পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ প্রচলন থাকা অসম্ভব নহে । বর্তমান সময়ের অনেক অসভ্য জাতির মধ্যে বস্ত্র নির্মাণ-নিপুণতা দেখিতে পাওয়া যায়। বিশ্ব-শিল্পী বিধাতা মানবের দেহে লজ ও মনে বুদ্ধির স্বষ্টি করিয়া, চতুর্দিকে পশুপ্লোম ও বৃক্ষবন্ধলাদি রাশি-রাশি তন্তুর উপাদান রাখিয়া দিয়া, এবং উর্ণনাভ, গুটি-পোকা প্রভৃতির উজ্জল শিল্প-কৌশলের দৃষ্টান্ত সম্মুখে ধরিয়া, এই পৃথিবীর কোন যুগের কোন সময়, কোন স্থানে কাহাকে কিরূপে সৰ্ব্বপ্রথম তত্ত্ব ও বয়নশিল্পে প্রণোদিত করিয়াছিলেন, তাহার নির্ণয় কে করিবে ? কিন্তু কেবলমাত্র কোনো বিষয় জানা থাকিলে হয় না ; তাহাদের উন্নতিসাধনই মানবের সভ্যতার পরিচয় দিয়া থাকে। প্রাচীন হিন্দুগণ তাহাতে পশ্চাৎপদ ছিলেন না। পরবর্তীকালের ভারতীয় সাহিত্যেও পরিলক্ষিত হয় যে, বৈদিক যুগ হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমে প্রাচীন ভারতে শিল্পবাণিজ্যাদির উত্তরোত্তর উন্নতি হইয়া আসিতেছিল ; এবং সেইজন্য সমাজে বণিক্‌ ও শিল্পীসম্প্রদায়ের মধ্যে স্বশৃঙ্খল নিয়মাদি প্রচলিত ছিল । বৌদ্ধদিগের সাহিত্য পাঠ করিলে এবং এই যুগের শিলা লিপি আদি দেখিলে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, তৎকালে এই . দেশে নানাবিধ শিল্প ও তাহার উন্নতিকল্পে নিয়ম ও ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল । বয়ন তখন ভারতীয় শিল্পে পরিগণিত হইত, এবং গৃহে-গৃহে চরকার কাজ চলিত। উল্লিখিত আছে, একদা ভগবান স্কদেব কোনো শ্রেষ্ঠীর অঙ্গুরোধ ক্রমে একস্থানে সমবেত কুমারীগণকে উপদেশ দিতেছেন—“কুমারীগণ, তোমরা এইরূপ শিক্ষা করিবে, তোমাদিগের স্বামীর ঘরে যাহা আছে, অর্থাৎ উর্ণ বা ছাগ, মেষ প্রভৃতির রোমের কার্য, কাপাস বা স্থতার কাৰ্য্য, রং করা, গুচ্ছ-গুচ্ছ করা, তুলা পেজ, চরকীতে বিচি-ছাড়ানো, ধোনা, পাজ কাটা, স্বত্রনাল বাহির করা, প্রভৃতি কর্শ্বে তোমাদিগকে দক্ষ হইতে হইবে। এইসকল কার্ষ্যে অলস হুইবে না, নানা উপায় উদ্ভাবন করিবে, নিক্ষে দক্ষ হুইবে এবং অন্তকে দক্ষ করিয়া লইবে יין খৃঃ পূঃ সপ্তম শতাব্দীতে প্রাচীন ভারতে শিল্প ও , বাণিজ্যের সবিশেষ উন্নতি হুইয়াছিল । প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩২ [ २6ं छीशं, २च क्ष७ শিল্পিগণ নিজ-নিজ ব্যবসায়ে উন্নতি ও সংরক্ষণ করিবার নিমিত্ত, আপনাদিগের মধ্যে সম্প্রদায় * প্রভৃতি গঠন করিয়া চলিত ; এবং আপনাদিগের দল-নায়ক ( শ্রেষ্ঠ ) নিৰ্ব্বাচন করিয়া তাহাদিগের নেতৃত্বে ব্যবসায় পরিচালনা করিত ; ইহার ভূরি-জুরি প্রমাণ বৌদ্ধ সাহিত্যের জাতক আখ্যায়িকাগুলিতে দেখিতে পাওয়া যায়। মনুসংহিতার রচনা-কালে তত্ত-করণ ও বয়ন-শিল্প যে কেবলমাত্র এই দেশে পরিজ্ঞাত ছিল, তাহা নহে ; বয়নকার্ঘ্যে বর্তমান কালে যে-সকল প্রক্রিয় প্রচলিত আছে, তাহার সমুদয়ই তখন কার্য্যে প্রযুক্ত হইত। খৃষ্টীয় শতাব্দীর বহু পূৰ্ব্ব হইতে ভারতীয় বণিকৃগণ পৃথিবীর অন্যান্ত সভ্যদেশের সহিত বাণিজ্যও করিতেছিল ; এবং ভারত-নিৰ্ম্মিত বস্ত্র প্রভৃতি পণ্য প্রাচীন ব্যাবিলন, মিশর প্রভৃতি দেশের লোকের আদরের সহিত গ্রহণ করিত । ইহাদিগের পরে প্রাচীন রোম-সাম্রাজ্যের প্রাধান্তকালে, তথায় ইহাদিগের সমাদর ছিল । বৰ্ত্তমান কালে ঐতিহাসিকগণ ইহার প্রমাণ পাইতেছেন । র্তাহার স্বীকার করিতেছেন যে, উত্তর-ভারতে আধ্য-বসতি বিস্তারের সেই স্বদুর প্রাচীন কাল হইতে, হিন্দুগণ অতি নিপুণতার সহিত এমন সূক্ষ্ম বস্ত্রস্বত্র প্রস্তুত কল্পিত যে, এই কাল পর্য্যন্ত অল্প আর-কোনো জাতি উহা জপেক্ষা স্বল্পতর ও অধিক স্বন্দব সূত্র প্রস্তুত করিতে পারে নাই । প্রাচীন ব্যাবিলন রাজ্যে মসলিন্‌ নামক স্বন্ধ স্থতার কোমল বস্ত্রেব নাম ছিল—সিন্ধু’। সিন্ধু-নদের তীরবর্তী দেশ হইতে আনীত বলিয়া ঐ নাম হইয়াছিল। ব্যাবিলুনের গৌরবের সময় কত প্রাচীন,তাহাইতিহাসিক গবেষণার বিচারসাপেক্ষ। কেহু-কেহ উহা ধৃষ্টীয় সনের তিন সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে বলিয়া ধাৰ্য্য করিয়াছেন। সেই প্রাচীন যুগে আধ্য হিন্দুদিগের শিল্প-সমৃদ্ধির পরিচয় ঐ দেশে বিস্তৃতিলাভ করিয়াছিল। তখন তাহার बक्ष्ठद्दे কাপাস-বপন, স্বত্র-প্রস্তুত-করণ ও বস্ত্ৰ-বয়নে স্বদক্ষ ছিলেন । --- ----

  • Trado-guila (modern) - + 'ननृजिन नांगाँले नब्रवउँों कांटणब : छांदेजिंगू बप्नब छैौब्रवउँौं cबांगांण' नांबक इन शश्tठ ॐ नांव छैइठ श्ब्रांझ्णि । ॐ इन वष

बनिक् e दू* श्ल इमब्र वज्ञ-निtब्रव्र बछ अनिक हरेब ed ।