পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δόο প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩২ তাহার মূৰ্ত্তি এক নহে। এমন কি, কাব্যের মধ্যে যাহার সঙ্গে পরিচয় হয়, তাহার মধ্যে আমাদের সাধারণ ধারণার অস্থযায়ী কোনও ব্যক্তিত্ব খুজিয়া পাই না । কবির ব্যক্তিত্ব বলিতে যাহা বুঝি, জাহা কোনওরূপ চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য নয়—ইহাই আমার কথার তাৎপৰ্য্য। কাব্যের গৌরব আর যাহা হউক, তাহা যুদ্ধজয়ের মত একটা কীৰ্ত্তি নয়, সাম্রাজ্যস্থাপন নয়, পতিতোদ্ধার নয়। মানুষের কর্মগৌরব, এবং তাছার মূলে যে বুদ্ধি, নীতি, কৌশল ও চরিত্রশক্তির পরিচয় আছে, সেরূপ কোনও পরিচয় কবি কীৰ্ত্তির মধ্যে নাই। কবির কাজ ইহা হইতে বহুগুণে উত্তম হইতে পারে ; তাহার মধ্যে যে শক্তির পরিচয় পাই, তাহার চমৎকারিত্ব অনেক বেশি হইতে পারে, তথাপি তাহাতে সাধারণ মানুষ-ধর্শ্বের পরিচয় নাই । কাব্যে মনীষার পরিচয় নাই, কবিপ্রতিভা বলিতে চিন্তাশক্তির উৎকর্ষ বুঝায় না, কারণ যাহাকে আমরা চিন্তাবৃত্তি বলি, কাব্য সেই চিন্তাবৃত্তির ফল নয়। কাব্যের মধ্যে কবির যে সহৃদয়তার পরিচয় পাই, বে সহানুভূতিকে সত্যকার কবি-ধৰ্ম্ম বলিয়া বুঝি, তাহ লৌকিক হৃদয়বৃত্তি নয়। যে প্রাণ, কুষ্ঠীর ক্ষত নিজ হস্তে ধৌত করিতে চায়, ক্ষুধিতের ক্ষুন্নিবারণে উৎসুক, বিপন্নকে উদ্ধার করিতে চিন্তিত—কাব্যের মধ্যে সেই প্রাণের পরিচয় অসম্ভব ; বরং অনেক সময়ে ( সাধারণ পাঠকের বুদ্ধিতে) তাহার উলটা পরিচয় যথেষ্ট পাওয়া যায়। কবি এমন সকল বর্ণনায় সিদ্ধহস্ত, যাহা পড়িতে হৃদয় বিদীর্ণ হয়,—এমন কল্পনায় মশগুল,যাহা শয়তানকেও আমাদের চক্ষে মহিমামণ্ডিত করে। অতএব যাহা কিছু লইয়া সাধারণ মানুষের কৃতিত্ব তাহার অনুরূপ লক্ষণ কাব্যে পাওয়া বাইতে পারে না। কাৰ্যদ্বারা কাব্যকারের বাস্তব চরিত্রের কোনও ধারণা পরিস্ফুট হয় না। कृब्रिएक्लन्न कक्ष] झोक्लिष्ट्र झि, कविन्त्र धनझैोहकहे पि কাব্যের মধ্যে ধরিতে যাই—তবে সেই পরিচয়ের মূল্য কোন দিক্ দিয়া কতটুকু তাহা বুঝিয়া লইতে হইবে । কবিবপ্লনার সত্যাসত্য অন্তরূপ। সে ষে কিরূপ, সেই [ २८* छॉर्ण, ३ध्र पं७ কথাই এই প্রবন্ধের বিষয়। কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে, ব্যবহারিক জীবনে, ‘লোকচয়ুচা’য়—ষে সংস্কার, সকলের সম্বন্ধেই নানাদিক হইতে ফুটিয়া উঠিয়া মানুষের ব্যক্তিগত চরিত্রের একটা ধারণা গড়িয়া তোলে, কাব্যের মধ্যে কবির সম্বন্ধে সেই ধারণাকে সৰ্ব্বদা দূরে রাখিভে হইবে— ইহাই আমার সর্বপ্রথম বক্তব্য। কথাটা অনেকের পক্ষেই হয়ত নূতন নয়, তথাপি অনেকের মনে এইরূপ একটা অভ্যাসের সংস্কার রহিয়াছে দেখা যায়, এই জঙ্ক আমি বাহুল্যভয় সত্ত্বেও ওই কথাটাই পুনঃ পুন: উল্লেখ করিতে চাই । কাব্য পাঠ করিয়া সাধারণ পাঠক— যাহার যতটুকু রসবোধ আছে, সেই অনুপাতে—আনন্দ ইপায়াও, কবির একটা অবাস্তর পরিচয় কাণ্য হুইডে খাড়া করিয়া, কাব্যের অর্থ সঙ্গতি বা অর্থ-গৌরব অথবা অর্থ-লাঘব করিতে চান । ইহাতে কবি ও কাব্য উভয়েরই মধ্যাদাহানি হয়। কবির জীবনের সঙ্গে কাব্যের একটা যোগ কোথাও আছে, সে যোগস্থত্র বাহির করার উপায়ও স্বতন্ত্র। প্রাত্যহিক জীবনের কার্ধ্যক্ষেত্রে মামুখের কার্ষ্য ও স্বভাবের মধ্যে ধে একটি সঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়, মাজুষের মতামত ও সামাজিক আচরণের মধ্যে যে মিল না থাকিলে তাহাকে মিথ্যাচারী হইতে হয়-কবির কবিজীবন ও কাব্যের মধ্যে সেইরূপ একটা মিল থাকাই সম্ভব, কিন্তু সে যে কিরূপ এবং কোথায়, তাহা বিচার করিতে হইলে, কবি ও কাব্যের একটি যথার্থ ধারণার প্রয়োজন । কাব্যের কবি-মানস কবির ব্যক্তিগত চরিত্র হইতে স্বতন্ত্ৰ । ইহার প্রমাণ সকল উৎকৃষ্ট কাব্য পাঠ করিবার সময় মনে-মনে পাওয়া যায়। উৎকৃষ্ট নাটক উৎকৃষ্ট কবিপ্রতিভার নিদর্শন, সেখানে কবির ব্যক্তিত্ব কোথায় ? বরং সেইটি লোপ হয় বলিয়াই নাটক উৎকৃষ্ট হইতে পারে। কাহিনীকাব্যের আখ্যানবস্তু-নিৰ্ব্বাচনে বা বর্ণনাভঙ্গিতে কবির ষে অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়, তাহাও কবির বাস্তবজীবনের বাস্তব अeिaयां८ष्ट्रब्र गश्ठि नाँ भिजिदांब्रहे गखांबन । णिब्रिट्टकद्र মধ্যে কবির যে আত্মগত উচ্ছ্বলি থাকে, তাহাতে যে আত্মাভিমান প্রকাশ পায়, তাহাও একটা আদর্শ-কল্পনার আবেগ, সেও কবির ব্যক্তি-চরিত্রের পরিচয় নয়।