পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] চলছিল সকলের আগে পথ দেখিয়ে-দেখিয়ে—তা’র কোলে পাচুর শিশু-ছেলে বিণ্ড । সেখানে জল ছিল মাত্র আঙ ল-চারেক —নদী প্রায় পেরিয়ে তা'র এসেছিল। “বাপ’ ! বলে হঠাৎ লক্ষ্মণ থেমে পিছনের দিকে চেয়ে বললে, “এসে না এথানে, চোয়। বালি” তার পা হাটু পর্যন্ত ডুবে গিয়েছিল, এক-পা তুলতে গিয়ে আর-এক পা বেধে গেল। লক্ষ্মণ বার-বার চেষ্টা ক'রে নিদারুণ নৈরাশ্যে চীৎকার ক’রে উঠল, “লীগ গির ঐ ডান দিক্ দিয়ে গিয়ে ও-পারের লোকদের ডাক দাও, দড়ি নিয়ে এসো।” বৃষ্টিতে তখন চারিদিক নিস্তব্ধ, অকালের সন্ধ্যার কালিতে ছাওয়া। নদী-পারের প্রবল বাতাসে সেই বারিপাত-ধ্বনিকে ছাপিয়ে ভীতিপূর্ণ আৰ্ত্ত নর-নারীর চীৎকার ও-পারের কোনো গৃহবাসীর কালে পৌছল না। যে-নদীর ওপরে একদিন শত আহত ও আর্ভের কণ্ঠ-ধ্বনি নিফল কেঁদেছে, আজ তার শীর্ণ ধারার বুকে তা’র দুই তীরের বালুরাশির মধ্যে এই ভীতি-বিহবল নারীদের সম্মিলিত আৰ্ত্তনাদও অতীতের শত হাহাকারের সঙ্গেই গিয়ে মিশ ল। অসহায় মেয়ের ছুটে পাড়ে উঠে সেখানকার লোকদের খবর দিলে। তা’র ছুটে আসছিল। পাচুর বিধবা স্ত্রী মাঝ-পথে হঠাৎ ফিরে দাড়াগ—ভা’র বিস্ত ? সে ত লক্ষ্মণেরই কোলে ! হায় হায় ক’রে সে ছুটে এল, ভাগ্যচক্র Woe 3 বললে, “ওগো, আমার বিশু যে তোমার কোলে ঘুমুচ্ছে, তা’কে কি ক’রে দেবে ? o লক্ষ্মণের তখন কোমরের বেশী ডুবে গেছে। ঠোঁট চেপে ধ"-র সে প্রাণপণে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা কবৃছিল —ীধ থেকে বিশুকে নামিয়ে সে বললে, “দুরে দাড়াও, কাছে এসে না, আমি দু’ড়ে দিচ্ছি।” বালির ওপর ছিটকে পড়ে ছোটো শিশু চীৎকার ক’রে উঠল, লক্ষ্মণের কামে একটা ক্ষীণ হাসির মতন কি যেন পৌছল। সে চম্কে একবার ও-পারের দিকে তাকালে, সিংহদের সমাধি-মন্দিরের চূড়াগুলি রূঢ়ভাবে তা’র চোথে এসে আঘাত কবুলে । ও-পারের লোকেরা যখন দড়ি-দড় নিয়ে ছুটে এসে লক্ষ্মণকে তুললে, তখন সে বুক পৰ্য্যন্ত বালুর নীচে তলিয়ে গেছে। বালির ওপর তা"র তা’র যৌবন-পুষ্ট সুদৃঢ় দেহ শুইয়ে দিলে। তা’র আগেই দুই দিক্কার ক্ষুধিত বালির চাপে লক্ষ্মণ সর্দারের প্রশস্ত বুকের নিঃশ্বাস-গ্রহণের শক্তিটুকু পৰ্যন্ত শেষ হ’য়ে গেছে। মৃত দেহের দিকে তাকিয়ে একজন বললে, “পরাণসর্দারের ছেলে। পরাণ-সর্দার মরেছিল নৌকা ডুবে ।” “ওদের বংশে সবাই ডুবে মরে।” এপার-ওপার চেয়ে অশীতিপর এক বুদ্ধ তা’র পাকা চুল-কয়গাছির মধ্যে আঙল চালাভে-চালাতে বললে, “এই করালীর এমুনি জায়গাটাতেই ভৈরব সর্দার রায়বাবুদের পক্ষ হ'য়ে সিংহদের হটিয়ে দিয়েছিল.।” ভাগ্যচক্র ঐ সুধীরা দেবী

  • प्रेौब इहेबांe श्यद्र इeब्राः ७कफै। भांब्रांञ्चक फूण । প্রেমে পড়া একমাত্র ধনীরই ধৰ্ম্ম। চালচুলোর সন্ধান নী রাখিয়া আষাঢ়ের নবীন মেঘোদয়ে প্রেয়সীর স্বরভি কেশপাশের স্বপ্ন দেখা, জ্যোৎস্ব রাতে ছাতে বলিয়া

কবিতা লেখা গরীবের পোষাইয় ওঠে না , আত্মীয় चबन و اس==ویه তো দূরের কথা রাস্তার লোকগুলিও বোধ হয় সমম্বরে ছি-ছি করিয়া ওঠে। জগতের এই কঠোর সভ্য কথার একটিও কিন্তু হুগী বেচারী বিশ্বাস করিত না । দেখিতে সে বেশ স্বন্দর ছিল, একথা তা’র অতিবড় শক্রও স্বীকার করিবে—মুখখানি যেন অতি যত্বে দিয়া গড়, পিন্ধল