পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

う役ぐう না করিয়াই মিটাইয়l;দেওয়া হইয়াছে, যাহার জন্য আগেকার কালে নিশ্চয়ই যুদ্ধ হইত। আন্তর্জাতিক আদালত স্বারা জাতিতে-জাতিতে সব বিবাদের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত, মানবহিতৈষীদিগের অনেক অগ্রণী বহুকাল হইতে ইহা বলিয়া আদিতেছেন। এই আদর্শ শীঘ্র বাস্তবে পরিণত না হইলেও ভবিষ্যতে কোন সময়ে যে হুইবে, এরূপ আশা করা যাইতে পারে। তখনই "সভ্য জগৎ” কথাটি অস্বর্থ হইবে, এখনকার পৃথিবীর কোন অংশকে ঠিকৃ मृस्छj दल शंभुं न । যুদ্ধের একটা দোষ এই—যে, শাস্তির সময়ে সাধারণ সব কাজে মানুষ নিজের হিতাহিত জ্ঞান ও বুদ্ধি অনুসারে চলিতে পারে ; কিন্তু যুদ্ধের সময় সৈনিকরা তাহা করিতে পারে না। মনে করুন, যদি ইটালীর লোকেরা অন্যায় করিয়া গ্রীস আক্রমণ করে, তাহ হইলে ইটালীর যে-সব সৈনিক গ্রীস আক্রমণ অঙ্কুচিত মনে করিবে, তাহারাও যুদ্ধ হইতে বিরত থাকিতে পরিবে না,তাহদের ধর্শ্ববুদ্ধির নিষেধ সত্ত্বেও তাহারা গ্রীসের সহিত লড়িতে বাধ্য হইবে, নরহত্যা লুণ্ঠন গৃহদাহাদি নানা অপকৰ্ম্ম করিতে বাধ্য হইবে। মানুষের স্বাধীন বিচারশক্তি, হিতাহিত-জ্ঞান, ধৰ্ম্মবুদ্ধি তাহাকে ইতর প্রাণী হইতে শ্রেষ্ঠ পদবী দিয়াছে। কিন্তু যুদ্ধের সময় হাঞ্জার-হাজার লক্ষ-লক্ষ লোককে মানুষের এইসব বিশেষত্ত্বে জলাঞ্জলি দিয়া রাজার, সম্রাটের বা সেনাপডির হাতের অস্ত্রের মত নির্বিচারে কাজ করিতে হয়। যুদ্ধ এইপ্রকারে মাহুষকে অনেকটা অ-মানুষে পরিণত করে বলিয়াও আমরা যুদ্ধের বিরোধী। সান য়ুৎ সেন চীন দেশের প্রসিদ্ধতম নেতা সান স্থং সেনের মৃত্যুংবাদ ইতিপূৰ্ব্বে কয়েকবার রটিয়াছিল। এবার কিন্তু সকলেই মনে করিতেছেন, যে, তাহার মৃত্যু সত্য সত্যই इड्रेब्रां८छ् । চীনে সাধারণতন্ত্ৰ স্থাপিত হইবার পূৰ্ব্বে উহার সম্রাটু ছিলেন মাঞ্চু বংশীয়। মাঞ্চুরী চৈনিক নহে, বিদেশী, মাঞ্চুরিয়ার লোক। তাহারা চীন জয় করিয়া দীর্ঘকাল চীনের উপর প্রভুত্ব করিয়াছিল । প্রবাসী—বৈশাখ, ১৬৩২ [ २८* छांनं, sञ थ७ যে-সকল দেশহিতৈষী ব্যক্তির চেষ্টায় চীনে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, ডাক্তার সান য়ং সেন তাহাদের মধ্যে প্রধান। বলিতে গেলে তিনিই নূতন চীনকে গড়িয়া তুলিয়াছেন। কতবার যে তিনি ঘাতকদের হাত হইতে পলাইয়া রক্ষা পাইয়াছেন, তাহ হয়ত এখনও জানা নিজের পড়ে নাই। কখন-কখন তিনি ঘাতকদিগকে বুঝাইয়৷ মতাবলম্বী করিতেও সমর্থ হইয়াছিলেন। সান লুৎ সেন ও উtহার পত্নী একবার চীনের মাধু গবর্ণ মেন্টের পক্ষ হইতে ঘোষণা করা হইয়াছিল,যে, যে-কেহ সান য়ং সেনের মাথা আনিয়া দিতে পরিবে, তাহাকে অনেক টাকা দেওয়া হইবে ; অর্থের পরিমাণও নির্দিষ্ট হইয়াছিল। টাকার লোভে দু’জন রাজকৰ্মচারী ও বারজন সৈন্ত সান্‌ য়ং সেনের অজ্ঞাতসারে কান্টনে তিনি যে-ঘরে গোপনে বাস করিতেছিলেন, তথায় গিয়া উপস্থিত হয়। স্বত বা জীবিত যেঅবস্থাতেই হউক, সানকে হাজির করিতে পারিলেই