পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] عــصعمته" লইয়া কিছু বলিতে চাই। কেবল মুসলমানদের সম্বন্ধেই কিছু বলিৰ । কারণ, কেবল তাহারাই সমগ্র ভারতবর্ষের আলাদা প্রতিনিধি চাহিয়াছেন ; দক্ষিণ ভারতে ভিন্ন অন্যত্র অব্রাহ্মণের আলাদা প্রতিনিধি চান নাই। অন্যান্ত সম্প্রদায়েরও এবিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে মতভেদ আছে । মুসলমানদের আলাদা প্রতিনিধি নির্বাচন সম্বন্ধে স্বাধ্য ব্যবস্থা এই যে, সব প্রদেশেই র্তাহীদের সংখ্যার অগুপাতে প্রতিনিধির সংখ্যা নির্দিষ্ট হুইবে ; যেখানে তাহার সংখ্যায় সবচেয়ে বেশী, সেখানে তাহাদের প্রতিনিধির সংগ্য সবচেয়ে বেশী হুইবে, যেখানে সংখ্যায় শ্বেরূপ কম, প্রতিনিধির সংখ্যাও সেইরূপ কম হইবে । মোস্লেম লীগের গত অধিবেশনে মৌলান। মহম্মদ আলী প্রধান প্রস্তাবের এইরূপ একটি-ন্যায়সঙ্গত সংশোধন সভার সমক্ষে উপস্থিভ করিয়াছিলেন । কিন্তু তাঁহা অগ্রাহ্য হইয়া গিয়াছে । যাহা পাস হইয়াছে, তাহাতে এই দাড়ায়. যে, লীগ চান, যে, যেখানে মুসলমানের সংখ্যায় সকলের চেয়ে বেশী, সেখানে তাহীদের প্রতিনিধির সংখ্যা সকলের চেয়ে বেশী হুইবে, এবং যেখানে তাহারা অন্য কোন ধৰ্ম্মসম্প্রণায় অপেক্ষা সংখ্যায় কম, সেখানে তাহাদের প্রতিনিধি সমষ্টির মত বা ভোটকে কায্যকর i effective À q-qs qtqề zistą-traff ( adequate ) করিবার নিমিত্ত সংখ্যার অনুপাত অপেক্ষ বেশীসংখ্যক প্রতিনিধি র্তাহাদিগকে দিতে হইবে । ইহাতে কিন্তু অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার হুইবে । এইজন্য, মুসলমানদের মধ্যে যাহারা ন্যায়পরায়ণ র্তাহাধের মুখপাত্র স্বরূপ মৌলানা মহম্মদ আলী এই সংশোধিত প্রস্তাব উপস্থিত করিয়াছিলেন, যে, সব প্রদেশেই মুসলমানদের প্রতিনিধির ংখ্যা তাহদের লোকসংখ্যার অনুপাতে নিৰ্দ্ধারিত হইবে। ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিনিধিদের নিৰ্ব্বাচন কি প্রকারে হওয়া উচিত, তাহাঙ বিচাৰ্য্য। মুসলমানদের কাগজে পত্রে এবং সভা-সমিতির প্রস্তাবে ও বক্তৃতায় যাহা দেখা যায়, তাহাতে এই ধারণ হয়, ম্বে, অধিকাংশ লিখনপঠনক্ষম মুসলমান কেবলমাত্র মুসলমান নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা মুসলমান প্রতিনিধির নির্বাচন চান। আমাদের বিবেচনায় সৰ্ব্বসম্প্রদায়ের সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচক

  • \9—Y2

বিবিধপ্রসঙ্গ—মোসলেম লীগের প্রধান:প্রতিজ্ঞ ¢ፃፃ মণ্ডলীর দ্বারা ব্যবস্থাপক সভার মুসলমান অমুসলমান সমুদয় সভোর নির্বাচন হওয়া ভাল। এই প্রণালীর বিরুদ্ধে মুসলমানেরা বলেন, ধে, তাহা হইলে সেইসব মুসলমানেরাই অধিকাংশ স্থলে নির্বাচিত হইবেন, যাহারা হিন্দুদের অপেক্ষাকৃত প্রিয়পাত্র । তাহা তাহারা চান না । এইরূপ লোকদেরই নিৰ্ব্বাচন হুইবে কি না বলিতে পারি না এবং তাহা হইলে মুসলমানদের কি ক্ষতি হইবে, জানি না। কিন্তু শুধু হিন্দুরাই ভ নির্বাচক নহেন, মুসলমানেরাও নিৰ্ব্বাচক, এবং যে সব প্রদেশে মুসলমানদের লোকসংপ্যা বেশী, কালক্রমে ও শিক্ষায় ও সম্পদে ঐ সম্প্রদায়ের উন্নতিসহকারে উহার নির্বাচকসংখ্যাও বাডুিবে । তখন প্রধানত: মুসলমানদের ভোটের জোরেই মুসলমান প্রতিনিধি মিধ্বাচিত হইবেন । তা ছাড়া, বৰ্ত্তমান অৰস্থাতেও সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর ব্যবস্থা হইলে যেমন এক দিকে মুসলমান সভ্যদিগকে কতকটা অমুসলমান ভোটের উপর নির্ভর কfরতে হুইবে, তেমনি অমুসলমান সভ্যদিগকেও মুসলমান ভোটের উপর নির্ভর করিতে হইবে । সকল সম্প্রদায়ের এই অষ্ঠ্যোন্যনির্ভরতা ও জাতিগঠনের পক্ষে ভালই । মোসলেম লীগের প্রস্তাবের আর-একটি অংশে বলা ইইয়াছে, যে, ভারতবর্ধের প্রদেশগুলির এরূপ কোন পুনর্গঠন হইবে না, যাহাতে কোন প্রদেশের মুসলমানদের ংখ্যার আধিক্য নু্যনতায় পরিণত হয় । অর্থাৎ কোনও প্রদেশকে ছোট বা বড় করিবার যন্ত গুরুতর কারণই থাকু না, তাঙ্গ করা বন্ধ রাখিতে হইবে, যদি তাহাতে ঐ প্রদেশের মুসলমান সংখ্যাধিক্য নষ্ট হয়। ইহা হইতে এই অকুমান করা অসঙ্গত হইবে না, যে, উক্ত প্রস্তাবের সমর্থকগণের মনে অমুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাস এবং নিজেদের স্বার্থবোধ এত প্রবল, যে, তাহারা চিরকালের জন্তু কোন কোন প্রদেশে সংখ্যাধিক্য বজায় প্লাথিয় স্বার্থ রক্ষা করিতে চান, অমুসলমানদের সহানুভূতি প্রতি শ্রদ্ধা ও মানবহিতৈষণার উপর একটুও নির্ভর করিতে চান না, অথচ অমুসলমানগণ খিলাফং আন্দোলনকালে ও দুর্ভিক্ষ ভূমিকম্প জলপ্লাবন ঝড় প্রভৃতি হইতে জাতৰিপদের সময় মুসলমানদের প্রতি প্রীতি ও সহানুভূতি কার্ধ্য দ্বারা