هصراخ এক্ট, যে, প্রবলপ্রভাপাশ্বি ভ ব্রিটিশ সরকারকে হায়রান পরেশান করিবার নৈমিত্ত একটা বোম, কয়েকট বন্দুক, কয়েকট কাৰ্বল্প ও কিছু এসিড, কি যথেষ্ট? পঞ্চাবে বোমী ছুড়িয়া দস্থাত অল্প দিন পূৰ্ব্বে হইয়া গিয়াছে ; কিন্তু তfঙ্গ বিপ্লবীদের কাজ বলিয়। বিবেচিত হয় নাই । অতএব বন্দী কঙ্গে, আপনার সঙ্গচর আর এক জবাবী ঘটনার প্রয়োজন যাহাতে আরও বেশী বোমা গ্রেপ্তাব হইলে । অরাজনৈতিক সাধারণ গুগু ও ডাকাতদের নিবট, থানাতল্লাসীতে গ্রেপ্তারীকৃত রিভলভার ও কার্ভ জ অপেক্ষা, ঐরূপ জিনিষ অনেক বেশী আছে। কিন্তু তাহারা বিপ্লী বলিয়া রাজসম্মান লাভ করে না । সায়েন্স, কলেজ, প্রেসিডেন্সী কলেজ, স্কটিশ চার্চেজ কলেজ, সেন্ট জেভিয়াস কলেজ, স্ত’কৃ<াদের দোকান, গিণ্টিকারীদের uদাকান, ইংরেজ দের দোকান, প্রভৃতি থানাতল্লাসী করিত্রে নানারকম এসিড আরও অধিকপরিমাণে গ্রেপ্তার করা যাইতে পারে। কিন্তু ষ্টই নিশ্চিভ, যে, এইসকল স্থান বিপ্লবীদের আড ড' নহে ।” যাহার কয়েকটা বোম, ক্লিভলভার প্রভৃতির দ্বারা দেশকে স্বাধীন করিতে কিম্বা ইংরেজের পিলে চম্স্কাইয়া দিতে চায়, এরূপ বুদ্ধিমান লোক বাংলাদেশে একেবারেই নাই, জোর করিয়া বলা যায় না । দেশকে স্বাধীন করিতে হইলে যে প্রকার যুদ্ধের আয়োজন অrবগু ক, তাহা ইতিহাসে লেখা আছে ; বঙ্গের সত্যিকার বিপ্লীর সেরূপ কোন আয়োঞ্চন ক<িতে পারেম নাই। তবে যদি ইংরেজের পিলে চম্স্কাইতে কেহ চান, র্তাখাকে আগে প্রমাণ করিতে হুইবে, যে, ইংরেজদের পিলে আছে । কেমন, দেখা যাইতেছে, এ পর্যাঙ্ক ভারতবর্ষে যন্ত লোক পিলে ফাটিয়া মরিয়াছে, তাহারা সবাই দেশী আদমী ; গোল নয়, ফিরিঙ্গীও নয় । কতিপয় বোমা রিভলভারাদি দ্বারা দেশ-উদ্ধার-প্রয়াগী বুদ্ধিমান লোকের অস্তিত্ব বঙ্গে যেমন অসম্ভব নহে, তেমনি কিছু “বিবেচনা” করিলে, বিপ্লবচেষ্টা কিম্ব অস্ত্রশস্ত্র বা বিস্ফোরক পদার্থ রক্ষা অপরাধে জেলে যাইভে প্রস্বত বেকার ম্যালেরিয়া গ্রস্ত ভাড়াটিয়া “ভদ্রলোক” বাংলা দেশে পাওয়াও অসম্ভব নহে। বস্তু : পূৰ্ব্বেক্ত-প্রকারের লোকের অস্তিত্ব অপেক্ষা শেষোক্তপ্রকার লোকের প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩২ { ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড অস্তিত্বের সম্ভাবনা বেশী। যদি সরকারের কোন দোন্ত, বেকার-সমস্তার এক্ট সমাধান আবিষ্কার করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয় তারিফ অপেক্ষাও দামী আর কিছু জিনিষ পাইবার উপযুক্ত। যাহা হউক, পুলিস্ লোককে যাহা বিশ্বাস করাইতে চীন, আমং। সেই বিপ্লবপ্র8াসের ও বিপ্লবীদের অস্তিত্ব মানিয়া লইয়াও কিছু বলিতে ইচ্ছা করি। যখন অনেক বৎসর পূৰ্ব্বে গবর্ণমেণ্ট বিপ্লবী বলিয়া সন্মেষ্ঠ করিয়া অরবিন ঘোষকে গ্রেপ্তার করেন, তখন বাস্তবিকই এমন একজন মাথা-ওয়াল লোককে পাঞ্চড়াও করা হয় ধিমি পুথিবীর মনীষীদের মধ্যে গণিত হইবার যোগ্য। যাহা হউক, ভিনি বিচারে থালাস পাষ্টলেন । তাঙ্গার পর যদিও তিনি অনেক দিন ব্রিটিশশাসিত ভা-তে ছিলেন, তথাপি বিপ্লবী বলিয়া আর ভাঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই । তৎপরে ভিণি বহু বৎসর ফরাসীর অধিকৃত পণ্ডিচেরীতে বাগ কfরতেছেন। তিনি সেখান হইতে বিপ্লবের যড়যন্ত্র চালাইতেছেন, ইহা এখন ইংরেজরাও কল্পনা করে না ; কহিলে মিত্ৰশক্তি ফ্রান্সের সাহায্যে তঁ তাকে কবলি ই করিবার চেষ্ট হইত । অরবিন্দের পর র্যাহারা বিপ্লব-অপরাধে ধু ত হইয়াছেন, *'ণে পরে তা ধাদের নাম করি৯া তাঙ্গাদের বুদ্ধিমত্তার আপেক্ষিক বিচার করিবার প্রয়োজন নাই । আমাদের শক্তব্য কেবল এক্ট, যে, তিনি যদি সত্য-সতাই একদা বিপ্লব-চেষ্টা করিয়া থাকেন, এবং যদি উiহার পরেও অন্যান্য অনেকে সেই চেষ্টা করিয়া থাকে, তাহা হইলে স্বীকার করিতে হুইবে, যে, তাহার মভ লোকের নেতৃত্বের অভাবে৪ এবং অনেকের প্রাণদণ্ড ও নিৰ্ব্বসিন-দগুদি হওয়া সত্ত্বেও, বিপ্লব-চেষ্টা চলিয়া আসিতেছে। অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ের কথা বলি। যখন স্বভাষচন্দ্র বস্থপ্রমূখ লোকের প্লুত হইলেন, স্বীকার করিতে হইবে, যে, তখনও দেশের কয়েকজন মান্যগণ ও বুদ্ধিমান লোক যুক্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু গবৰ্ণমেণ্টে-ই পুলিস বিভা গর কার্ধ হইতে বুঝা যাইভেছে, যে, সেরূপ নামজাদ লোকদের বন্দ্রীকরণেও বিপ্লব-চেষ্টা থামে নাই, এখনও উহা চলিতেছে, এখনও লোকে বোমা তৈরী,
