৭৯২ প্রবাসী—চৈত্র, ఆళాలత [ ২৫শ ভাগ, ২য় খণ্ড কিয়ৎক্ষণ চাহিয়া রহিল—পরে বলিল “আমায় বলবে কেন ? আমি যে কেড়ে নেবো ।”
- —ন!—না—না, তা নয়। বুঝলে—মানে—বেশী বললে ফসকে যায়—কথাটা উঠল তাই বললাম,” বলিয়া স্বচ্ছম্বভাবে কোলের উপর বালিশটা টানিয়া লইয়া মল্লিনাথ স্থাকিয়া উঠিল, “ওরে ভূতে, দেশলাইট নিয়ে আয় ত একবায়।” ভূতে দেশলাই আনিয়া দিল—বাক্সে छू िकांटैिं-छिख-छरण न !
মেনকা বিড়িটা উনান হইতে ধরাইয়া আনিয়া স্বামীর কাছে ঘেসিয়া বসিল ও বলিল—“ই গা ? বারো হাজার পচাত্তর কি ?” মল্লিনাথ মুকুব্বিস্থানান্বরে বলিল—“ঐ যে—ডারবির নম্বর, যা ধরেছি আমি।” “গণৎকার বললে পাবে ? মা মঙ্গলচণ্ডী যেন তাই করেন, বড় দুঃখী আমরা” বলিয়া মেনকা বার-বার মঙ্গলচণ্ডীর উদ্দেশ্যে প্রণাম করিল। —“করবেন না ত কি ? আমি কারো কখন অনিষ্ট করিনি”, বলিয়া মল্লিনাথ নাক দিয়া একরাশ ধোয়। ছাড়িল । —“ই গt ? কত পাবে ?” —“লাক সাতেক হয় গণৎকারের হিসাবে, আরে পয়ল বাজি হয় ভালোই, না হয় থার্ড ই হোক—সেও ত তিন লাখ গো ! মারি ত হাতী, বুঝেছ গিল্পী ? এ পাতাচাপা কপাল, হাওয়া এসেছে অম্নি স’রে গেছে—কি ‘নম্ডিপ্লুম' দিয়েছি জানে ?” - —“সেটা কি ?” —“ঐ যে গো—“জয় তারা” “জয় হরি* গোছের একটা কিছুকে বলে 'নম্ডিপ্লম’ ।” —“তুমি কি দিলে ?” বলিয়া মেনকা গৌরবান্বিতমুখে স্বামীর মুখের দিকে চাহিল। এমন সময় ভূতে বলিল, “হা-হ, বাবার গোফ পুড়ে যাচ্ছে।” বিড়িটা ফেলিয়া দিয়া মল্লিনাথ বলিল, “দিলাম ‘রভা" —ঐটেই ঝ? ক’বে মাথায় এল” । —“এঃ ! রজ্ঞা যে অযাত্ৰা ! ওটা দিলে কেন ?” মল্লিনাথ মহা বিরক্তির সহিত বলিল-এ তোমার সে ংভ-অষ্টরভা নয়—কাটালি, মর্তমান, গাঞ্চল গৰল গিলবে—এ সে নয়-এ হচ্ছে ব্লভ।—ঐ ষে ইন্ধের সভায় যে নাচের স্পেসালিস্ট (specialist)—৮চামারই সৰী, তুমি মেনকা, এ রম্ভ, বড় মজলিসি মেয়েমানুষ" । নেড়ী আট হাত ডুরে পরিয়া বসিয়াছিল—ast, জ্যালজেলে একটা ডুরে ; ভূতে একেবারে দিগম্বর, তাহার কাপড় ছিড়িয়া গিয়াছে। সে বলিল, “আমায় একটু ডারবি বাবা"। নেড়ী আমনি নাকিম্বরে বলিল, “আমায়ও একটা বাবা, আমি ডাবৃবি খেতে বড় ভালোবালি”। মল্লিনাথ হালিতে-হাসিঙে বলিল, “ডাবৃবি থায় না রে, খেলে" । —“আমিও খেলব” বলিয়া নেড়ী বাপের কামিজ ধরিল। “যা—যা” বলিয়া নেড়ীকে হঠাইয়া দিয়া মল্লিনাথ মেনকার দিকে চাহিয়া বলিল “যাক্ গে চাকৃরি— ভারী ত ! মাসখানেক পরে তার আসবে সাহেবের কাছে যার কাছ থেকে আমি টিকিট কিনেছি—আমি জাজ থেকেই কাগজ দেখতে থাকৃব"। মেনকা বলিল, “দেখ, আর-একটু ভালোমন্স খেও— গেছে।চাকরীট-আপদ গেছে—দিনকতক জিরোও এখন ; আজ একটু কাটা ইলিশ এনে দিলে না কেন—ঝাল দে করে দিতাম”। মল্লিনাথ ফুর্টির সহিত বলিল, “খিচুড়ী চড়াও—জার বেশী ক’রে পেয়াজ, আলু ছেড়ে দাও তাতে ।” নেড়ী ও ভূতে দমভোর খিচুড়ী খাইবার আনন্দে নাচিতে লাগিল । ( כי ) মাসখানেক পরে মল্লিনাথ একদিন কাগজ পড়িতেপড়িতে চীৎকার করিয়া উঠিল—“মাৎ”—১২•৭এর পরের অক্ষরটি ছাপায় ভাল ওঠেনি—তবে ওটা ষে • মল্লিনাথের সে-বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। মন্ত্রিনাথ সার্ট গায়ে দিয়া বাহির হইবে, মেনকা জিজ্ঞাসা করিল—“কি ? কোথায় ষাচ্ছ ?” —“wtfg dồTutta (Statesman)–ĝș ș’rā জেনে আসতে—উঠেছে দেখা যাচ্ছে, তবু ধাচ্ছি—এমূনি কিছু টাকা ধার করে কিছু কিনে-কেটে আনুব’খন।
