পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) কামুর কোনো চিহ্ন দেখা গেল না, কিন্তু এই সময় কালীবাড়ী হইতে লোক আসিয়া জানাইয়া গেল যে পূজার সময় প্রায় হইয়া জাসিয়াছে, ঠাকুর শীঘ্ৰ করিয়া সব আয়োজন লইয়। তাহাজের যাইতে বলিয়া দিয়াছেন । সবোজিনী তাহাকে “এখুনি যাচ্ছি” বলিয়া বিদায় করিয়া দিল বটে, কিন্তু এখনই যাইবার কোনো উপায় তাহার মাথায় আসিল না। কাকু এবং পান্থর সন্ধান না মিলিলে কিছুই যে কল সম্ভব নয়। তাছার পা কিছুতেই সদর দরজা ছাড়িয়া নড়িতে চাহিতেছিল না, তবু সে জেরি করিয়া ভিতরে গিয়া পূজার জন্য আর যাই কিছু আয়োজন করা দরকার সষ শেষ করিয়া রাখিল । বীরেন্দ্রকে তাগিদ দিয়া স্নান করাইল, নিজেও স্বনি সারিয়া কালীবাড়ী যাইবার উপযুক্ত বেশভূষা করিয়া लड्रेण । এমন সময় সদর দরজার কাছে মানব-শিশু ও ছাগশিশুর এমন একটা মিলিত আৰ্ত্তনাদ শোনা গেল যে, বাড়ীর সকলে কাজ ফেলিয়াছুটিয়া আসিল । অন্য ছাগলছানাটার গলার দড়ি হাতে ধরিয়া যে চাকরটা এতক্ষণ অপেক্ষা করিন্থেছিল, সে কাতুর হাত হইতে পাহকে ছাড়াইয়া লইবার চেষ্টা করিতেছে, তাই এই কাও ৷ কহি প্রাণপণ শক্তিতে ছোট দুই হাতে পাচুকে ধরিয়া আছে, আর যথাসম্ভব ই করিয়া চীৎকার করিতেছে । সরোজিনী তাড়াতাড়ি লেডিয়া কাহকে ধরিতে "য়ে ছেলেকে ধরিবামাত্র চাকরটা একটানে **८क कांश्द्र शङ इहे८ङ झॉफ़ांश्श्री जङ्गेण । .২.াগলের মত মাকে স্বাচড়াইয়া কামড়াইয়া স্থর করিয়া তুলিল, সঙ্গে-সজে কাদিয়া বলিতে লাগিল, "জামি পাল্লুকে কাট তে দেব না।” সরোজিনী ভাবিয়া পাইল না এ খবরটা দয়া করিয়া কান্থকে কে দিয়াছে। সে কান্থকে কোলে-লইবার ব্যর্থ চেষ্টা করিতে করিতে বলিল, “কে বললে তোকে ষে পাছুকে কাটৰে । ওকে স্বান করাতে নিয়ে যাচ্ছে, ময়লা থাকলে যে অস্থখ করবে ।" কায় হাত-পা ছড়িতে ছড়িতে বলিল, “তুমি মিথ্যে দেবতার গ্রাস । "షీలీ কথা বলছ! আমাকে ভোগ বলে দিয়েছে তোমরা ওকে কাট বে। আমি ওকে দেব না।” চাকরটা এই ফাকে ছাগলছানা দুটা লইয়া একেবারে সরিয়া পড়িল । সরোজিনীর মন্দিরে যাইতে অনেক বেলা হইয়া গেল। কান্থকে সে শান্ত করিতে কোনোমতেঃ পারিল না, অবশেষে ননদের হাতে তাহাকে সপিয়া দিয়া কোনো মতে সে বাহির হইল। মন্দিরে বলি ভখনও দেওয়া হয় নাই, সে আসিতেই কাজ আরম্ভ হইল, দেখিতে দেখিতে শেষও হইয়া গেল । বাড়ী ফিরিতে সরোজিনীর কেমন যেম ভয় ভয় করিতে লাগিল, না জানি গিয়া কি দেখিবে । বাড়ীতে ঢুকিবার অনেক আগেই সে ছেলের কান্না শুনিতে পাইল এবং চুকিয়াই খবর পাইল যে কান্থকে নাওয়ানো যায় নাট, খাওয়ানোও যায় নাই । সে মন্দিরে যাইবার জন্তু ছুটিয়া যাইতে গিয়া চৌকাঠে পা বাধিয়া পড়িয়া গিয়াছে এষং তাহার কপাল ফাটিয়া গিয়াছে। ঘরে চুকিয়া দেখিল কাহকে বিছানায় শোয়াইয়া তাঙ্গার পিসী পাশে বসিয়া গায়ে হাত বুলাইতেছে । কান্থর কপাল বেড়িয়া কাপড়ের পটি বাধ, তাহা ভেদ করিয়া রক্তের চিহ্ন ফুটিয়া উঠিভেছে। সরোজিনীর বুকের ভিতরটা যেন ভয় শিহরিয়া উঠিল। এই মাত্র মন্দিরে যে-রক্তস্রোত দেখিয়া আসিল, তাহাই যেন গড়াইয়া এই শিশুর মাথায় আসিয়া লাগিয়াছে। একজনের কল্যাণের জন্ত ধে-রক্তপাত হইল, তাহার ফলে প্রথমে রক্তপাতই ঘটিল ? তাহার দুই চোখ জলে ভরিয়া আসিল, সে মনে মনে দেবীর চরণে সহস্ৰ প্ৰণিপাত করিয়া বলিতে লাগিল, “অবোধ শিশুর অপরাধ নিয়ে না মা, সে না জেনেই তোমার অপমান করেছে। ওর যেন কোনো অকল্যাণ না হয়।” বীরেন্দ্র কোথায় যেন বেড়াইতে গিয়াছিল, বাড়ী কিরিয়া গ্রীকে কাদিতে দেখিয়া সে অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি হ’ল আবার " সরোজিনী বলিল, “ঘরে গিয়ে দেখ।” বীরেন্দ্র আর কথা না বলিয়া ঘরের ভিতর চলিল এবং মিনিট দুইয়ের