পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা] করিতেছিলেন, এমন সময়ে চন্দ-কবি রাজসভাতে প্রবেশ করিয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন –“মহারাজ ! দিল্লীশ্বরী মহারাণী সংযুক্ত পতিগৃহে যাইতেছেন, তিনি পিতার আশীৰ্ব্বাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছেন।” এই কথা শুনিয়া ক্রোধে জয়চন্দের চক্ষু হইতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাল্লির হইতে লাগিল। তিনি কবিকে বলিলেন, "তুমি ব্রাহ্মণ ও কবি, সত্য করিয়া বল দেখি, তোমার সহিত পিথোরা অামার সভাতে—আসিয়াছিলেন কি না " চন্দ উত্তর করিলেন, “ই মহারাজ, আসিয়াছিলেন । আমি ত আপনাকে এইপ্রকারে হাত দিয়া উহাকে দেখাইয়া বলিয়া ছিলাম, “আমার রাজা এইরূপ আপনি না বুঝিতে পারিলে আমি কি করিব ?” জয়চন্দ বলিলেন, "তবে পিথোরাই কি তোমার পানদানবাহক সেবক ?” কবি হাসিয়া উত্তর করিলেন, “না মহারাজ ! তিনি আমার সেবক নহেন, তবে ঐরুপ অভিনয় করিয়াছিলেন, সে কথ সভ্য ייו জয়চনা আপনার প্রধান সেনাপতি রাবণকে পৃথ্বী ও সংযুক্তাকে বন্দী করিয়া আনিতে আজ্ঞা করিলেন, তিনি উভয়কে স্বহস্তে শাস্তি দিবেন, সে ইচ্ছাও প্রকাশ করিলেন। সেনাপতি বলিলেন, "আজ্ঞা করুন পিখোরার মস্তক ও সংযুক্তাকে আনিভেছি, কিন্তু তীর ব্যবহার না করিয়া কেবল তরবারির যুদ্ধে স্বরদলবেষ্টিত পৃথ্বীকে জীবিত বন্দী করা কাৰ্য্যতঃ অসম্ভব ।" রাজা শুনিলেন না, প্রাণে না মারিয়া বন্দী করিতেই বারবার আজ্ঞা করিলেন। জয়চন্দ্রের এই হঠে পৃথ্বীর প্রাণ বাচিয়া গেল, নতুবা তীরের যুদ্ধ হইলে জয়চন্ধের লক্ষাধিক সেনাবেষ্টিত ঐ কয়টি দিল্লীবাসীর প্রাণ অল্পকয়েক মুহূর্তেই যাইত। কনোজ যোদ্ধারা পৃথ্বীকে ঘিরিয়া ফেলিল, ও যুদ্ধ করিতে করিতে উভয় দল পশ্চিমমুখে অগ্রসর হইল। তৃতীয় দিবস সন্ধ্যার সময়ে [ আধুনিক মিরাট জেলার ] * সোরে নগরে দিল্লীর দল গঙ্গা পার হইয়া নিরাপদ হইলেন। সংযুক্ত অশ্বগৃষ্ঠে ও পৃথ্বী তাহার পাশে সাতার বরদাই মহাকবি চন্দের মহাকাব্য রাসোর ঐতিহাসিকতা

  • वहांशक्छ, चूंकब्राथ९, मूंबद्रtष९, cगांtब्रl Soron on the

dangos, কনৌজ হইতে জাকাশপথে প্রায় ৮৫ মাইল। তখনকার अ्रयशप् । `e•॥७२ ८ङ्क्षी श्ब् ॥ \)లి দিয়া পার হইলেন । গঙ্গার অপর পারে পৃথ্বীর রাজ্য। জয়চন আপনার রাজ্যসামা মধ্যেই তাহদের ধরিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, পৃথ্বীর রাজ্যে প্রবেশ করেন নাই । পৃথ্বীর সুরদল, অশ্বারোহী ও তাছাদের আত্মীয়দের মধ্যে সৰ্ব্বক্ষদ্ধ ৭০৮৯ জন যোদ্ধা অনাহুত জীবিতাবস্থায় গঙ্গার পশ্চিম তীরে উঠিয়াছিলেন। সেবকদের অবশ্য কেহ । মারে নাই । পৃথ্বীর পক্ষে স যুক্ত মভি মূল্যবান, কেননা তিনি প্রায় এগার হাজার যোদ্ধা ও আপনার বাহুবলের বিনিময়ে তাহাকে লাভ করিয়াছিলেম। এতগুলি যোদ্ধার মৃতদেহ অতিক্রম করিয়া সংযুক্ত পত্তিগৃহে প্রবেশ করিলেন, এগৌরব সম্ভবতঃ অস্ত কোনও রাজকুমারীর কপালে হয় নাই। সংযুক্তাকে অনেকে বীর্বাশুল্ক বলিয়াছেন, কিন্তু ঘটনাগুলি দেখিয়া বিচার করিলে তাহাকে বীর্ঘ্যশুদ্ধ বলা স্বায়ু না । বীরত্ব দ্বারা পৃথ্বী ভাগকে লাভ করেন নাই ; গোপনে.তাকার পিতামাক্তার অমতে বিবাহ করিয়া, আপনার বিবাহিত্য স্ত্রীকে রক্ষা করিতে যুদ্ধ করিয়াছিলেন। বীরত্বের বিনিময়ে কন্যালাভ করিলে তাহাকে বীৰ্য্যগুস্ক বলিতে পারা যায়। পথের যুদ্ধ বর্ণনাতে আছে যে, একসময়ে সংযুক্তা দেখিলেন তাঙ্গার পিতা জয়চন আপনার "লাল কমান” [ বুখং ধনুৰ্ব্বণি ] দিয়া পৃথ্বীকে লক্ষ্য করিতেছেন, তিনি যুক্তকরে পিতার কাছে আস্থতি ভিক্ষা করিলেন, জয়চন্দ্ব ধনুৰ্ব্বাণ রাখিয়া দিলেন। ইহার পর অন্য-একসময়ে দেখিলেন, পৃথ্বী জয়চন্দের প্রতি “লাল কমান” দিয়া লক্ষ্য করিতেছেন, তিনি পৃথ্বীকে স্মরণ করাই দিলেন যে, ইতিপূৰ্ব্বে জয়চন্দ্র পৃথ্বীকে লক্ষ্য করিয়াও ধন্থৰ্বাণ রাখিয়া দিয়াছিলেন । সেদিন তরবারর যুদ্ধ হইতেছিল, কাছাকেও তীরধন্থ দিয়া লক্ষ্য করা ক্ষত্রিয়োচিত কার্ষ্য হয় না। পৃথ্বী কমান রাখিয়া দিলেন। অর্থাৎ পথিমধ্যে একবার স্বামীর ও একবার পিতার জীবনরক্ষার কারণ হুইয়াছিলেন । পথে তিনদিন ও দুইরান্ত্ৰি কাটিয়াছিল । সমস্ত দিন ধর্শ্বযুদ্ধ হইয়াছিল, অর্থাৎ একজন দিল্লীর যোদ্ধা একজন কনোজের ষোদ্ধার সহিত যুদ্ধ করিয়াছিল। একজন নিহত