পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওর সংখ্যা ] षनिर्छब्र भूष जाण श्रब खेॐ न, अनाब्र चञ्च श्राफ़ इरब्र গেল । অনল এসে ঘরে প্রবেশ করলে । প্রায় ছু মাস অসাক্ষাতের পরে আজ উভয়ে পরস্পরের সন্নিহিত হয়ে দুজনেরই কেমন সঙ্কোচ বোধ হচ্ছিল, যেন জাঙ্গ তাদের আবার নূতন করে” পরিচয় হচ্ছে, নিত্যকার দর্শনের সেই শিক্ষক-ছাত্রীর সহজ ঘনিষ্ঠত কেউ আর প্রকাশ করতে পারছিল না । জমিদারী সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র দেখা-শোনা ও সই করা হয়ে গেল, কিন্তু দুজনের কেউই একথা উত্থাপন করতে পারলে না যে, ধনিষ্ঠার আহবানে অনল আজ তার কাছে এসেছে । সমস্ত কাজ সমাপ্ত হয়ে গেলে আর যখন ধনিষ্ঠার কাছে থাকুবার কোনো প্রয়োজনই রইল না, তখন অনল কাগজ-পত্র তুলে নিয়ে গমনোদ্যত হ’ল ; তখনও সে মনে করছিল যে এইবার ধনিষ্ঠ। তাকে তার আহবানের প্রয়োজনের কথা বলবে । সে যখন দ্বারের কাছে পধ্যস্ত চলে গেল তখনও ধনিষ্ঠ। তাকে কিছু বললেন দেখে সে হতাশ হ’ল, অথচ কৌতুহলের আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠাতে সে ধনিষ্ঠার আহবানের কারণ না জেনেও যেতে পাৰ্বছিল না। অনল মনে করলে, ধনিষ্ঠ হয়তে ভুলেই গেছে ষে তারই অহিবানে আজ অনল এসেছে । কিন্তু ধনিষ্ঠ। সে-কথা মোটেই ভোলেমি । সে অনলকে কাছে এনে দেথ বধি আগ্রহে ধে অছিলা করে তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল, অনল কাছে আসাতে সেই প্রয়োজন এমন অকিঞ্চিংকর, এমন-কি হান্তকর বলে" তারই মনে হ’ল যে সেকথা লে উত্থাপন কবৃতেই পারলে না। অনল যখন তার আহবানের কথা উত্থাপন না করে’ই চলে’ যেতে উদ্যত হ’ল তখন ধনিষ্ঠা যেন স্বস্তি বোধ করতে লাগ ল— স্বাকৃ তাকে জনলের কাছে সেই হাস্তজনক প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে হ’ল না। অনল দরজা পেরিয়ে গিয়েও যখন দেখলে, ধনিষ্ঠ তাকে ক্ষিরে ডাকূলে না, তখন সে নিজেই আবার ঘরের মধ্যে ফিরে এল এবং যেন সে ভোলা কথা স্মরণ হওয়াতে ফিরে সেছে এমুনিভাবে জিজ্ঞাসা করলে—আপনি জামাকে छ८कइि८णन ८कन ? ८कां८नां कांख •••००० নষ্টচন্দ্র ●\»ፃ ধনিষ্ঠার মুখ লজ্জাম্ব আরক্ত হয়ে উঠল,—মনে অভিমান ক্রুদ্ধস্বপ্নে বলে উঠ ল—ণ্ডগো অমূলি কি কাউকে ডাকৃতে নেই । কিন্তু সে মুখে মৃদ্ধ নম্রস্বরে বললে—কাজ তেমন क्छुि नश्“cोोच्न विष्यग्न छ८छ ७क िभाग्न-• • ছ” বছরের মেয়ের বিয়ের জন্তে পাত্র । কথাট। বলতেই ধনিষ্ঠার কাণে নিজের কথাই যেন বিদ্ধপের মজন বাজ ল—এই কথা বলতে অনলকে ডেকে জান। যে কত বড় স্পষ্ট ছলনা তা ধনিষ্ঠার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠল। অনলও বোধ হয় ধনিষ্ঠার ছল বুঝতে পেরেছিল, নইলে সে ধনিষ্ঠার ঐ অসম্ভব প্রস্তাবে ছেপে না উঠে গম্ভীর হয়ে থেকেই বললে—যে আঞ্জে, আমি ননী-ঘটককে বলে’ দেবে। খুজতে থাকুবে । অনলের এই উত্তরে ধনিষ্ঠ। আরামগু আজু ভব করলে—যাক্, স্থা হ'লে তার প্রস্তাবটা জনলের কাছে নিতান্ত ভাস্যকর হয়-fল ; আবার সে অস্বস্তিও বোধ করতে লাগল -এমন অসম্ভব প্রস্তাকে অনল না ঃেসে, আপত্তি না করে গম্ভীর হয়ে ধে সন্মত হ’ল এতে সন্দেহ হ’ত্রে লাগল, তার তুচ্ছ ছলনা নিশ্চয়ই অমলের কাছে পরা পড়ে গেছে । পনিষ্ঠ। এই ভেবে তাড়াতাড়ি বল লে—গেীরীর বিয়ে এথনি দেবে না ; কিন্তু সদব্ৰাক্ষণের সদাগর একটি ছেলে দেখে ভো গৌরীকে সম্প্রদান কবৃত্তে হবে ; সে-রঞ্চম পাত্র সংসা পাওয়া কঠিন হ’তে পারে। তাই মনে করছিলাম একটি ভালো ছেলের সদ্ধান পেলে তাকে মাগুৰ কৰে’ তোলবার ভারও আমরা নিতে পারি-••ছেলেটি সৎ বংশের সংপায় হওয়া চাই, আর কিছু দেখবার দরকার নেই। অনল কেবলমাৱ বললে—ধে আজ্ঞে । অনল ঘর থেকে চলে গেলে ধনিষ্ঠার মুখ টকৃটকে রাঙা হয়ে উঠল, তার অত্যন্ত লজ্জা বোধ হতে লাগল। সে মনে-মনে প্রভিজ্ঞ করলে—আমি মরে গেলেও আর কোনো দিন ওঁকে ডেকে পাঠাবে না ; উনি নিজে থেকে যদি কখনে। আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তো আসবেন, নইলে এই শেষ । শেষ কথাটি মনে হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে ধনিষ্ঠার দীর্ঘ নিশ্বাস পড়ল, মুখ মলিন হয়ে গেল । ( ক্রমশঃ )