পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wye e দিকে তাকালে, তা’র পরে সড় কি নামিয়ে নিশ্চেষ্টভাবে সে কাটাকাটি দেখতে লাগল। সিংহ-বাবুরা ইঙ্কুিলেন, ‘রমাই, সামালে। ভৈরবকে— দুশ' রূপেয়া এক শির।” রমাই নমস্কার ক'রে বললে, ‘হুজুর, সামূলাবে ঠিক। কিন্তু শির নিতে পারব না,-সে আমার চেলা ৷” ভৈরবের সামুনের ছিপে লাফিয়ে পড়তে-পড়তে নতুন যুবক মধাই ব’লে গেল, ‘হুজুর, এক রূপেয়াও চাই নে, শুধু শির দেবে৷ ” - রমাইএর নিষেধ করবার সময় ছিল মা-মে ছেলের পিছন-পিছন ছুটুল। ভৈরব নিশ্চেষ্ট্রভাবে দাড়িয়ে ছিল। পিছন থেকে রায়বাবু ইকূলেন, "হসিয়ার ভৈরব।" সে চমকে দেখলে, মাথার উপর মাধাক্ট-এর তলোয়ার। বিছাতের মতন সে স’রে গেল। তা’র পর সড়কির এক আঘাতে মাধাইকে নদীর মধ্যে ফেলে দিলে । আহত মাধাই তখন প্রাণপণে সাতবি কেটে তীরে উঠতে চাইছিল । ভৈরব দুরন্তু আক্রোশে তা’কে সড়কির আরেক আঘাতে নদীর তলে ডুবিয়ে দিলে । “এমুনি ক’রে তোরা বংশের পর বংশ ডুবে মরুবি,” ব’লে উন্মত্তের মতন শোকাতুর বুদ্ধসর্দার রমাই-ঘোষ তা’কে তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করলে। ভৈরব দাড়িয়ে রইল—শুধু আঘাত ঠেকাতে লগ ল— একবার দু'বার তবু হাত তুললে না। তা'র চোখ দিয়ে তথন আগুন ঠিকৃরে পড়ছিল । —তা’র পর ? একটিমাত্র কঠিন আঘাত—বুদ্ধ পিতা পুত্রের কাছে লুটিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল চিরদিনের মতন। ভৈরব জয়-কোলাহুলের মধ্যে ফিরল—নতশির, শুষ্কभृशं ८कfüद्र-श्रड-क्रकू । তা’র পরে এমূমি আর-এক ধ্বংস-লীলার মধ্যে করালীর জলে ভৈরব তলিয়ে গেল ; দু’পারের এমুনি নিষ্ঠুর পরিহাসের মধ্যে পুরুষের পর পুরুষ তারা নদীর জলে বিশ্ৰাম লাভ করলে । তা’র পর একদিন করাগীর কোপে দু’পারের এতকালের প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩২ ...........--ബ=== =-- [ २d= खांशं, २व्र क्ष७ দাপাদাপি থেমে গেল, একদিন ঐ দুপারের ঐশ্বর্ষ্যের ও কোলাহলের উপর এক বিস্কৃতির সন্ধ্যা নেমে এল । দীর্ঘ দেড়শ বৎসরের সে-রাত্রির প্রভাতে রইল শুধু অতীতের কুয়াসাচ্ছন্ন স্থতি। লক্ষ্মণ জানত, ষে-ভৈরব যুদ্ধাঙ্কে মান-মুখে প্রেত-পুরীর কঙ্কালের মতন ফিরে এসেছিল, সে তারি বংশের পূর্ব-পুরুষ। তা’র না ছিল প্রমাণ, না ছিল বংশ-তালিকা। ও-গন্ধের পাচু-দাসের বিধবা পত্নীও ঠিক এমুনি জানৃত যে, তা’র শিশুপুত্র বিণ্ড রমাষ্ট সর্দারের দৌহিত্রবংশের সঙ্গান। কিন্তু কালের অন্ধকারে রমাই-এর দৌহিত্র-বংশ কি ক’রে এখানে ভেসে এসে ঠেকৃঙ্গ, জিজ্ঞাসা করলে তারাও জবাব দিতে পাবৃত্ত না। এপারে-ওপারে আজ আর বিবাদ নেই। লক্ষ্মণসর্দারের সঙ্গে রমাই-এর দৌঃিত্র-বংশের আজ কোনে। দ্বন্ধ নেই। লক্ষ্মণের শ্বশুবের দিক দিয়ে পাচু বিধবা তা’র चांछौग्नाझें ट्'उ । লক্ষ্মণের বাবা যখন মারা গেলেন, তা’র বিধবা মা তখন থেকে তা"কে আর নেয়ে হ’তে দিলে না। অগত্য! লক্ষ্মণ হ’ল তাই, যেটা তা’র বাবা ঘৃণা করতেন, অর্থাৎ চাষী। সে-বার পুঙ্কোয় লক্ষ্মণষ্ট তা’র শাশুড়ী, শালী প্রভৃঙ্গি সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছিল। পাচুর বিধবা স্ত্রী4 নিমন্ত্রির হয়েছিল । সে পূজো করত না, কিন্তু পুঞ্জোর বট দিন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আমোদ করতে তা'য় ভালো লাগত পূজোর পরে বিজয়ার সাদর-সম্ভাষণের শেষে তা’র বিদায় নিলে । লক্ষ্মণ তাদের গ্রাম পর্যন্ত এগিয়ে দিতে গেল । হঠাৎ সেদিন আশ্বিনের আকাশ ছেয়ে মেঘ উঠল। নদীর ওপার পর্যন্ত যেতে না যেতেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামূল—সঙ্গে একটু একটু ঝোড়ো বাতাস। অথচ গ্রাম তখন পিছনে অনেক দূংে—ফিরে যাওয়ারণ্ড উপায় নেই। নদীর ও-পারে কয়েকটি বাড়ি ছিল -লক্ষ্মণ ঠিক করলে সেইখানেই নদী পেরিয়ে বৃষ্টি না থামা পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা कङ्घव । নদীতে হাটুর বেশী জল ছিল না, লক্ষ্মণের পরামর্শমত সবাই ধীরে-ধীরে জল ভেঙে ভেঙে চলল। লক্ষ্মণ