পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eسb প্রবাসী—কার্তিক, ১৩৩২ [ २९* छांशं, २ई थ७. মহেশ্বরী দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ কহিলেন, “ভাবছি অনেক কথা—সে আর তুই শুনে কি কবি ?" কানাইলাল বলিল, “করা না-করা সে পরের কথা, আগে শোনাও ত ?” মহেশ্বরী মৃদ্ধশ্বরে কহিলেন “ভাব ছি, এ তোর ঘুমের আবেশ, না জাগরণের নেশা ।” কানাইলাল হো-হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। কহিল, “তোমরা চোখ-দুটি এত দূরে ফেলেও দেখতে পারো ? ঘুমোলেও তোমার ওই কোল, জাগরণেও ওই কোল, তা’র আর ভাব না কি ?” মহেশ্বরী কোনো কথা বলিলেন না। কানাই কছিল, “মা ! আমার একটা বড় সাধ হয়েছে—পূর্ণ করবে ত? মহেশ্বরী কহিলেন, “তা কি ক’রে বলতে পারি? আকাশের চাদ ধ’রে দিতে বললে হয়ত ‘আয় ! আয়! চাদ খায় ! ব'লেই নিরস্ত হ’তে হবে।” . কানাই হাসিয়া কহিল,"সে-বয়সটা বোধ হই তোমার এ পৰ্ব্বতপ্রমাণ ছেলের কেটে গেছে।” মহেশ্বরী শক্ষিত হইয়া কহিলেন, "ষাটু—যাট—অমন কথা বলে না। এখন কি বলবি, শুনি ?” কানাই কহিল, “বাস্তুভিটায় বাপ-মায়ের প্রদীপট যাতে জলে তা করতে হবে।’ "আমাকে ছেড়ে যাবি, বুঝি r সেখানে একৃলাটি কি ক’রে থাকৃবি ?” “থাকুব ত তোমারই কাছে। শুধু আমি জানতে চাই ষে আমার দাড়ানোর একটা স্থান আছে। আর আমার পিতৃপুরুষেরা জানতে চান ষে তাদের ভিটায় প্রদীপ জলছে।” তা’র পর কিছুদিনের মধ্যে নিতাই-বাগীর ভিটার উপর কানাইলালের এক বাসভবন নির্শিত হইল। সেখানে यांशबा दान कब्रिtउछ्जि, उांशप्नब अछज छांद्रश-छभि. দিয়া স্বখেন্দু কানাইএর জন্য একটি স্বৰ্দুগু পাক-বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়া দিলেন। গৃহের মাম রাখা হইল, ‘মাতৃ-নিবাস। কানাইলাল স্বথেন্দুর নিকট হইতে বেডন স্বরূপে যাহা পাইত,আপনার গৃহে বসিয়া সে তাহা হইতে কিছু-কিছু দরিজদিগকে দান করিত। অবশিষ্ট অর্থ বাগদী-জাতির শিক্ষার্থে—বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যালয়স্থাপন করিয়া তাহারই উদেশে ব্যয় করিত। এইরূপে তাহার জনহীন মাতৃ-নিবাস দিন দিন দরিদ্রদিগের কলকণ্ঠে মুখরিত হইয়া উঠিতে লাগিল। ( ক্রমশ: ) धूखि लांड ঐ প্রভাবতী দেবী সরস্বতী ( , ) বুড়া রতনদাস বাবাজি নবদ্বীপে তীর্থ করিতে গিয়া যখন ছোট একটি ছেলেকে সঙ্গে করিয়া গ্রামে ফিরিয়া আসিল, তখন গ্রামের লোকে একেবারে আশ্চৰ্য হইয় গেল । ছেলেটি তখন বছর পাচেকের ; বেশ হৃষ্টপুষ্ট, উজ্জল গৌরবর্ণ, মুখখানি অতি স্থম্বর। মাথাভরা তাহার কালো কোকৃড়া চুলের রাশি। পরণে তাছার অতি छःौर्व ছোট একখান কাপড়, বাবাজির ভিক্ষাপাত্র বহিয়া লইয়া সে গ্রামে প্রবেশ করিল। এমন স্বন্দর ছেলে গ্রামে আর একটিও ছিল না । এমন দীর্ঘ হৃষ্টপুষ্ট চেহারা অনেক বড় লোকের ছেলেরও নাই, ছেলেটি ষে কে তাহ জানিবার জন্ত সকলেই মনে অদম্য কৌতুহল চাপিয়াছিল। তাই সকলেই গিয়া রতনদাসকে ধরিল, “বাবাজি, এ ছেলেটিকে পেলে কোথায়; কা’র ছেলে কুড়িয়ে আনলে ?”