলিল, "আচ্ছা, মুড়ি ভেজে নিয়ে আসছি, তুমি আগে দুধটা খেয়ে নাও।” শুধু মুড়িতে ভুলিবার ইচ্ছা কামুর ছিল না, সে একটুখানি দুধ খাইয়া বাটিটা ঠেলিয়া দিয়া বলিল, “আমি মামাবাড়ী যাব ।” সরোজিনী বলিল, “আচ্ছা, তাই যাস এখন, আগে ভাল হ’য়ে নে ৷” কাকু কিন্তু ভাল হইবার কোনো লক্ষণ দেখাইল না । তা চার জয় বাড়িতে লাগিল সর্দি-কাশিও দেখা দিল । সরোজিনীর স্থান্নাকাটিতে বীরেন সঙ্গরে গিয়া ভাল ডাক্তার ডাকিয়া আনিল । তিনি অনেক গুলি ঔষধের ব্যবস্থা করিয়া চলিয়া গেলেন, কিন্তু রোগীর রোগের কোনোই প্রভিকার তাঙ্গাতে হুইবে বলিয়া মনে হইল না । ছেলে ক্রমেই যেন নিঝুম ইইয়া পড়িতে লাগিল ; কথাবাৰ্ত্ত কান্নাকাটি পর্যাঙ্ক যেন তাহার বন্ধ হইয়া গেল । গ্রামে এক বৃদ্ধ হোমিওপ্যার্থী চিকিৎসা করিতেন। সরোজিনী কঁদিয়া কাটিয়া তাঙ্গর কাছে গিয়া উপস্থিত হইল। তিনি রোগের ইতিহাস শুfনঃ বলিলেন, “তা মা, ওষুধ আমি দিতে পারি, কিন্তু ডাক্তারী ওষুধের সঙ্গে ত আমার যুদ্ধ চলবে না।” সরোজিনী বলিল, “আমি ডাক্তারী ওষুধ দেব না, আপনাব ওষুধষ্ট দিন ।” বাউী আসিয়া দেখিল বীরেন কান্তকে ওষুধ খাওয়াইয়৷ রাখিয়াছে । দুটা ভাল ঔষধে দ্বিগুণ উপকারের আশা করিয়া সবোঙ্গিনী গেমিওপ্যাধীর ঔষুধটাও লুকাইয়া খাওয়াইয়া দিল । একবার নয় কয়েক বা এই কাকুর উপর দুই ধরণের চিকিৎসার পরীক্ষণ হইয়া গেল। জরট। কিন্তু এগোপার্থী বা হোমিওপ্যাথী কাহারও উপর পক্ষপাত না দেখাইয়া আপন মনে বাড়িয়াই চলিল । ভোবের বেঙ্গ স<োজিনী দুঃস্বপ্ন দেখিয়া কাদিয়া জাগিয়া উঠিল। অদূরে থাটের উ র তাহার স্বামী শুষ্টয়া ঘুমাইতেছিল, তাহাকে ঠেলিয়া দিয়া বলিল, “খোকাকে দেখো একটু, আমি আসছি এখুনি কালীবাড়ী থেকে ।” ভাঙ্গার স্বামী বলিল, “এখন তোমায় কোথাও যেতে হবে না, আগে ছেলের দুধ জাল দিয়ে দাও।” সরোজিনী তাহার কথায় কান না দিয়া বাহির হইয়া গেল । ফিরিয়া আসিতে তাছার লাগিল অনেকক্ষণ । একমনে দেবীর কাছে কি সে প্রার্থনা করিতেছিল সেই জানে, কিন্তু সময়ের জ্ঞান তাহার জার ছিল না। পীড়িত পুত্রের পথ্যের ব্যবস্থা সে করিয়া আসে নাই, তাহাও যেন তাঙ্গার মনে ছিল না । বাড়ী ফিরিয়া সে দেখিল তাহার স্বামী অন্যস্ত বিরক্ত মুখ করিয়া বসিয়া আছে। সরোজিনীকে দেখিয়া বলিল, “কি ঘোড়ার ডিম করছিলে এতক্ষণ ধরে? রোগী ছেলেটা ক্ষিদেয় চেচিয়ে মরছিল! তোমার যদি কোনে কাও জ্ঞান আছে ?” স্বামীর কথার অবজ্ঞা কাহার উপর গিয়া যে পড়িল ভাবিয়া সরোজিনী ভয়ে শিহরিয়া উঠিল। যাহার কাছে সে এতক্ষণ মাথা কুটিয়া কৃপা ভিক্ষা করিতেছিল, তাহাকেই যে বীরেন্দ্র তুচ্ছ করিতে চায় ! সে প্রসঙ্গটা তাড়াতাড়ি চুকাইল ফেলিবার জন্য বলিল, “মা কালীর কাছে জোড় পাট ১ানত করে’ এলাম, তিনি আমার বাছাকে ভাল করে দিন। ওকে কিছু কি খাইয়েছ, না দুধ নিয়ে আসূব ?” বীকেন্দ্র অপ্রসন্ন মুখ করিয়া বলিল, “ন খেলে কি আর এতক্ষণ রক্ষে রাখত ? দুধ জাল দিয়ে অৰ্দ্ধেক ত নিজের হাতের ওপরেই ফেলেছি । পার ত একটু আলু বাটা টাটা এনে দাও, জলে’ মরুছি তখন থেকে।” রাতটা সরোজিনী একরকম বসিয়াই কাটাষ্টয়া দিল । এক একবার তাঙ্গার ঘুম আসিতে লাগিল, কিন্তু আগের রাতের দুঃস্বপ্লেব স্থতি তাঙ্গকে বারবার ঘুমেব সিংহদ্বার হক্টতে ফিরাষ্টয় আfনতে লাগিল । সে উঠিয়া বসিয়া একবার নিদ্রিত পুত্রের গায়ে হাত বুলাষ্টয়া একবার জানলার ধারে দাড়াষ্টয়া রাতটা শেষ করিয় ফেলল । ভোরের আলোয় পূর্বের আকাশটা যখন স্বচ্ছ হুইয়৷ উঠিতে লাগিল, তখন কেন জানি না তাঙ্কার মনে হুইল বুকের বোঝাটা তাহার ষেন অনেকখানিই হাল্কা । তাড়াতাড়ি কান্থর কাছে ছুটিয়া গিয়া সে তাহার কপালে