পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ভারতমহিলাদিগের অবিমিশ্র উচ্চ প্রশংসা করিয়াছিলেন । তাছায় উত্তরে রবিবাবু দ্বিতীয় যে চিঠি লেখেন, ভাছাতে পার্ট-সাহেব কোণঠাসা ইষ্টয়া কোন প্রত্যুম্ভর দিতে পারেন নাই। উহাতে রবিবাবু লিখিয়াছিলেন, যে, ভারতীয়ের লাটসাহেবের গবষ্মেন্টকে এই ‘চ্যালেঞ্চ করিতে প্রস্তুত, যে উক্ত গবন্মেণ্ট লাট সাঙ্গেবের উল্লিখিত এরূপ কোন মোকদ্দমার উল্লেখ করুন, ধfহাতে ভারতনারীরা তাঙ্গদের পুরুষ আত্মীয়দের প্ররোচনায় পুলিসকে জন্ম ৫fরবার জন্য নিজেদের সতীত্বের উপর পুলিসের হস্তক্ষেপের মিথ্যা অভিযোগ আনিয়াছে । এরূপ: কোণ দৃষ্টান্ত লাট সাহেব বা তাঙ্গর গবন্মেণ্ট দিতে পারেন নাই । অধগু চর মনীষ্টয়ের মোকদ্বমাকে লাট-সাষ্ট্রে তাefর বক্তৃতায় লক্ষ্য করেন নাই বলায়, তথাকার স্ত্রীলোকদের উপর পুলিসের অত্যাচার সম্বন্ধে ঐ স্ত্রীলোকদের সাক্ষা সভ্য বা মিথ্যা তাহ বিবেচনার বিষয় ছিল না ; অন্য দৃষ্টাকই রবিবাবু চাহিয়াছিলেন, কিন্তু পান নাই । কোন-কোন খবরের কাগজ পাঠকদের বিশেষ দর্শনীয় স্থানে ও বড় অক্ষরে প্রচার করে, ধে, রবিবাবু লিটনের অনুরোধে তাহাকে প্রথম চিঠি লেখেন ; কিন্তু যখন ঐ কথা মিথ্যা বলিয়া প্রতিবাদ হয়, ভগন প্রতিবাদ ছোট অক্ষরে, সহজে চোখে পড়ে না এরূপ এক কোণে ছাপ। গুইয়াছিল। এরূপ লোকদের কাছে তিনি ন্যায়বিচার পাইবেন না, জানি ; তথাপি আমাদের জ্ঞান-অহুসারে কয়েকটা তথ্য লিপিবদ্ধ করিলাম। চা-বাগানে কুলীর প্রাণনাশ সম্প্রতি ছুটি চা-বাগানে ছজন কুলির প্রাণবধ অভিযোগে দুজন ইংরেজের বিচার হইয়া গিয়াছে। মাধবপুরে দশরথ নামক কুলিকে হত্যা করার অপরাধে উইলসনের বিচার হয়। জুরদের মধ্যে ইংরেজ তিন জনের মতে আসামী উত্তেজনাবশে কুলিকে সামান্ত আঘাত করিয়াছিল, দেশী জুরর ছুজন তাহাকে নরহত্যা অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করেন। জজ ইংরেজদের মতে সায় দিয়া উইলসকে কেবল ছশ টাকা জরিমানা করিয়াছেন। अबश्च ८दकइब्र थांलांग ब्रिट्ज चांब्र७ छांछनवड झहेड । বিবিধ প্রসঙ্গ-প্রজাস্বত্ব-বিষয়ে বঙ্গীয় আইন 8ՀԳ দশরথ বেচারার নাকি সামান্ত আধাতেই প্লীহা ফাটিয়া মৃত্যু হইয়াছিল। আর একটি মোকদুমার আলামী ওখ চা-বাগানের ম্যানেজার বিটা নামক এক ইংরেঞ্জ। মুক্ত, কুলিটির নাম তেলছ । জুরদের মধ্যে অধিকাংশ বিটকে মিদ্ধেধি সাব্যস্ত করায় জঞ্জ তাহাদের সহিত একমত ই ইয়া ত হাঁকে বেকম্বর খালাস দিয়াছেন । হতভাগা তেলঙ্কর ধ নাfক প্লীহা ফাটিয়া প্রাণান্ত হয় । উভয় মোকদ্ধমার পুৱাগ পড়িয় বেশ বুঝা যায়, যে, ইংরেজদেব বিরুদ্ধে ভারতীয় পৃক্ষ হইতে ইত্যা বা অঙ্কবিধ ফৌজদাবী মোকদম রঞ্জ ইষ্টলে সচরাচর সেঞ্চপ বিচfর বিভ্ৰাট হইয় থাকে, এই দুই ক্ষেত্রে ৭ সেইরূপ &ইয়াছে । এরূপ বিভ্রাটের প্রতি কাল হইতে পাঃে, গুরত্বস সম্পূর্ণ রাষ্ট্ৰীয় আত্মকত্ত্বই লাভ করিলে। বিধাজ্ঞা ভারতবর্ষের জ্ঞশ্ব সম্পূর্ণ প্লীহাবিহীন মা9ধ গুষ্টি ধরুন, এ আবদার ত করা যায় না ; নতুব ভাই । একটা উপায় ছিল বটে। প্রজাস্বত্ব-বিষয়ে বঙ্গীয় আইন বাংলা দেশে প্রজঃস্ব ই বিষয়ে ধে আইন প্রচলিত আছে, তাঙ্গ অনেক বৎসর পূৰ্ব্বে প্রণীত হইয়াছিল। উষ্ঠা সংশোধনাৰ্থ সরকার পক্ষ হইতে নদিয়ার মহারাজ। ব্যবস্থাপকসভায় একটি খিল উপস্থিত করিয়াছেন । জমীদার-পক্ষ প্রবল ও ধনশালী । তাeাদের স্বার্থরক্ষার জুলু চেষ্টার ত্রুটি হুইবে না। রায়তরা তেমন ধনশালী এবং দলবদ্ধ নহেন। এই কারণেই, রায়তদের ধাঙ্গতে কল্যাণ হয় তাঙ্গর উপায় নির্দেশ করিবার নিমিত্ত সিলেক্ট কমিটিতে রায়তপক্ষের সভাযথেষ্টসংখ্যক থাকা একাঙ্ক অবিস্তক । যে-সব প্রজা কোন জমীর স্বয়ং চাষ করিয়া থাকে, নূতন বিলে তাহাদিগকে তাছাদের ঐ জমা হস্থাস্তর করিবার অধিকার দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু উত্তরাধিকার স্বত্রে ভিন্ন অন্য প্রকারে ঐ জমী হস্তার হইলে, জমীদার নির্দিষ্ট-পরিমাণ টাকা দিয়া উহা নিজের হাতে লইতে পারিবেন, এই ব্যবস্থা আছে। রায়ত নিজে কোন