পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ঘোরীর চরের স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্ৰহ কবিয়া পাঠাইত, একজন চর কি সংবাদ পাঠাইল অন্যরা জানিতে পারিত না। ধোরী একজন চরের কথায় বিশ্বাস করিতেন না, একই সংবাদ একাধিক চর আনিলে বিশ্বাস করিতেন। পৃথ্বীর সংযুক্তার অন্তঃপুরে বাসের কথা এত অসম্ভব বোধ হইয়াছিল যে, তিনি একাধিক চর বলিলেও প্রথমে বিশ্বাস করিতে পারেন নাই,সেইজন্য একজন উচ্চ রাজকৰ্ম্মচfমীকে ফকির-বেশে পাঠাইয়াছিলেন, তিনি ও ঐ সংবাদ লইয়া যাইলে, আক্রমণ করিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন। রাজপুত্তের কবিদের অকাতরে সস্থ্য সংবাদ দিয়া থাকে বলিয়া, ইতিপূৰ্ব্বে একবার একটি গজনীবাসী ব্রাহ্মণ-কবিকে পৃথ্বীর সভায় সংবাদ-সংগ্ৰহ করিতে পাঠাইয়াছিলেন । পৃথ্বীর কিন্তু এরূপ চমু ছিল ন! ; ভিfন শত্রুর গতিবিধি বা সৈন্ত-সংগ্রহের কোন সংবাদই রাধিতেন না। শেষ বড় যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদের আক্রমণের সংবাদ রাজধাণীর বণিকেরা পাইয়া অনেলে মলিবদেশে বা জয়চন্দের রাজ্যে BBB mmmBBS BBB KKBBBB BBBB BBBB *ান নাই। রাজা তযুদ্ধের পূৰ্ব্বে ছয়মাস পুরুষের মুখ দেখেন নাই, রাজ্য আছে কি নাই ভাহাণ্ড জানিতেন না ; রাজার অমাত্যর, রাজা জীবিত কি মুত, তাহাও নিশ্চয়ক্ষপে বলিতে পারিভেন না। যখন দেশের প্রজার পলাইতে আরম্ভ করিল, তখন কবি চন্দ গ্রহরিণীদের প্রহার অগ্রাহ করিয়া, বলপূৰ্ব্বক সংযুক্তার প্রাসাদে প্রবেশ করিলেন, ও আঙ্গিনাতে দাড়াইয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, "মহারাজ, রাজ্য যে গেল, আর থাকে না ; একবার দেখিবেন না " পরে এক কবিতাতে বলিলেন, “তুমি ভোমার গোরী [ সুনারী ] লইয়া উন্মত্ত, আর গোরী তোমার রাজ্য লইতে উন্মত্ত।” এই কথা শুনিয়া পৃথ্বী বাহিরে আসিলেন, ও যুদ্ধের উদ্যোগ করিলেন। অতএব, শেষ যুদ্ধের অল্প দু-এক বৎসর পূৰ্ব্বে সংযুক্ত+ হরণ হইয়াছিল, ও ইহা অনেকট সম্ভব বোধ হয় । সংযুক্তলাভের পর, সংযুক্তার মোহ কাটাইবার পূৰ্ব্বেই সব শেষ হইয়া গেল। ১৯৮২ খৃষ্টাম্বের পূৰ্ব্বে যদি হরণ হইত, তবে অন্ততঃ বার বৎসর অন্তঃপুর ষাস স্বীকার করিতে হয়। একজন রাজার পক্ষে এত কাল রাজকাৰ্য্য ছাড়িয়া বসিয়া বরদাই মহাকবি চন্দের মহাকাব্য রাসোর ঐতিহাসিকতা ᏔᏕᏱ☾ থাকা সম্ভবও নহে, শত্রুরা অবসরও দিত মা। স্বম্বরীর মোহও এত কালে থাকে না । - সেকালে রাজার বারে মাস যুদ্ধ কথিয় বেড়াইতেন, বর্ধার পর বিজয়ার দিন যুদ্ধযাত্রা করিয়া আবাঢ় মাস পড়িলে রাজধানীতে ফিরিতেন। ধোধীর সহিত বড় সম্মুখ সমর অল্প দু-একটি হইলেও প্রায় প্রতি বৎসর ২৪ বার সংঘর্ষ হুইত, রাসোতে এইরূপ অনেকগুলি সংঘর্ষের উল্লেখ আছে। যদিও কোন ইতিহাসে ইহার সবিস্তার বর্ণনা নাই, তথাপি বোধ হয় সংযুক্তHহরণের পর, যখন পৃথ্বীর বাহুবল একেবারে ভাঙ্গিয়া গেল,তখন ধেfরী কোনও স্থানে, সংঘর্ষে পৃথকে চাপিয়া ধরিয়া থাকিবেন। পৃথী, অন্ত উপায় ৭ ধেfধৰ্ম্ম কল্প দিতে, ও ধোরীর সামস্তপদ গ্রহণ করিতে স্বীকাং কথিয়া থাকিবেন। ধে তাম্রমুদ্রার এক দিকে "পৃথ1রাজ" ও অন্যদিকে “সুলতান মঃ স্মণ সাম” লেখা, সেগুলি ঐ সামন্ত্রপদ স্বীকার কারবার পর মুদ্রিত হইয়া থাকিবে । কিন্তু বোধ হয় পৃথী সমস্তপদের অপমান সহ করিতে পারেন নাই, কোনওরূপ বলপঞ্চয় করিয়া ধোরীর অধীনস্তা ত্যাগ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। খুব সম্ভব, এই চেষ্টাকেই তাজ-উল-মা'আমীর মুসলমানদের ঘৃণা করা ও যঃংস্ত্র বলিয়াছে। [ ক ম ॥১• দেখ ]। ঘোরার মতন দুর্দশ ধোদ্ধা সে-চেষ্টার অবসর দিলেন না, বলসঞ্চয় করিবার পূৰ্ব্বেই সম্মুখ সমরে আপিতে বাধ্য শেষ যুদ্ধের জন্ত পৃথী অনেকগুলি ছোটো-ছোটে রাজাদের সাং ধ্যভিক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু গুজরাট, বুন্দেলখণ্ড, গু কণৌজের মতন প্রবল রাজাদের সহিত যে ব্যবহার করিয়াছিলেন, সেজন্য অথবা যে কারণেই হউক, তাহাধের কাছে সাহায্য চাহিতে সাহস করেন নাই, বা চাহেন নাই। তাহারাও গায়ে পড়িয়া কেই সাহায্য করে নাই। রাসের সমরসিংহ কল্পিত নায়ক, কিন্তু মুসলমানদের ইতিহাস হইতে জানা যায়, ধে পৃথীর পতনের শেষ যুদ্ধে, সে-সময়কার রাণা পৃথীকে সাহায্য করেন নাই। সরস্বতী-নদীতীরে পৃথ্বীর দেহ পাওয়া গিয়াছিল ;