পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾bypo সদস্য একমত হইলে ততটা স্নবিধা হইত না। অতএব মুসলমান রহিম সাহেবের জায়গায় অন্ত একজন মুসলমান নিয়োগ ঠিকৃই হইয়াছে। কিন্তু রহিম সাহেব শিক্ষিত লোক ছিলেন, শিক্ষাবিভাগের ভার বহন করিতেন । মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষিত লোক ত আরও অনেকে আছেন। র্তাহাদের কাহাকেও কেন নিযুক্ত করা হইল না 7 যোগ্যতম লোকদের নিয়োগই বাঞ্ছনীয়। সেরূপ নিয়োগ হইলে, নিযুক্ত ব্যক্তির কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী তাহা বিবেচনা করিবার প্রয়োজন হয় না । sust মুসলমানদিগের চাকরীর সুবিধাবৃদ্ধি বাংলা দেশের অধিকাংশ অধিবাসী মুসলমান । স্বতরাং ভবিষ্যতে মুসলমানের শিক্ষায় ৪ যোগ্যতায় সমান অগ্রসর হটবার পর কোন সরকারী নিয়মের সাহায্য ব্যতিরেকেও অধিকাংশ চাকরী তাহীদের হইবে। এরূপ হওয়াই স্বাভাবিক। বর্তমান সময়ে কিন্তু সরকারী নিয়ম করিয়া তাহাদিগকে চাকরী দিতে হইতেছে। তাহাতে মুসলমান শিক্ষিত লোকদের সংখ্যার অহপাতে র্তাঙ্গাদের যত চাকরী পাওনা হয়, তাহ অপেক্ষা বেশী চাকরী র্তাহারা পাইবেন । বঙ্গের শিক্ষিত লোকদের মধ্যে,এমন কি লিখনপঠনক্ষম লোকদের মধ্যেও, শতকরা ৪৫ জন মুসলমান নহেন। কিন্তু কোন কোন বিভাগের চাকরী র্তাহারা শতকরা ৪৫টি পাইবেন । আমরা প্রতিযোগিতায় যোগ্যতমের নিয়োগের পক্ষপাতী, এবং বিশ্বাস করি, যে, এরূপ নিয়ম পরিণামে মুসলমানদিগের পক্ষেও কল্যাণকর । কিন্তু এসব বিষয়ের আলোচনা মুসলমানের ভালভাবে গ্রহণ করেন না বলিয়া বেশী কিছু লিখিব না। কেবল একটা কথা বলিলে আশা করি তাহারা ভাগ হইতে আমাদের কুৰুদ্ধির কোন প্রমাণ আবিষ্কার চেষ্টা করিবেন না। সেটা এই,যে, যতগুলি চাকরী মুসলমানদের পাওনা, সেইগুলিতে নিয়োগ কেবল মুসলমানদের মধ্যেই প্রতিযোগিতার ফল দ্বারা করা হউক। তাহা হইলে তাহাদের মধ্যে শিক্ষা, যোগ্যতা, ও স্বাধীনচিত্ততাকে উৎসাহ দেওয়া হইবে। যে-ষে কারণ দেখাইয়া বাংলা গবর্ণমেণ্ট কোন কোন প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩২ [ २५* जाश २घ्न थe বিভাগে শতকরা ৪৫টি চাকরী মুসলমানদিগকে দিতে চাহিয়াছেন, তাহার দুই-একটির আলোচনা করিব। সরকার বলেন, অফিসারেরা মুসলমান হইলে মুসলমান প্রজারা তাংদের নিকট যত সহানুভূতি পায়, অমুসলমান অফিসারণের নিকট হইতে ততটা পায় না । তা ছাড়া, মুসলমান অফিসারের মুসলমানদের শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়েও পরামর্শ, উৎসাহ প্রভৃতি বেশী দিয়া থাকেন। এই তথ্যছুটি সত্য কি না, স্থির করিবার মত উপকরণ আমাদের নিকট নাই। মুসলমানপ্রধান জেলা ও মহুকুমাসমূহে মুসলমান অফিসারদের লোকহিতকর কার্য ও অমুসলমান অফিসারদের লোকহিতকর কাৰ্য্যের তালিকা পাইলে বিচার করা যাইত । যাহা হউক, তথ্যগুলি ঠিকৃ বলিয়া মানিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করিতে পারা যায়, বাঙালী হিন্দুর ভাল । করিবার জন্য বাঙালী fছন্দু অফিসার চাই, ধাঙালী মুসলমানের ভাল করিবার জন্য বাঙালী মুসলমান অফিসার চাই, বাঙালী খৃষ্টিয়ানদের ভাল করিবার জন্য বাঙালী খুষ্টিয়ান অফিসার চাই, ইত্যাদি – তাহা হইলে ইংরেজ অফিসারদের স্থান ও আবশ্যক কোথায় ? না, তাহারা স্বর্গের জীব, স্বজাতি বিজাতি স্বধৰ্ম্মী বিধৰ্ম্মী সকলেরই হিতসাধনের জন্যllর্তাঙ্গদের স্বষ্টি হইয়াছে ? বাংলা দেশে সরকার যে কারণ দেখাইতেছেন, সেইরূপ কারণে অন্য কোন সভ্য দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী অফিসার নির্দিষ্ট আকুপাত-মন্ত্রসারে নিযুক্ত হয় বলিয়া আমরা অবগত নহি । কাহারও জানা থাকিলে সে-সব তথ্য কোন বহির কোন পাতায় লেখা আছে জানাইলে উপরুত হইব। বিলাতের কথাই জিজ্ঞাসা করি। ইংলও, স্কটল্যাণ্ড ও আয়াল্যাণ্ডে, বিশেষতঃ আয়াল্যাণ্ডে রোমান কাথলিক আছেন ও প্রটেষ্টান্ট ও আছেন ; প্রটেষ্টাণ্ট দের নানা উপশাখার কথা ছাড়িয়াই দিলাম। এইসব প্রদেশে খৃষ্টীয় ধর্শ্বের ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য কি আলাদা আলাদা অফিসার নিযুক্ত হয় ? রহিম সাহেব মাফ করিবেন ; প্রশ্নটা করাই বোধ হয় ভুল হইগ। কারণ, তিনি তাহার অতুলনীয় বক্তৃতায় বলিয়াছেন, ভারতের (বোধ করি বিশেষ করিয়া মেদিনীপুর