পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । আর যারা চোর নয়। যায়৷ চোর, তাদের পৃথিবী আলাদা, তার অন্ত পৃথিবীর মানুষদেয় কেউ হয় না। সেদিনকার সকালবেলাকার রৌদ্র, শরতের স্নিগ্ধ প্রশান্ত আকাশ, তা’র মেঘসজ্জা, একেবারে নূতনরূপে তা'র চোখে প্রতিভাত হইল। একবার মনে করিতে চেষ্টা করিল, সবটাই স্বপ্ন, কিন্তু পারিল না। কান পাতিয়া রহিল, কখন বাবুদের বাড়ী হইতে পেহ্লাদা আসিম্বা হাক দিবে। কিন্তু বেলা বহিয়া চলিল, কেউ আসিল না । দুলীর অস্বথ আরও বাড়িয়াছে, বাবুরা শুনিতে পাইয়াছেন, কাতুও শুনিয়াছে। সকলকে বলিয়া দেওয়া হইয়াছে, কেহ যেন ওয়াজিদকে ডাকাডাকি করিয়া ব্যস্ত না করে । দেরাজের উপর খোলা পড়িয়ছিল, কে কখন উঠাইয়া লইয়াছে, ইহার বেশী কাতুর হারের খোজ আর কেহ লয় নাই। জমিদায়-পরিবারে এমনতর ঘটনা মাঝে-মাঝে ঘটে, বাবুদের তরফ হষ্টতে কিছুই প্রায় বলা হয় না, গিল্পীরা কিছু বকবিকি করেন, ঝিচাকরেখা পরস্পরের স্বন্ধে অসাবধানতার দোষ চাপাইয়া, কলহ করিয়া পালা সঙ্গে করে । ওয়াজিদ সমস্ত দিন কল্পনার চোখে দেখিল, বাড়ীতে তোলপাড় বাধিয়া গেছে, বাক্স তোংঙ খুলিয়া উপুড় করিয়া হারের খোজ হইতেছে, পুলিশে খবর গিয়াছে, ঝিচাকরেরা কেহবা প্রকাশ্যে, কেহবা ইঙ্গিতে ওয়াজিদের প্রতি সন্দেহ ব্যক্ত করিতেছে। কাতু কাদিয়া হাট বাবাইতেছে বলিয়া বাবুরা প্রকাশ্নে কিছু বলিতেছেন না, কিন্তু ওয়াজিদের অপরাধের কি প্রতিকার করা যায় সেসম্বন্ধে গোপনে পরামর্শ করিতেছেন। কিন্তু সন্ধার দিকে অনিশ্চয়তার ভার দনের উপর চাপিয়া ওয়াজিদের যেন শ্বাস-রোধ করিয়া দিতে লাগিল। আর না পারিয়া অন্ধকারে গা-ঢাকা দিয়া বাবুদের বাড়ীর আশপাশে সে ঘোরাঘুরি করিয়া বেড়াইল। কোথাও কোনো উত্তেজনা, কোনো চাঞ্চল্যের চিহ্ন দেখিল না, ভাবিল হয়ত এখনও হারের খোজ হয় নাই ; তখন সাহসে ভর করিয়া আস্তে-স্বাস্তে ফটকুের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। ভাবিগ, যেখানকার-ৰ সব ঠিক আছে দেখিতে পাইলে নিজের মনে অস্তুত কুস্থ বোধ করিবে। অপরাধী ve($ tशtःा बांबू बकांणिक षत्राrब्राश्न कबिधा वाफ़ी ফিরিতেছিলেন, দীঘির পারে ওয়াজিদকে দেগিয়া ঘোঙ থামাইলেন, কহিলেন, "দৌলত কেমন আছে ওয়ারি ?” ওৱাজিদ সেলাম করিাকছিল,"জরটা কমেনি হজুৰ।” ছোটো বাৰু কহিলেন, “মহিম-ডাক্তারকে বলা হয়েছে সে রাত্রেই গিয়ে দেখে ও দিয়ে আসবে। তুমি আর বাইরে বেড়িয়ে দেরি কোবো না, বাড়ী যাও।” ছোটোবাবুকে সেলাম করিয়া কতকটা স্থস্থ মনেই সে বাড়ী ফিরিয়া আলিঙ্গ । ( & ) রাত্রে ডাক্তার যে ঔষধ দিয়াছিলেন সকালবেলা তার বদলাইলেন। বিকালে আসিয়া আবার দেখিয়া বনি গেলেন, বহুদিনের পীড়ায় ক্ৰমে-ক্রমে বালিকার জীবনীশক্তির ক্ষয় হইয়াছে, ঔষধে কিছু হুইবার নহে, এক বা মনের কি হষ্টতে রোগমুক্তির কোনো সাহায্য হয় তৰে সে ব’চিয়া যাইতেও পারে। কিন্তু আনন্থের অনুপান স্বাহাই তাহার জন্য ব্যবস্থা করা হোক, তা’র মধ্যে অধিকপরিমাণে উত্তেজনা যেন না থাকে। দৌলতী মৃচ্ছরি ঘোরে ঘুমাইতেছিল, অশ্রুজলে ভিজিম্বা ওয়াজিদ মাকে লুকাইয়। তাছার গলায় হারটি পরাইয়া দিল । কিন্তু দৌলতাঁকে সে কিছু দিতেছে এই ফাকি নিজেকে অধিকক্ষণ ধিতে পারিল না। হারটি খুলিয়া লইতে যাইবে, চুলে বাধিয়া দুলা জাগিয়া উঠিল। গ্রীপের আলোয় হারের লকেটটি ককবৰ করিয়া উঠিল, সেদিকে চাঙ্গিয়া ঢুলীর চোথ-ছুটিও যেন প্রোজ্জল হইয়া উঠিল। হারগাছি তাহার দাদা কোণ হইতে আনিয়াছে, কখন আনিয়াছে, আনিতে কত টাকা বা লাগিল কিছু সে জানিতে চাহিল না, কৃতজ্ঞতা মুখটিকে ভরিয়া তুলিয়া লকেটটিকে মুঠোয় ভরিয়ার কোলের কাছে মেসিয়া শুইল, যেন বলিতে চাহিল, কত ভাগ্যে তাহার অম্লখ করিয়াছে, এখন এম্‌নি কেবল যদি शांकिग्नां शांग्र ! কিন্তু এমুনি সময় বাহিরে বাবুদের বাড়ীর পাইকের হস্কার শোনা গেল।—ইহারা সময়ে-অসময়ে একেবারে ঘরের দাওয়ায় আলিয়া বসিত, অনেক মজা রূপারী