পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওর সংখ্য ] পরিপূর্ণ দিবল এবং পরিপূর্ণ রাজির আবেগ-স্তিমিত সদ্ধিক্ষণে, এক সুন্দরী তরুণী তাহার গতি রোধ করিল ; এবং কিছুতেই তাহাকে ছাড়িয়া দিল না। ইহারা পরস্পরকে চিনিত, বাবুদের বাগানে লিচু চুরি করিতে আলিয়া ধরা পড়িয়া ওয়াজিদ একদিন ইহাকে বখরা দিয়াছিল। মহরমের পর্কের সময় জারি গাছিয়া, ঢোল পিটিয়া, চুল দোলাইয়া সে যখন বাবুদের অম্বরমহলের প্রাঙ্গণে মশালের আলোয় নাচিয়াছিল, তখন খুসির আগ্রহে এবং উত্তেজনায় বুক দ্বন্দুর করিয়া কাপে নাই এমনতর তরুণী মানবী চারিপাশ্বের ভিড়ের মধ্যে একটিও কোথাও ছিল না। স্বতরাং মেঞ্জোবাবুর সেজো মেয়ে কাত্যায়নীও সে-দল হইতে বাদ পড়ে নাই । আজ প্রথম দৃষ্টিতেষ্ট তাহাকে সে তাই চিনিল, এবং নিজের রক্ষী পরিচারিকার আশেপাশে কেহ কোথাও আছে কি না চকিত-চোথে একবার দেখিয়া লইয়া বিনাবাক্যব্যয়ে সবেগে তাঙ্গার কোলের উপর ঝাপাইয়া পড়িল । একটু পরে কাছারী বাড়ীর লোকের যে-যার কাজ ফেলিয়৷ বিক্ষিত-দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিল, শাড়ীর আঁচল উপচিয়া পড়া বাতাবি-লেবুর ফুলে সারা পথ চিহ্নিত করিতে-করিতে ওয়াজিদ-বাহিনী কাত্যায়নী হাস্তবিকশিত মুখে অঙ্গঃমহলের ফটক পার হইতেছে। ( २ ) সেই হইতে ওয়াজিদ বিনা-কাজেই বাবুদের বাড়ীতে রহিয়া গেল। সে মাহিনা লষ্টত না, সেই কারণে, অকারণে এবং অকালে যার-তা’র কাছে তা’র বকৃশিস মিলিত। এইভাবে, কিছুই পাইতেছে না বলিয়া সে যাহা পাইত তাহা যে কোনো তিন জন ভৃত্যের বহু আয়াসের পাওনাকেও সহজেই ছাড়াইয়া যাইতে লাগিল । ওয়াজিদ যে তৃত্য হইয়া তৃত্য নহে, তাঙ্গার মাহিনী ন-লওয়ার এই অভিমান একেই ত অন্ত ভৃত্যদের গাত্রজাল ধরাইস্বাছিল, তদুপরি তাহার এই বিনাপাওনার পাওনা তাহাঁদের মনে মেঘসঞ্চার করিতে লাগিল । কেবল কাত্যায়নীর পরিচারিকার দল কাজে বাহাল থাকিয়াও কাজ হইতে ছুটি পাইয়া খুলি হইল, এবং ওয়াজিদের পক্ষ লইয়া ঘএকসময় একজনের সঙ্গে তর্ক করিল। অপরাধী "LNA ঘুম ভাঙিয়া চোখ কচলাইতে-কচ লাইতে "ওয়াজিদভাই” বলিয়া কাতু যখন তাহার শোবার ঘরের রকে আসিয়া দাড়াইত তখন হইতে আবার সেই খোলা রকেরই উপর ওয়াজিদের কোলের উপর মাথা রাখিয়া শুইয়। মধুমাল, রাক্ষসী রাণী, পক্ষীরাজ ঘোড়া ও বেঙ্গমবেঙ্গমীর গল্প শুনিতে-শুনিতে তাহার দু'চোখ ঘুমে বুজিয়া আসার সময় পৰ্য্যন্ত ওয়াজিদের ছাণ্ডেরও তবু চুটি ছিল না। কেবল মাঝে-মাঝে বাবুর বিলের চরে পার্থী শিকার করিতে যাইবার সময় তাহাকে সঙ্গে লইভেন, সে ছবুর বন্দুকে গুলি ভরিয়া দিত। নদীর কোন বাকে মাছ খাইতেছে খবর লইবার জন্ত তাহাকে পাঠাইতেন, সে ছিপ হাতে রোদে-রোদে ঘুরিয়া জায়গা ঠিক করিয়া চার ফেলিয়া আসিত । মাঝে-মাঝে জ্যোৎস্নারাত্রের মজলিসে বঁাশী বাজাইবার ডাকও ধে আসিত না এমন नञ्च, cग-ब्रftखा उiझांब्र श्राद्र अभtश्वन्न खांन थारूि७ नl। বাড়ী ফিরিয়া মায়ের কাছে সে বকুনি শুনিত। বাড়ীতে মা ছাড়া তাহার ছোটো একটি বোন ছিল, প্রায় কাত্যায়নীরষ্ট সমবয়সী। মুস্থিল ছিল এই,-বোনটি তাঙ্গাকে ভালোবাসিত । যে-ক্ষ্মেহ তাহা ! পাওal, তাই বাহিরের সংসার কোন ছলে তাঙ্গার দাদার ন+ট হইতে ঠকাইয়া লইতেছে, কি-সুত্রে ক{ত্যায়নীর অধিকার তাহার দাবী অপেক্ষা বড় হইতেছে, তাহার শিশুমনের কাছে তাহা স্পষ্ট ছিল না, তাই কিছুই সে বলিত না, কিন্তু নীরবে কঠিন দুঃখ বহন করিত। ওয়াজিদ বুঝিত এবং অত্যন্তই দুঃখিত হইত, কিন্তু তাহারও মন শিশুবয়সের সীমা পার হইয়া বেশীদূর অগ্রসর হয় নাই বলিয়া বাবুদের বাড়ীর নিত্য উৎসব, বহুজনাকীর্ণ মুখদুঃখসমাকুল বিচিত্র জীবন-নাট্য, ঐশ্বর্ধ্যের সম্মোহন দু্যতি তাহাকে প্রলুদ্ধ করিত। সে-আকর্ষণকে কাটাইয়া আসা তাহার পক্ষে সহজ ছিল না –তদুপরি কাত্যাধুনীকে সে ভালোওবাসিত । ওয়াজিদ কেন বকুনি শুনিত তাহার কারণ ছিল। তাহার মা সারাদিন রাধা-বাড়ী, ধান ভান, মাছ-শুকানো, জল-আন প্রভূতি কাজে এবং অবসর সময়ে পাড়া বহিয়া র্কোল করিতে এমনভাবে ব্যাপৃত থাকিত যে, তাহার