পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বরদাই মহাকবি চন্দের মহাকাব্য রাসোর ঐতিহাসিকতা \bo=> তাহাই এখন প্রতিশোধ লইতে আসিয়াছি।” লাখন একবার দিল্লীতে পৃথ্বীর পাটরাণীকে বন্দিনী করিয়াছিলেন ; পরে, বন্ধু উদনের অনুরোধে ছড়িয়া দিয়াছিলেন, সেই সময়ে বলিয়াছিলেন ; "পৃথ্বী আমাদের বাটীর চেরী আনিয়াছে, আমি তাহার প্রতিশোধ লইলাম।” মদনপুরের শিলালেখ-অনুসারে ১২৩৯ সম্বং [ ১১৮২ ] মহোবা জয় হইয়াছিল, অতএব যদি লাখনের উক্তি বিশ্বসনীয় হয়, তবে ১১৮২ খৃষ্টাব্দের পূর্বেই কোনও সময়ে সংযুক্তা-হরণ হইয়াছিল। যুক্তপ্রদেশের দন্তকথায় সংযুক্তা-হরণ ঐতিহাসিক ত্য ঘটনা বলিয়া সকলে বিশ্বাস করে, ও ইহার উল্লেখ নানা কাব্যে ও নাটকে দেথা যায়। আল্স্থার গানে অত্যুক্তি আছে সত্য, কিন্তু অত্যুক্তি ও মিথ্যা সহজে ধরা পড়ে। আলহার গানে দেখা যায়, পৃথ্বী সামান্ত একটি গ্রামের বিদ্রোহী প্রজাদের দমন করিতে হইলেও সাতলক্ষ সেনা গইয়া আক্রমণ করিতেন । “সাতলাখ সে চঢ়ে। পিথোরা” প্রায় সকল অভিযানেই গীভ হয়, কিন্তু “সাতলাখ" শব্দ আছে বলিয়া অভিধানগুলি মিথ্যা বা কল্পিত বোধ Fil রাসোতে সংযুক্তা-হরণের যে বিস্তৃত বর্ণনা আছে ভtহা সংক্ষেপে এইরূপ :– একদিন পূৰ্খীরাজ চন্দ কবিকে ধরিয়া বসিলেন, আমাকে ছদ্মবেশে আপনার সহিত কনোঙ্গ লইয়া চল, তুমি কবিরূপে জয়চন্ধের সভাতে প্রবেশ করিবে, ও আমি তোমার পানদানবাহক সেবকরূপে তোমার পশ্চাতে থাকিয়া জয়চন্সের সভা ও সংযুক্তকে দেখিব । ইহার কিছুকাল পূৰ্ব্বে, জয়চন্নাথ রাজস্বয় যজ্ঞ করিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন, ঐ ধজ্ঞে ভারতের সমস্ত ছোটাে বড় রজিাদের নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন ; রাজস্থ্য যজ্ঞের নিয়মমত রাজাদের এক-একটি কার্য করিবার ভার দিয়াছিলেন। পৃথ্বীকে ছড়ি হাতে করিয়া যজ্ঞসভার দ্বার রক্ষা করিতে , আহবান করিয়াছিলেন। পৃথ্বী নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলেন না, তিকে অপমান করিয়া তাড়াইয়া দিলেন, ও যজ্ঞ নষ্ট করিবার উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। জয়চন্ধের এক নিকট জাতি-ভ্ৰাতা এক প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন, "-------- যজ্ঞারম্ভের দুইএকদিন পূৰ্ব্বে, পৃথ্বী তাঁহাকে আক্রমণ করিয়া বধ করিলেন ; মৃতশোঁচে যজ্ঞ নষ্ট হইয়া গেল।. এ-যজ্ঞে পৃথ্বীকে দ্বারপালরূপে আহবান করা হইয়াছিল, তিনি যখন নিমন্ত্রণ লইলেন না তখন জয়চন্দ, বিদ্ৰুপ করিয়া, অথবা আপনার আজ্ঞা রক্ষা করিবার জন্ত কাগজ ও স্ববর্ণের পৃথ্বীর পূর্ণ শরীরপ্রমাণ মূৰ্ত্তি গড়িয়া হাতে ছড়ি দিয়া, যজ্ঞমণ্ডপের দ্বারের কাছে দ্বাররক্ষকের মতন বসাইয়৷ রাখিয়াছিলেন। যজ্ঞ হুইল না, কিন্তু মূৰ্ভিটি থাকিয় গেল, মূৰ্ত্তি তুলিয়া ফেলিবার কথা কাহারও মনে হয় নাই । যজ্ঞ নষ্ট হইবার পর জয়চন্দ্ৰ ভাবিলেন, ভারতের সকল রাজারাইত এখানে উপস্থিত রহিয়াছেন, একমাত্র আদরের কন্যা সংযুক্তাও বয়স্থ হইয়াছে, অতএব এই স্কযোগে তাহার স্বয়ম্বর করিলে ভালো হয় । তিনি সেই যজ্ঞের পরিত্যক্ত মণ্ডপে স্বয়ম্বর সভা করিলেন । সংযুক্তার প্রধান দাসী কর্ণাট-দেশীয় ছিল, সে পূৰ্ব্বে পিখোরার দাগী ছিল, তাহার চরিত্রের জন্য পৃথ্বী শাস্তি দিয়াছিলেন বলিয়া সে পলাইয় জয়চন্দের আশ্রয় লইয়াছিল । তাহার মুখে ও ভাট ও কবিদের মূপে পিথোরার নানা বীরত্বের গল্প ও গাথা শুনিয়া সংযুক্ত মনে-মনে পিথোরায় প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল। যদিও উtহাকে কখন দেখে নাই, তথাপি তাহাকে স্বয়ম্বর সভায় পতিত্বে বরণ করিবার সঙ্কল্প করিয়া এখন সভায় প্রবেশ করিল। সভাতে যখন ভাট একে-একে সকল রাজাদের পরিচয় দিল,তখন পিথেরিার নাম না শুনিয়া সংযুক্ত চিন্তিত ও ভগ্ন মনে বরমাল্য হাতে করিয়া ফিরিয়া যাইতেছিল ; এমন সময়ে মণ্ডপের দ্বারের কাছে মূৰ্ত্তি দেখিয়, কৌতুহলের বশে ঐ মূৰ্ত্তিটি কি, কাহার, ও দ্বারের কাছে কেন রাখা হইয়াছে জিজ্ঞাসা করিল। পিখোরার মূৰ্ত্তি শুনিয়া সংযুক্ত সেই মূৰ্ত্তির গলায় মাল্যদান করিয়া অন্তঃপুরে চলিয়া গেল । এই ঘটনা দ্বার উপস্থিত রাজারা আপনাদের অভ্যস্ত অপমানিত বোধ করিলেন ; কিন্তু সম্রাটের আদরের কঙ্কার কার্ধ্যের আলোচনা বা প্রতিবাদ করিতে সাহস कब्रिजनन । चक्लन्त्र क्लक झ्द्देश दश्र क्क्कि न बनिष्ठा! কস্তাকে তিরস্কার ও শাসন করিতে তাহার মাতার কাছে পঠাইয়া দিলেন। তিনি আশা করিয়াছিলেন যে সংযুক্তার