পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጬዓbo [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রকাশ করিয়াছেন। এখনও খাদিপ্রতিষ্ঠান, অভয়াশ্রম, অমুল্লভ জাতির উন্নতি বিধায়িনী সভা প্রভৃতি কেবলমাত্র বা প্রধানতঃ অমুসলমান কৰ্ম্মী ও দাতাদের দ্বারা পরিচালিত হইলেও, মুসলমানগণ বহুলপরিমাণে ভদ্বারা উপরুভ হইতেছেন । মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় মোটর গাড়ীর ধাক্কায় আহত হইয়া মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ ব্লায়ের অকালে আকস্মিক মৃত্যু দুঃখের কারণ হইয়াছে । ১৯৯১ সালে যে বার কলিকাতায় বীডনস্কোয়ারে কংগ্রেসের অধিবেশন হয়, তখন মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতিরূপে তেজস্বিভাব্যঞ্জক বরুত করিয়াছিলেন। তাছার শ্রেণীস্থ রাগরাজড়ার ওরূপ বক্তত। প্রায় করেন না। নাটোরে বঙ্গীয় গ্রাদেশিক কনফারেন্সের অধিবেশনের কার্য্য প্রধানতঃ তাহারই চেষ্টায় স্থসম্পন্ন ইaাছিল। মুর্শিদাবাদের প্রাদেশিক কনফারেন্সে ও তাছার বক্তৃতা বেশ হইয়াছিল । বঙ্গবিভাগ উপলক্ষ্যে আন্দোলনের সময় কলিকাতায় টাউনহলে প্রতিবাদ সভায় তিনি মন খুলিয়। বঙ্গবিভাগের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করিয়াছিলেন । তিনি বাংলা গদ্যে ও পধ্যে স্থলেখক ছিলেন, এবং কয়েকখানি বহি লিখিয়া গিয়াছেন। তিনি বিখ্যাত গলেখক ক্রযুক্ত প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের সহিত অনেক বৎসর "মানসী ও মর্মবাণী” মাসিক পত্র সম্পাদন করিয়া গিয়াছেন ৷ তিনি গীতবাদ্য ও চিত্রকলার অনুরাগী ছিলেন, এবং স্বয়ং সুদক্ষ বাদক ছিলেন । ক্রিকেটু প্রভৃতি খেলায় তাহার সখ ছিল,এবং নিজেও খেলোয়াড় ছিলেন ও পেলায় দলের জন্ত অর্থব্যয় করিতেন । তিনি দয়ালু, দানশীল ও মিষ্টভাষী লোক ছিলেন। সমগ্র ভারতীয় সমাজসংস্কার কনফারেন্স কংগ্রেসের অধিবেশন যেখানে হয়, সেখানে সমাজ ংস্কার কনফারেন্সের অধিবেশন হইবার একটি প্রথা বহুবৎসর পূর্ব হইতে প্রচলিত হইয়াছিল। কানপুরে এবার সমাজসংস্কারের জন্য কোন সভার অধিবেশন হয় নাই। কিন্তু উদারনৈতিক সংঘের কলিকাতায় অধিৰেশনের সঙ্গে সমাজসংস্কার সভারও অধিবেশন হইয়াছিল । সমাজসংস্কার কেন হওয়া উচিত, তাহার কারণ অনেক । পুরুষ ও নারী উভয়ের প্রতি স্তায্য সমান ব্যবহারের জন্ত উহ! আবশ্বক,নারীর কল্যাণার্থ উহা অবিস্ত্যক, শিশুমঙ্গলের জন্য উষ্ঠা আবশ্লক অবনমিত লাঞ্ছিত্ত ও উৎপীড়িত জাতিসমূহের উন্নতি ও তাঁহাদের সহিত সপ্রেম ও স্বাষা ব্যবহারের জন্য উক্ত আবহাক, সমাজ-রক্ষার জন্ম উহ! অবিশ্লক—এইরূপ নান কারণ বিদ্যমান। তম্ভিয়, সমাঞ্জসংস্কার ব্যতিরেকে রাষ্ট্ৰীয় স্বাধীমতা লাভ করা ৪ রক্ষা BBS BBBBS BBS BBBB BBgg DDBB BBS অস্পৃহাভা দুরাকরণের উপর এত জোর নিয়াছেন। তfস্তুঘ্ন তিনি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লিখিয়াছেন ৪ বক্তৃত। করিয়াছেন, বাগবিধবাদের আবার বিবাহ দিবfর সমর্থন করিয়াছেন, এবং তাঙ্কার জন্মভূমি গুজরাটেও মাংরি অবরোধ-প্রথা নাই, এবং তিনি উহার সমর্থনও করেন না। কিন্তু আজকাল কংগ্রেসূ যাহাঁদের হাতে পড়িয়াঙে, র্তাহীদের কেহ কেহ সমাজসংস্কারের বিরোধী মা হইলেণ্ড উষ্ঠায় এ*াস্ত আবশ্যকতায় হয়ত তেমন বিশ্বাস করেন না । সম্ভবতঃ সেইজন্য বানপুরে অন্ত নান সভার স্থান ও কালের অভাব না হইলেও সমাজসংস্কার সভার জন্য সময় ও স্থান হয় নাই । কলিকাতার সভায় সভাপতি হুইয়াছিলেন শ্ৰীমতী সরলা দেবী চৌধুরাণী এবং অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি হইয়াছিলেন সংস্কৃত কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব প্রিন্সিপ্যাল পণ্ডিত মুরলীধর বন্দোপাধ্যায়, এম্-এ। পণ্ডিত মহাশয় অনেক খাটি-কথা বলিয়াছিলেন। শ্ৰীমতী সরলা দেবীর বক্তৃত। বেশ সারগর্ত হইয়াছিল। তিনি স্ত্রীস্বাধীনতার উপর খুব জোর দিয়াছিলেন। আধুনিক জগতে অন্য মহৎ জাতিসমূহের সহিত একত্র অগ্রসর হইতে হইলে যে ভারতীয় সমাজের স্বসংহত হওয়া দরকার তাহাও তিনি প্রদর্শন করেন ।