পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$48 AMMAAA AAAA S ব্রহ্মদেশ ভারতবর্ষের মত ইংরেজদের অধীন। ইংরেজরা সেখানে টাকা রোজগার করিয়া ধনী হইতে চাহিবে, ইহা বিচিত্র নয়। কিন্তু তাহারা বা অন্য ইউরোপীয়ের মাঠে কিম্বা কলকারখানায় বন্দরে কুলী-মজুরের কাজ করে না, অথচ শ্রমিক ভিন্ন তাহীদের বড়মানুষ হইবারও উপায় নাই । আবার ব্ৰহ্মদেশের স্বাভাবিক বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্টসংখ্যক ও ভাল শ্রমিকও পাওয়া যায় না। সুতরাং এশিয়াবাসী অন্ত শ্রমিক চাই। তাহারা সাধারণতঃ চীনদেশীয় ও ভারতীয় হইয়া থাকে। অতএব চীন ও ভারত হইতে ব্রহ্মে লোকদের আগমনে বাধা জন্মানো উচিত নয়। কিন্তু ব্রহ্মের প্রাদেশিক গবৰ্ম্মেণ্ট সেই বাধা জন্মাইতেছেন। কিছুদিন পূর্বে “বশ্ব সী প্যাসেঞ্জাস বিল” অর্থাৎ সমুদ্রপথে ব্ৰহ্মাত্রী-সম্বন্ধীয় বিল ঐ প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থাপিত হইয়াছিল। সভা ভাহা পাস করিয়াছেন । ব্রহ্মদেশীয় ছাড়া অঙ্ক যে-কেহ সমুদ্রপথে ব্রহ্মদেশে আসিবে তাহাদিগকে জন-পিছু পাচ টাকা করিয়া ট্যাক্স দিতে হইবে। তা-ছাড়া ব্ৰহ্মদেশীয়দিগকে মাথা-পিছু যে ট্যাক্স দিতে হয়, তাহাও দিতে হইবে । দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা, আমেরিকা প্রভৃতি দেশ ভারতবর্ষের লোকদিগকে উপার্জন ও বসবাসের জন্য ঢুকিতে দেয় না। ইহা ভারতীয়দের পক্ষে অস্ববিধাজনক ও অপমানকর । এপর্য্যস্ত ভারতসাম্রাজ্যের অস্তগত প্রদেশগুলি পরস্পরের যাতায়াত সম্বন্ধে কোন আইন করে নাই, যদিও "বিহারীদের জন্য বিহার,” প্রভৃতি রব বহুকাল হইতে শুনা যাইতেছে। ব্রহ্মদেশেও অনেক বৰ্ম্মী এইরূপ রব তুলিয়াছেন। প্রদেশে-প্রদেশে রেষারেষি বা বিদ্বেষ থাকিলে ভেদনীতিপ্রয়োগ দ্বার একতার উদ্ভবে বাধা দিয়া ভারতসাম্রাজ্যে প্রভুত্ব বজায় রাখা সহজ হয় বলিয়া ইংরেজরা ইহাতে খুলী। তাছাড়া তাহদের ভারতসাম্রাজ্যের কোথাও যাতায়াত ত কেহ বন্ধ করিতে পাপ্লিবে না; কিন্তু ব্ৰহ্মদেশে ভারতীয়েরা না গেলে রাজনৈতিক আন্দোলনে এবং অর্থোপার্জনে ইংরেজের সহিত প্রতিযোগিতা কিছু কমিবে বলিয়া তাহারা আশা করে । , এখন কিন্তু ব্ৰহ্মদেশীয়রাই ত অপরের সাহায্য পরিচালনা প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড বা প্ররোচনা ব্যতিরেকেও রাজনৈতিক আন্দোলনে খুব সমর্থ হইয়াছে;—শুধু পুরুষেরা হে, স্ত্রীলোকেরাণ্ড । অর্থোপার্জনে প্রতিযোগিতা-সম্বন্ধে বক্তব্য এই, যে, অধিকাংশ ভারতীয় ব্রহ্মে যায় দৈহিক শ্রম বা ছোটখাট ব্যবসা করিতে। তাহাদের সহিত ইংরেজদের কোন প্রতিযোগিতা নাই ; বরং শ্রমিক ন পাইলে ইংরেজদের রোজগার বন্ধ হইতে পারে । সম্ভবতঃ এই কারণে, ব্রহ্মের ব্যবস্থাপক সভায় ইংরেজদের ব্রহ্মদেশীয় বণিকৃ-সমিতির দু'জন প্রতিনিধি ইংরেজ সমুদ্রপথে আগন্তকদের উপর এই ট্যাক্স বসাইবার বিরুদ্ধে বক্ততা করিয়াছিলেন। অন্ত কোন-কোন ইংরেজও ইহার বিরোধী । এই ট্যাক্সের জন্য ভারতবর্ষ হইতে ব্রহ্মে লোক কম যাইবে মনে হয় না। ভারতবর্ষ হইভে ব্রহ্মে যাইবার জাহাজ-ভাড়া যদি পাচ টাকা করিয়া বাড়িত, তাহা হইলেও ব্রন্ধে রোজগারের সম্ভাৱনা থাকায়, যাত্রী কমিত না । ভারতবর্ষে রেলভাড়া খুব বাড়িয়াছে, কিন্তু তাই সত্বেও তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রী বাড়িয়াছে। এইজন্য আমাদের মনে হয়, ব্রহ্মের নূতন ট্যাক্সটির মন্দ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে না। লাভের মধ্যে মাতুষের মনে রাগ-দ্বেষ রেফারেষি বাড়িবে। অবশু, ব্রহ্ম-গবৰ্ম্মেন্টের আয় বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকা বাড়িবে বলিয়া অহমিত হইয়াছে। কিন্তু অলাভের তুলনায় এই লাভটা কি এতই বেশী ? ব্রহ্মদেশীয় ব্যবস্থাপক সভায় আর-একটি আইন পাস হুইয়াছে, তাহার নাম অপরাধী বহিষ্করণের আইন। পীন্তাল কোডে যে-সব অপরাধের জন্ত দুই বৎসর বা ততোধিক সময়ের জঙ্ক দণ্ড হয়, সেইরূপ অধিকাংশ অপরাধের মধ্যে কোন একট। অপরাধ ব্ৰহ্মদেশীয় ভিন্ন অন্ত কেহ করিয়া দণ্ডিত হইলে কিম্বা সদাচরণ করিবার জন্য জামিন দিতে বাধ্য হইলে,সে ব্রহ্মদেশ হইতে বহিষ্কারযোগ্য হুইবে । ভারতবর্ষের কোন শ্বেত বা অশ্বেত বিদেশী ঐক্ষপ কোন অপরাধে দণ্ডিত হইলে তাহাকে ভারতবর্ষ হইতে ভাড়াইয়া দিবার জাইন নাই। “রেজুন মেল” এই আইনটিতে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে বলিয়া সন্দেহ করেন । উহাতে লিখিত হইয়াছে ঃ– “You are no habitual offender, no moral obliquity imay be charged against you; you may not be a