পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W >Wり সংযুক্ত পৃথ্বীর মৃত্যু-সংবাদ পাইয়াই চিত্তারোহণ করিয়া ছিল । এ-দেশে প্রবাদ ও কোন-কোন কাব্যে আছে যে সংযুক্ত হরণ হইয়াছিল। প্রবাসী—ফাস্তুন, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ২য় খe ংযুক্ত ১৮ বৎসর বয়সে বিবাহিতা ও ২৭ বৎসর বয়সে বিধবা হইয়াছিল। এ-কথা সত্য হইলে ১১৮৪ খৃষ্টাব্দে ( ক্রমশ: ) ধনবিজ্ঞান, মানব ও সামাজিক বিজ্ঞান শ্ৰী হৃষীকেশ ত্ৰিপাঠী অল্পকয়েক বছর আগেই ধনবিজ্ঞানের আসন অনেক নীচে ছিল। কাবুলাইল, রাস্কিন প্রভৃতি উনবিংশ শভাব্দীর সাহিত্যরথীরা ধনবিজ্ঞানকে খুব ঘৃণা ও বিদ্বেষের চোখে দেখতেন । তাদের মতে ধনবিজ্ঞানট ছিল মেমনের নীতি, কতকগুলা স্বার্থপর লোকের স্বার্থরক্ষায় জন্যই বিজ্ঞানটার স্বষ্টি । মামুষের মুখস্বাচ্ছন্যের উপর, তা’র চরিত্রের উপর ধনের যে কি-রকম প্রভাব ভা তখনকার ধনবিজ্ঞানবিদরা তত তলিয়ে দেখতেন না যেমন আজকালকার এরা দেখেন । তারা কেবল ধনউৎপাদন নিয়েই ছিলেন ব্যস্ত। সেই কারণেই ধনবিজ্ঞানের আসন ছিল অনেক নীচে । ধন কেবল উদ্দেশু সিদ্ধ করবার উপায়যাত্র। ইহা মহৎ উদ্বেপ্তে অর্জিত হতে পারে, নীচ ও জঘন্য উদ্বেগু সিদ্ধ করবার জন্যও অর্জিত হতে পারে। সারাদিন পরিশ্রম করে আমি আমায় কলেজের বেতনের টাকা রোজগার করতে ব্যস্ত,আমার এই ব্যস্ততা ও অর্থাকাঙ্ক্ষার ভিতর অপ্রশংসার কিছুই নেই। ধন টাকা এগুলিতে আমাদের কাজ করবার প্রবর্তনীর যেরকম পরিমাণ করা যায়, এ-রকম অন্ত কোনো জিনিবদ্বারা হর না । এ-কথাটি যদি আগেকার ধনবিজ্ঞানবিদরা বুঝতে পারতেন তা হ'লে ধনবিজ্ঞানকে এত তীব্র নিনাবাদ সহ করতে হ’ত না। অর্থপিপাসাতে অন্য পিপাসার অভাব বুঝায় না, একথাট তাদের ভালো ক'রে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত ছিল । কাজ করবার আনন্দ প্রভুত্ব লাভেয় চেষ্টা প্রভৃতির শক্তি ও অর্থপিপাসার মধ্যে আছে। ঘোড়দৌড়ের ঘোড়া যেমন প্রতিযোগিতায় জিৎবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা ক’রে আনন্দ পায় সে-রকম অনেক ব্যবসাদারও তা’র প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে খুব আনন্দ পান, টাকা রোজপার ক’রে তেমন নয়। অর্থপিপাসা যে সব সময় নিন্দনীয় হয়, শুধু এটি প্রমাণ ক’রে আজকালকার পণ্ডিতরা নিরস্ত হননি —তাদের মতে ধনবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়ের একদিকে ধেমন ধন, অন্য দিকে তেমন মাস্থ্য। মহিষের মুখস্বাচ্ছন্দ্ব্যের দিক্‌ দিয়ে তা’র চরিত্রের দিক দিয়ে ধনের আলোচন করাই ধনবিজ্ঞানের কাজ । তাই অধ্যাপক IMarghall উার পুস্তকের প্রথমেই লিথ লেন । “I’olitical Economy or Economics is the study of mankind in ordinary business of life.” ধনবিজ্ঞান মামুষের দৈনন্দিন জীবনের বৃত্তি নিয়ে আলোচনা করে ।

  • “Thus it is, on the one side, a study of wealth, and on the other and more important side, a part of the study uf man.”

ধনবিজ্ঞান যেমন একদিকে ধন-সম্বন্ধে আলোচনা ক’রে তেমন অন্ত দিকে ইহা মানববিজ্ঞানের একটি অংশ, এবং শেবোজ দিকটিই ধনবিজ্ঞানের প্রধান দিক। ধনবিজ্ঞান আজকাল মানববিজ্ঞানের অংশ,তাই তা’র আসন এত উচ্চে। মাছষের দিক দিয়া ধনকে আলোচনা করা হ’ল ধনবিজ্ঞানের প্রধান দিক। কারণ, মানুষ সারাদিন মাথার ঘাম পায় ফেলে যা রোজগার ক’রে আনলে সবই ঢুক্ল তা'র উদরে—। সেটির চিন্তা তা’র যেমন বলবতী হবে, এবং সেগুলি চরিত্রগঠনে তা’র যেমন