পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

జరిg প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৩২ { ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ASAMAAAS SAAAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAS AAAS aকহ কথনও সে-দেশের মাতুষই দেখে নাই। কাহাকেও “জাৰ্ম্মন”দের বিষয় কোনো কথা বলিতে কদাচিৎ শুনিতাম ; কেবল প্রশিয়ানদের কথাই লোকে বলিত ; তাহাদের নাম যে লোকে স্নিগ্ধকণ্ঠে বলিত না, সে-কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ওই সঙ্গীত যাহারা স্বষ্টি করিয়াছে, আমি যে সেই প্রাণগুলিকে খুজিয়া বেড়াইতাম। আমার কাছে যে তাহারা কেবল সঙ্গীত, কেবল শিল্পের স্রষ্ট । আমি সেই সঙ্গীতের পুথিগুলি খুলিয়া বসিভাম, ঠেকিয়া-ঠেকিয়া সেগুলি পিয়ানোর পর্দায় ঝঙ্কারমুখর করিয়া তুলিতে চেষ্টা করিতাম : তাহার ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিত যেন অশরীরী আত্মা ; প্রাণপুষ্পের পাশ-ড়িগুলি, ব্যথা-গলা হৃদয়ের স্মিতহাস্য, পুলকম্পন্দন, প্রেম ও বিশ্বাসের আনন্দ-উচ্ছ্বাস ; স্মৃতি, কামনা, স্নিগ্ধ ও সমুজ্জল অহেতুক স্বথ ও নিমিত্তহীন গভীর বিষাদ-রূপে ফুটিয়া উঠিত। আমি তখন সবেমাত্র এই সঙ্গীতরসমূৰ্ত্তিগুলির সহিত পরিচিত হইয়া উঠিতেছি, তখনই তাহারা আমার অন্তরতম বন্ধু। সেই প্রাণপ্রবাঙ্গ, সেই গীতরসধারা, যাহা আমার সমস্ত সত্তাকে স্নান করাইয়াছে, তাঙ্কার শিরায়-শিরায় অনুপ্রবিষ্ট হইয়া গিয়াছে, তাঙ্গ যেন সুন্দরী ধরণীর শোষিত বৃক্টধারার মতো অদৃশ্য হইয়া মিলাইয়া যাইত ; কিন্তু তাহা যে মাটির বুকে প্রবেশ করে, তাছাই ত মাটির তলায় শান্তগষ্ঠীর জলরাশিকে গড়িয়া তোলে, প্রেম ও জীবনের ভাণ্ডার পুষ্ট করে । তখন হইতে জীবনটা হয়ত সাদামাটা ছন্দে ছুটিয়াছে, সমৃদ্ধ ঘটনার আড়ম্বর হইতে বঞ্চিত হইয়াছে, স্বথ ও সহানুভূতির অভাবে ব্যথিত হইয়াছে ; কিন্তু আত্মা কখনও অনাবৃষ্টিতে শুকাইয়া মরে নাই, আত্মার অন্তরে ফুটিয়াছে যে রসের অসীম উৎস • • • • • • ••• মোজার্ট ও বেটোফেনের প্রেমবেদনা, কামনা ও চপল কল্পলীলা, তোমরা যে আমার দেহের অণুপরমাণু হইয়া উঠিয়াছ ; আমি তোমাদের সর্বাঙ্গে পরিব্যাপ করিয়া লইয়াছি, তোমরা আমার, তোমরা আমুারই ংশ—ধর্শ্বের রহস্য হইতে এমন ভিন্নভাবে, নিবিড়ভাবে রহস্যময় । নিঃসঙ্গ একটি প্রাণ কত শতাব্দী পূর্বে "ভালোবাসিয়াছিল, স্বপ্ন দেখিয়াছিল, বেদন পাইয়াছিল। سیاہیہ ،معدہ nہ ت= সে প্রাণের সত্যরূপ যে কেমন ছিল, তাহা আর কেহ জানিবে না, কিন্তু তবু সেই প্রাণই আজ আর-এক, শতাব্দীর আর-একটি নিঃসঙ্গ জীবনে, একটি অৰ্দ্ধ সচেতন বিস্ময়বিহবল শিশুর দেহে পুনর্জন্ম গ্রহণ করিয়াছে ; এইসকলের অর্থ যে কি, তাহা সে শিশু এখনও জানে না • • • • { হে আমার জাৰ্ম্মান বন্ধুবৰ্গ, তোমাদের প্রাচীন সঙ্গীত রসিকদের বক্ষে যেমন এইসকল অনুভূতির স্পন্দন জাগিয়া উঠিত, তেমনি ভাবে আমারও বক্ষ স্পন্ধিত হইয়াছে । ইহার যদি শুভ ন হইত, তাহা হইলে আমার আত্মাকে ধ্বংস করিয়া , ফেলিতে পারিত । তাহারাই যে ছিল আমার আত্মার নিয়ন্তা......কিন্তু কি অশেষ কঙ্ক্যiণই আমার তাহারা করিয়াছে । যখন শিশু বয়সে পীড়িত হইয়া ভীতচিত্তে ভাবিভাম বুঝি বা মরিয়া যাইব, ( কতকটা ইহাদের সাহায্যেই আমার এই পুরাতন ভীভিট। আমি ভুলিয়। গিয়াচি ) মোজার্টের অমুক-অমুক পদ আমার শিয়রে বন্ধুর মতো জাগিয়া থাকিত ; মুম্যু অবস্থায় তাহার হাতখানা ধরিয়া থাকিতে প্রাণ চাহিত, এমন-কি সমাধির ভিতরেও র্তfহার সঙ্গ পাইতে ইচ্ছা করিত । পরে কৈশোরের সংশয়বাদের সেই সঙ্কটকালে বেটোফেনের কয়েকটি স্বপরিচিত সঙ্গীতই অনস্ত জীবনের অগ্নিকণা আমার জীবনে পুনঃপুনঃ প্ৰজলিত করিয়াছে। আরো কিছুকাল পরে, যখন জীবিকা-অর্জনের জন্য মরীয় হুইয়া সং গ্রাম করিতেছিলাম, কত রবিবাবে যখন আপনাকে একান্ত দুৰ্ব্বল, বিষঃ, নিপীড়িত মনে করিতাম, যখন জগতের বিদ্বেষী ঔদাসীন্যের ভারে নিষ্পেষিত হইয়া পড়িতাম, তখন আমি ভাগ নেয়ারের রচনা হইতে কি বিরাট ও আনন্দময় শক্তি সংগ্ৰহ করিয়াছি। তাহাই আমাকে বিশ্বের পথে অগ্রসর হইতে সাহায্য করিয়াছে। তাহা ছাড়া, যে-কোনো মুহূৰ্ত্তে যখনই হৃদয় অবলম্ব হইয়াছে, . প্রাণরস শুকাইয়া গিয়াছে, তখনই সঙ্গীত-রলে স্নান করিয়া লইয়াছি,-আমার পিয়ানো যে বন্ধুর মতো আমার পাশেই থাকে –সৰ্ব্বদাই মায়া ও আশায় উজ্জল মধুর তাজা বিশুদ্ধ প্রাণ পাইয়া আবার তরুণ রূপে বাহিরে আসিয়া দাড়াইয়াছি ।