পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6. ඵ8 র্তাহাকে বিশেষভাবে আহবান করেন। স্বগীয় মহাত্মা গোখলে ইহাদের মধ্যে একজন। ১৯০৬ সালে পলিকাতা সমাজ-সংস্কার কনফারেনসে সরোজিনীর মনোহারিণী বক্তৃতা শুনিয়া তিনি মুগ্ধ হইয়া র্তাহার সহিত পরিচয় করেন ও র্তাহাদের এই বন্ধুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে থাকে। দেশমাতার সেবাতে যে কি অসীম আনন, গোখলে তাহাই সরোজিনীর নিকট বর্ণনা করিতেন এবং একদিন ঠিক সন্ধ্যার প্রাক্কালে গভীর আবেগে তিনি সরোজিনীকে বলেন— ‘আমার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া আকাশের নক্ষত্ররাজি ও দূর পর্বতশ্রেণীকে সাক্ষী রাখিয়া তোমার শক্তিসামর্থ্য, সঙ্গীত, বচন, তোমার চিন্তু, তোমার স্বপ্ন দেশমাতার চরণে নিবেদন কর। হে কবি, পৰ্ব্বতশিখরে আরোহণ করিয়া স্বপ্ন দেখ এবং তোমার আশার বীরতা গ্রামের কুষিজীবীদের নিকট নিবেদন কর।” সরোজিনী এই গভীর আবেগ-আহবান উপেক্ষা করিতে পারিলেন না, তিনি আত্ম-নিয়োগ করিলেন । ভারতবর্ষের রাষ্ট্রনৈতিক আকাশ তখন ঘোর তমসাচ্ছন্ন। হিন্দু মুসলমানে তখন নিত্য বিরোধ, কংগ্রেসে মডারেট ও এক্সটিমিস্ট্র দুই দলে ভাগাভাগি হইয়া গিয়াছে। গোখলে এই মত-বিভাগ দেখিয়া ব্যথিত চইতেন। কোনো রাষ্ট্রীয় নেতার একলার পক্ষে মিলন-সংঘটনের কাজ অসম্ভব ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে অন্ধকার অপসারিত হইতেছিল। ১৯১৩ সালের ২২শে মার্চ তারিখে লক্ষ্মেী মুসলিম লীগের বিখ্যাত অধিবেশনে দেশের উন্নতিকল্পে হিন্দুমুসলমানের মিলন-প্রচেষ্টা করা হয়। এই সভায় সরোজিনী দেবী বক্তৃতা দিবার অধিকার পাইয়াছিলেন, এবং এই তিনি প্রথম সাধারণ স্থানে বক্তৃতা করিলেন। তৎপর ১৯১৬ সালে লক্ষ্মেীয়ে সার এস পি সিংহের (এখন লর্ড ) সভানেতৃত্বে ংগ্রেসের যে-অধিবেশন হয়, তাহাতেও তিনি সৰ্ব্বপ্রথম স্বরাজ-প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তৃতা করেন। তাহার রাষ্ট্রনৈতিক জীবন সেদিন আরম্ভ হইল বলা যায়। ১৯১৭ সালে @মতী বেসান্ডের সভানেতৃত্বে কলিকাতা কংগ্রেসেও তিনি একটি ওজস্বিনী বক্তৃতা দেন । এতদ্ব্যতীত তিনি ভারতের নারীজাতির অভু্যখান-চেষ্টায় নানা স্থানে প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড অক্লান্তভাবে ঘূরিয়া বেড়াইয়াছেন ও নানা দেশে বক্তৃতা দিয়াছেন। তিনি বিলাতেও ভারতবাসীদের ধেন নিয়ন্তাশক্তিরূপে কাজ করেন ও ১৯১৪ সালে 'লণ্ডন সিবিল এসোসিয়েসনৃ’ স্থাপনে সাহায্য করেন। ১৯১৮ সালের মে মাসে কাঞ্জিভরমে মাদ্রাজ প্রাদেশিক সম্মিলনীর সভাপতিরূপে তিনি যথেষ্ট ধীশক্তির পরিচয় দিয়াছেন। তিনি অতি কৌশলে সে দুৰ্ব্বৎসরে সভার কাৰ্য্য পরিচালনা করেন। তিনি যুবকদিগকে দেশের কাজে আত্মোৎসর্গ করিতে আহবান করেন। তিনি সেই সভায় কবিতার মানসলোক পরিত্যাগ করিয়া রাষ্ট্রনৈতিক কোলাহলে প্রবেশ করিবার প্রয়োজনীয়তা বুঝাইয়াছেন। ১৯১৫ সালের পর হইতে কংগ্রেসের প্রায় প্রত্যেক অধিবেশনেই তিনি উপস্থিত থাকিতেন এবং দেশের ছোট বড় প্রায় প্রত্যেক রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি সহানুভূতিসম্পন্না ছিলেন। তাহার ওজস্বিনী বক্তৃতায় দেশের আপামর সাধারণ মুগু, তাহার সমাজ-সংস্কার-কার্ধ্যের জন্ত সকলেই কৃতজ্ঞ। তিনি ভারতের নারীজাতির মুক্তির জন্ত চিরদিন লড়িয়া আসিতেছেন ; ফিজি প্রভূতি দ্বীপে কুলী-চালান-দেওয়া-সম্বন্ধে তিনি বিস্তর অনুসন্ধান করিয়া এই নিরীহ কুলীদের প্রভূত কল্যাণ সাধন করিয়াছেন। ১৯১৯ সালের প্রারম্ভে তিনি মহাত্মা গান্ধীর প্রচারিত সত্যাগ্রহ-অনন্দোলনে যোগদান করেন । তিনি নিজে শুধু যোগ দিয়াই ক্ষান্ত হন নাই দেশের সর্বত্র ঘুরিয়া দেশের লোককে এই আন্দোলনে যোগদান করিতে অকুরোধ করেন । ভারতীয় নারীদিগের ভোটাধিকার লইয়া তিনি প্রচুর লড়িয়াছেন। তিনি নিখিল ভারতীয় নারী সমাজের প্রতিনিধিস্বরূপ মণ্টেগু মহোদয়ের নিকট উপস্থিত হন। ইহার পর তিনি ১৯১৯ সালে “অল ইণ্ডিয়া হোমরুল লীগ এর তরফ হইতে ব্রিটিশ পালিয়ামেণ্ট কমিটিতে দেশের জন্য আবেদন পেশ করিতে গিয়াছিলেন । ইংলও হইতে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি মহাত্মা গাষ্ঠীকে তাহার রাষ্ট্রনৈতিক গুরু বলিয়া মানিয়া লইলেন e ख्ख लिप्याब्र भङ थांब नदीख श८१-छुःtथ ॐांशद्र सक्रग्न अशोक अष्ट्रणइ५ कब्रिश्न कृशिएउद्दइन ।