পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] হাত দিল। জর যেন অনেক কম। নিজেকে বিশ্বাস হইল না। দুর্ভাগ্যের তাড়না সহ করিয়া করিয়া ছোটখাটো সৌভাগ্যকেও বিশ্বাস করা তাহার শক্ত হইয়া উঠিয়ছিল। আর একবার ছেলের গায়ে হাত দিল । এবারও মনে হইল জর কম । সে বীরেক্সের কাছে গিয়া তাহাকে তুলিয়া দিল, বলিল, “একটু কান্থর গায়ে হাত দিয়ে দেখ ত।” बौरव उग्न शाझेश शफ़शए कब्रिञ्च खेलििब्रा रुनिष्ठा বলিল, “কেন কেন, জর বেশী মনে হচ্ছে নাকি ?” সরোজিনী বলিল,“ষাট বাট, বেশী হতে যাবে কেন ? একটু কম লাগছে তাই তোমাকেও দেখতে বলছি, সত্যি না আমার মনের ভূল ।” বীরেন্দ্র খাট ছাড়িয়া উঠিয়া থার্শ্বোমিটার হাতে করিয়া ছেলের জর দেখিতে গেল । সরোজিনী আশাআশঙ্কায় দুই চোখ ভরিয়া ঐ ছোট কাচের নলটির দিকে চাহিয়া রহিল, উগর উপরেই যেন তাহার জীবন-মরণ নির্ভর করিতেছে। থার্শ্বোমিটার বাহির করিয়া লইয়৷ হারিকেন- ঠনের কাছে ধরিয়া বীরেন্দ্র অনেকক্ষণ ধরিয়া পেখিতে লাগিল। তাহাব স্ত্রী ভয় পাইয়া বলিল, “অভক্ষণ ধরে কি দেখ ছ গে, জর কি কমেনি ? কথা বল নী কেন ?” বীরেন্দ্র চোখ তুলিয়া স্ত্রীর ভয়কাতর মুখের দিকে চাঙ্গিয়া বলিল, “আরে, সব তাতে অত ভয় পাও কেন ? ভয় পেয়েত অনেক দেখলে,কিছু লাভ হ’ল কখনও তাতে । আর কি ছেলেমান্থী কর, কান্না আরম্ভ করলে কেন ? নেষ্ট তোমার কাছুর জর খুবই কম ; প্রায় ছেড়ে গিয়েছে বললেই হয়। এই নাও দেখ আমার কথায় विचाग न! श्ब्र उ ” गtब्राखिनौ प्राशौब्र झांड इहेरङ ..থার্খোমিটার লইয়া দেখিল সত্যই জর নাই বলিলেই হয়, নিরানব্বইয়ের নীচে নামিয়া গিয়াছে। এতক্ষণ পরে সে নিজের সারারাত অব্যবহৃত বিছানার উপর গিয়া লুটাইয়া পড়িল, তাহার মনের যত আশঙ্কা আর উদ্বেগ ধেন চোখের জল হইয়া গলিয়া বাহির হইয়া আসিতে লাগিল । বীরেন্দ্ৰ বুঝিল । সেও কথা না বলিয়া স্ত্রী, পাশে বসিয়৷ তাহার গায়ে হাত বুলাইতে লাগিল । দেবতার গ্রাস રર.8 কাল্পর জর সত্যই ছাড়িয়া গেল। অল্পে-আল্পে সে আবার কথা বলা, অন্যায় আবদার করা, খাইবার জন্ত উৎপাৎ করা, এমন-কি বিছানা ছাড়িয়া দৌড় মারিবার চেষ্টা সবই শুরু করিল। সরোজিনী এতদিন একলা তিনটা মানুষের কাজ করিয়া আসিতেছিল। রাত্রেও অধিকাংশ সময় সে জাগিয়াই থাকিত, তবু তাঙ্গার দেহে মনে শ্রাপ্তি ছিল না। এখন হঠাৎ তাহার সমস্ত শক্তি তাহাকে যেন ত্যাগ করিয়া গেল। সকালে তাহার থাট হইতে দেহটাকে যেন জোর করিয়া টানিয়া তুলিতে হয়, ঘুমের ঘোর যেন সারাদিনের মধ্যে তাহাকে ছাড়িতে চায় না। রান্নাঘরে সে উনানের পাশে বসিয়া-বসিয়া ঢুলিতে থাকে। কোন তরকারিতে কি ধে দিয়া বসে তাহার ঠিকানা নাই। অবস্থা দেখিয়া বীরেন্দ্র বলিল,"আর তোমার রান্না করে কাজ নেই, কোন দিন আগুনের মধ্যে পড়ে মৰ্ববে। আমি তারিণী জ্যাঠার কাছে বলে’ তার বড় বৌটিকে ঠিক করে এসেছি। বিধবা মানুষ সারাদিন শ্বশুরবাড়ীর সকলের গাল-মন্দ খায়, সেও একটু বেরতে পেয়ে বেঁচে যাবে, তোমারও একটু বিশ্রাম হবে । ডাক্তার-বাবু বলছিলেন কাহকে নিয়ে একবার চেঞ্জে যেতে ৷ যে-রকম দেখ ছি—কান্থর চেয়ে কাছুর মায়েরই চেঞ্জের বেশী দরকার।" হাঙয়া বদলানোর প্রয়োজন হইল না, কান্থ ক্রমেই স্বস্থ হইয়া উঠিতে লাগিল। বাড়ীর বাহির হইয়া দৌড় মারিবার উৎসাহ তাহার এমন দ্রুতগতিতে বাড়িতে লাগিল যে, সরোজিনীকে তাহাকে আগ লাইয়। রাখিতেই সারাদিন ব্যস্ত হইয়া থাকিতে হইত। রান্নাবান্নার কাজটা অন্ত মানুষের হাতে পড়ায় তাহার অবগু সময়ের অভাব ছিল না, তবে বিশ্রামের প্রয়োজন তখনও ছিল। কাজেই ছেলের অত্যাচারে বিরক্ত হইয়া মাঝে মাঝে তাহার আগেকার দিনের ছেলে-ঠ্যাঙ্গানোর ভূত তাহাকে পাইয় বসিত। কিন্তু কান্থর গায়ের কাছে গিয়াই তাহার উদ্যত হস্ত নামিয়া পড়িত। এণ্ড ত যাইতেই বসিয়াছিল। আর একটু হইলেই হতভাগিনী মাকে জালাইবার জন্য জগতে আর কেহই অবশিষ্ট থাকিত না। কাছ চিরকালের অভ্যাসমত ঘাড় নীচু ও পিঠ কুঁজা করিয়া-মার