পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবার বা বহুবার দুর্গাপূজা করিয়া পরে তাহা করিতে না পারিলে তাহাতে তাহার হিন্দুৰ বা ধৰ্ম্ম লুপ্ত হয় না। शङब्रां९ हेशचौकांब्र कब्र यांग्र न, cष,ब्रांछ वचौ श्न्शूि बांeाजौ কেহ দুর্গাপূজা করিবার টাকা বা সুযোগ না পাইলে র্তাহার হিন্দুৰ লুপ্ত হইভ বা ধৰ্ম্ম নষ্ট হইত। এই কারণে আমরা মনে করি, দুর্গাপূজার টাকা লইয়া সরকারের সহিত মভাগুর ও বাদপ্রতিবাদ অনশনত্রত গ্রহণের যথেষ্ট কারণ হইতে পারে না। রাজবন্দীদিগের অন্ত কোন গুরুতর অভিযোগ থাকিলে, তাহ! স্বতন্ত্ৰ কথা । সাধারণভাবে রাজবনীদের অনশন অবলম্বন সম্বন্ধে আরও একটি কথা সঙ্কোচ-সত্ত্বেও বলিতে হইবে। যদি জেলে রাজবন্দীর, স্বগৃঙ্গে যত প্রকার আরাম ও স্ববিধ পাইয়া থাকেন, তাহার সমস্তই পাইতেন, তাহা হইলে বন্দী হওয়ার যে-গৌরব, তাহা অনেকটা লুপ্ত হইত। প্রধানত:, স্বদেশের জন্য দুঃখভোগ করিতে হয় বলিয়াই, এই বন্দীরা দেশবাসীর বনানা পাইয়া থাকেন। যদি জেলে সব বিষয়ে দিব্য আরামে থাকিতে পাওয়া যায়, তাহা হইলে তাহাদের প্রতি সৰ্ব্বসাধারণের মনের ভাব কিছু পরিবর্তিত হইবার সম্ভাবনা। অবশু, স্বাধীনতা লুপ্ত হওয়াটাই একটা মহা দুঃখ, তাহা স্বীকাৰ্য। কিন্তু সে-কারণে ত রাজবন্দীদের কেহ অনশনত্রত অবলম্বন করেন না। র্তাহারা উপবাস করেন, খাদ্য, পরিধেয়, পুস্তক, সংবাদপত্র, বিশ্রাম, জেলের কৰ্ম্মচারীদের শিষ্টজ-অশিষ্টতা, উৎসবাদি করিবার স্থযোগ, ইত্যাদি বিবর লইয়া। এইজন্তই বলিতেছিলাম, যে, উপবাস আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে বিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখা আবশ্বক, যে, কারণটা যথেষ্ট গুরুতর কি না। ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বহু খুব বুদ্ধিমান, কপিষ্ঠ এবং দেশভক্ত ত্যাগী পুরুষ। র্তাহার প্রাণ তুচ্ছ নয়—কাহারও প্রাণ তুচ্ছ নয়। তিনি যে অনশন ত্যাগ করিয়াছেন, ইহা আহলাদের বিষয় । তিনি চিরকাল বন্দী থাকিবেন না। তিনি আবার কৰ্ম্মক্ষেত্রে ফিরিয়া আসিবেন। তিনি শীঘ্ৰ ফিরিয়া আস্থন, এবং দীর্ঘজীবী হইয়া দেশহিতব্রভ পালন করিতে থাকুন, ইহাই আমরা চাই । রাজবন্দীদের প্রতি ব্যবহার এগার বৎসর পূৰ্ব্বে জেল-কমিশনের সম্মুখে নুতন আলিপুর জেলের স্বপারিস্টেণ্ডেণ্ট লেফটেন্যান্ট-কৰ্ণেল মালভ্যান যে সাক্ষ্য দেন, তাহ, এবং তিনি রাজবন্দীদের প্রতি ব্যবহার সম্বন্ধে জেলসমূহের ইন্‌স্পেক্টর জেনের্যাগকে কে-চিঠি লেখেন, তাহা ফরওয়ার্ড, কাগজ প্রকাশ করিয়া ও প্রযুক্ত তুলসীচরণ গোস্বামী রাজবন্দ্বীদের অনশনসম্বন্ধে ভারতীয় ব্যবস্থাপকসভায় তর্ক-বিতর্কের সময় তাহা পাঠ করিয়া দেশের লোকদের চোখ ফুটাইয়া দিয়াছেন। এখন জানা গিয়াছে, যে, রাজবন্দীদের নির্জন কারাবাসে উfহাদের উন্মাদগ্ৰস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলেও পুলিসের হুকুম অনুসারে তাহাঁদের কঠোর নির্জন কারাবাসের वादश् छ्रुं७ ७द९ गङदड: ७थनe झञ्च, tथद९ डांश्ॉ८मब्र স্বাস্থ্য আদি সম্বন্ধে মিথ্য রিপোর্ট লিখিতে জেলস্বপারিণ্টেণ্ডেণ্ট দিগকে বাধ্য করা হইত, এবং সম্ভবতঃ এখনও श्झ । জেল-কমিশনের সম্মুখে মালভ্যানী সাহেব এইরূপ সাক্ষ্য দেওয়া সত্ত্বেও উক্ত কমিশনের রিপোর্টে রাজবন্দীদের উপর কোন অড্যfচারের কথা নাই ; উাহাঙ্গের প্রতি ব্যবহার যে বেশ ভাল, তাহাই লেখা আছে । তুলসী গোস্বামী মহাশয়ের বক্তৃতার পর সরকার পক্ষ হইতে মাডিম্যান সাহেব বলেন, যে, উহা ১৫ বৎসর আগেকার কথা। কিন্তু পনের বৎসর আগেই বা এমন অত্যাচার ও মিথ্যাবাদিতার প্রশ্রয় গবষ্মেন্ট কেন দিয়াছিলেন, এবং জেল-কমিশনই বা মিথ্য। রিপোর্ট কেন লিখিলেন । পনের বৎসর পূৰ্ব্বে যাহা ঘটিয়াছিল, এখনও যে তাহাই হইতেছে না, তাহার প্রমাণ কি ? স্যার আলেকজাণ্ডার মাডিম্যানের বক্ততার পরই লীলা লাজপৎ রায় বলেন, ধে, জেলবাস সম্বন্ধে তাহার ১৯১৫ সালের পরবর্তী অভিজ্ঞতা আছে। তদনুসারে তিনি বলিতে পারেন, যে, এখনও বন্দীদের প্রতি দুর্ব্যবহার হয় । সরকারী কলঙ্কের কথা প্রকাশিত ও প্রমাণিত হইলেও তাহার প্রতিকার করিবার ক্ষমতা যে আমাদের নাই, ইহা ঘোরতর দুঃখ, অপমান ও লজ্জার কথা । “ভাল ছেলের মত" চিরকাল কৌন্সিলে গিয়া "সহযোগিতা" করিলে, এমন কি কড়া কড়া বক্ততা করিলেও ইহার প্রতিকার হইবে না। তাহা অপেক্ষা দুঃসাধ্য সাধনার ¢¢प्रों छन । কেন্সিল হইতে স্বরাজ্যদলের নিক্রমণ কানপুর কংগ্রেসে বলা হইয়াছিল, যে, গবশ্লেষ্ট যদি জাতীয় দাবীতে বর্ণপাত না করেন তাহা হইলে স্বরাজ্যদলের সভোর প্রাদেশিক ও ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভাগুলি হইতে বাহির হইয়া আসিবেন ও তাহার পর স্বরাজ লাভের চূড়ান্ত উপায় অবলম্বনের জন্য দেশকে প্রস্তুত করিবার চেষ্টা করিবেন। ইছা লিখিতে আমাদের কোনই স্থখ হইতেছে না, যে, আমরা কংগ্রেসের পরেই ভাবিয়াছিলাম ও লিখিয়া