পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] সবগুলিই আমি করেছি।” তখন সম্পাদক-মহাশয় বলিলেন “দেখ বাগু, আমাদের সামান্ত কাগজে তোমার মত মহাপণ্ডিতকে যথেষ্ট সম্মান এবং দক্ষিণ দিতে পার্ব না। তা ছাড়া আমাদের কাগজের পাঠকও সব সামান্ত বিদ্যেওয়ালা লোক, তাহারা তোমার স্ব-সংশোধিত সংবাদের মর্থ গ্রহণ একতিলমাত্রও করতে পারবে কি না সন্দেহ l তা তুমি—এই কি বলে, অন্ত-কোনো ভালো জায়গায় যাও।” আমি কোনো কথা বলিলাম না । মাহুষের অরুত্বজ্ঞতার নিদর্শন পাষ্টয়া স্তভিত হইয়া গেলাম! অনিল তখনও হাসিতেছে। দারোয়ান টুলে বসিয়া ঝিমাইতেছে। নামি বাহির হইয়া গেলাম। মনে করিলাম—আর না, এবার পিতার ঐচরণে বারকয়েক প্রণাম করিয়া টিকিট কালেকৃটারের কাজেই আত্মনিয়োগ করি, ভা’র পর মনে হইল—না: ! ছিঃ ! পুরুম আমি । নানা বিরুদ্ধ অবস্থার ভিতর দিয়া আমার পুরুষত্বের পূর্ণ বিকাশলাভ হইবে। অনেক স্থাটাহাটি করিয়াও কোথাও কাজ না পাইয়া অবশেষে অতি কম বেতনের একজন রিপোর্টার হইলাম। সহরের যত ভালো ভালো বক্ততার এবং ঘটনার সংবাদ আমি জোগাড় করিয়া লিখিয়া আনিয়া দিতাম—আর সেই সমস্ত কাগজে ছাপা হইত। স্থানাভাব হইত বলিয়া আমার লিখিত সংবাদ-সংগ্রহের কিছু-কিছু প্রায়ই কাটিয়াছাটিয়া দেওয়া গুইভ। আমি কিন্তু সেই কাট অংশগুলি সযত্বে রাগিয়া দিতাম—পরে যখন কোনো পুস্তক রচনা করিব, তাহা কাজে লাগাইয়া দিব, এই মনে করিয়া। একদিন সন্তরে এক ভয়ানক জুয়াচুরির ব্যাপার হইল। छ्श्छन बफ़ रुफ़ छेकिज हेशंरङ वडिमूङ झल्लेcजन । वांमि সংবাদ লিখিলাম : “गझ्रब्रव्र छुश्छन aषान खेकिन खूबांहूब्रि कब्रिब चांछ . ধরা পড়িয়াছেন। ইহারা অনেক লোককে ঠকাইয়াছেন, ইহাদের শাস্তি হওয়া উচিত। বিচার চলিতেছে।” সংবাদটি পড়িয়া আমাদের কাগজের সম্পাদক বলিলেন "দেখুন—যে সমস্ত ব্যাপার এখনও বিচারাধীন, সেই সমস্ত ব্যাপার ওরকম ক'রে লিখবেন না। দুইজন উকিল wసిన অভিযুক্ত হয়েছেন মাত্র—এখনও প্রমাণ হয় নি যে তাহারা সত্য-সতাই জুড়াচুরি করেছেন কি না—ঙ্গ ছাড়া রিপোর্টারের কোনো বিষয়ে মতামত দিবার বা ভালোমঙ্গ বলিবার কোনো দরকার নেই। আপনি একটি কথা সকল সময় মনে রাখবেন, কোনো কথা স্পষ্ট ক'রে বলবেন না, অর্থাৎ কিনা commit করবেন না কোনো বিষয়ে। দয়৷ ক'রে এই কথাটি মনে রাখবেন।" সম্পাদকের বুদ্ধি দেখিয় বিস্থিত হইলাম। সত্যই ত—অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রমাণ না হওয়া পর্যাঙ্গ চোর বলা অত্যন্ত অন্তায় হইয়াছে। আর কখনও এমন কথা বলিব না। কয়েকদিন পরে সহরে .আই-এ পরীক্ষার ফল বাঞ্চর হইল। আমাদের কাগজে পরীক্ষার সমস্ত লিস্ট বাহির হুইড না। কেবলমাত্র খবরটি বাহির হইত। আমি ংবাদ লিখিলাম : “সহরে বিধম গুজব যে আই-এ পরীক্ষার ফল নাকি বাহির হইয়াছে। আরো গুজব যে এবার নাকি eপারসেণ্ট, ছেলে পাস হুইয়াছে। এ বিষয়ের সত্য-মিথ্য সম্বন্ধে আমরা কিছু বলিব না, ভালোমন্দ সম্বন্ধেও আমাদের কিছু বলিবার নাই ।” এই সঙ্গে আরো একটি সংবাদ সংগ্ৰহ কfপুলাম । "গুজব যে কাল রাত্রে প্রসিদ্ধ বণিক হরিদাস বাৰুর বাড়ীতে খুব eেrজ হইয়া গিস্কাছে । আমরা বিশ্বস্তসূত্রে ইহাও অবগত হইলাম মে আমাদের কাগজের প্রতিনিধিও নাকি সেই ভেজে নিমন্ত্রিত হক্টয়াছিলেন । ইহাও গুজব যে নিমন্ত্রিত সকল লোকে নাfক পেট ভরিয়া ভোজন করেন । আরো প্রকাশ যে নিমন্ত্ৰিতগণ রাত্রি ১টার সময় যে-যার গৃহে গমন করেন । এ-বিযয়ে কোনো মতামত আমরা এখন দিব না।” এই সংবাদ-ছুটি পরদিন কাগজে প্রকাশ হুইল । বেশী রাত্রে এই সংবাদদ্বয় প্রেসে যায় স্বলিয়া সম্পাদকের হাতে পড়ে নাই—ডাঙ্কা হইলে বোধ হয় কাগজে স্থানাভাব হইত। দ্বিপ্রহরে সম্পাদক-মহাশয় আমাকে ১৫ দিনের আগামী বেতন দিয়া বলিলেন, “আপনি এখন কিছুদিন বিশ্রাম করুন ; সাংবাদিকের হাড়ভাঙা খাটুনি আপনার সন্ধ হইতেছে না।” বুঝিতে পারিলাম