পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e و N< প্রভুত্ব করিবার ইংরেজের অভাব মানুষের যেমন ধনের লোভ, মোহ ও আকর্ষণ আছে, তেমনি প্রভুত্বের ও ক্ষমতার লোভ, মোহ ও আকর্ষণও আছে । দীর্ঘকাল ধরিয়া ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীরা ভারতবর্ষে খুব মোটা বেতনের চাকরী করিয়া অর্থ সঞ্চয় করিয়াছে; তদুপরি তাহাদের প্রভুত্ব ও ক্ষমতাও ছিল কাৰ্য্যতঃ অসীম। এবং এই প্রভুদের সহায়তায় ইংরেজ বণিক ও ধনিকগণও ভারত হইতে অর্থ শোষণ খুব করিয়া আসিতেছে । তাহার পর আসিল ভারত-শাসনসংস্কার আইন । ইহাতে বাস্তবিক ষে ভারতীয়দের প্রকৃত ক্ষমতা বিশেষ কিছু বাড়িয়াছে, তাহা নহে ; প্রাদেশিক ও ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভা-সমূহে আমাদের প্রতিনিধিরা গবন্মেন্টের মতের বিরুদ্ধে যে-প্রস্তাব ধাৰ্য্য করিয়াছেন, তাহার কতগুলি কার্ষ্যে পরিণত হইয়াছে, সন্ধান লইলেই আমরা কিরূপ স্বায়ত্তশাসন পাইয়াছি বুঝা যাইবে । যাহা হউক, সিবিলিয়ানরা ও র্তাহীদের বন্ধুর রব তুলিলেন, ভারতীয়দিগকে এত ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে, যে, ইংরেজ ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি তাহাদের চক্ষে নগণ্য ও হেয় হইয়া পড়িয়াছেন, এবং তাহাদের জীবন কণ্টকময় হইয়া পড়িয়াছে। ভারতবর্ষে ইংরেজ পুরুষ ও নারীর কিরূপ অপমান হইতেছে, তাহাদের কিরূপ প্রাণ সংশয় হইয়াছে, ইংরেজ স্ত্রীলোকদের নারীধৰ্ম্ম বজায় থাকাও কিরূপ কঠিন হইয়া পড়িয়াছে, তাহার নানা অতিরঞ্জিত ও কাল্পনিক বর্ণনা বিলাতে দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস, প্রকাশিত হইতে লাগিল। তাহার পর ইংরেজদের এদেশে থাকিবার ব্যয় কিরূপ বাড়িয়াছে, তাহাও অবস্থা বর্ণিত হইতে লাগিল । সিদ্ধাস্তটা এই দাড়াইল, যে, ইংরেজদের এমন যে অপমান, অস্থবিধা, প্রাণসংশয় ও সতীত্বসংশয়ের দেশ ভারতবর্ষ, সেই ভারতবর্ষে ইংরেজ সিবিলিয়ানরা এবং তাছাদের স্ত্রীরা ভারতীয়দের উদ্ধার সাধনের জন্য থাকিতে ও যাইতে আর রাজি नद्रश्न ;-किड्, किड्, डट्रय किन, पत्रदशैं, शूलिं (সিবিলিয়ানদের বেতন ও অন্যান্য পাওনা বাড়াইয়া দেওয়া হয় এবং তাহাদিগকে সপরিবারে বিলাত হইতে ভারতে যাতায়াতের ভাড়া দেওয়া হয়, তাহা হইলে তাহারা ভারতীয়দের মোক্ষলাভের সহায়তা করিতে রাজি হইতেও পারে। এইরূপ ওজুহাতে পুনঃ পুনঃ তাছাদের বেতনাদি বাড়ানো হইল। শেষে লীকমিশন বসিয়া তাহাদের স্বপারিস-অনুসারে এবং ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেতনাদি বৃদ্ধি পুনরায় इहेघ्नांtछ । किछ हेझां८ङe नांकि हे९८ब्रज यूबिकटनब्र खब्रिजैौ गिविशिष्ान् श्विांन् ऎषड्। इऎङिक् न। । खांब्रड প্রবালী-বৈশাখ, రిలిషి - AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA CTA AeAS AMMMMMAAA SAAAAA AAAA AAAAS MAMS MAMS MATT MAM MAAAA [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড { بمبهمعتيغمبند বর্ষে র্যাহারা আগে প্রাদেশিক লাটগিরি করিয়াছিলেন, তাহাদের কেহ-কেহ এবং অন্যেরাও বিলাতী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গিয়া ভারতবর্ষে চাকরীর নানা স্থবিধা-সম্বন্ধে বক্তৃত কুরিতেছেন। স্বয়ং ভারতসচিব বার্কেনহেড, কলম ধরিবেন, ও ইংরেজ যুবকদিগকে ভারতবর্ষের হওঁ কৰ্ত্ত বিধাতা হইবার জন্ত নিমন্ত্ৰণ করিবেন। বাস্তবিক ভারতবর্ষের হৰ্ত্তী-হওয়া ত ভালই । কৰ্ত্তা ও বিধাতা হইতেই বা আপত্তি কেন হয় ? কিন্তু আগে আগে বেতন বাড়াইবার জঙ্ক ও অন্ত উদ্বেপ্তে, ভারতবর্ষ-সম্বন্ধে এত মিথ্যা কথা বিলাতে বলা হইয়াছে এবং এত বিভীষিকা প্রদর্শিত হইয়াছে, যে, এখন তাহার বিপরীত কথায় বোধ হয় বিলাতের যুবকেরা আর অবস্থা স্থাপন করিতে পারিতেছে না । ফলে সিবিলসার্ভিসের পরীক্ষামু যথেষ্ট ইংরেজ পরীক্ষার্থী জুটিতেছে না। লী-কমিশনের রিপোর্ট-অনুসারে দীর্ঘকাল-পরে ভারতে সিবিলিয়ানদের মধ্যে শতকরা ৫০ জন ভারতীয় ও ৫০ জন ইংরেজ হইবার কথা । কিন্তু লর্ড বার্কেনহেড আশঙ্ক। করিতেছেন, যে, এই শতকরা ৫০ জন ইংরেজ সিবিলয়ানও না জুটিতে পারে । বিলাতে ভারতবর্ষের মুক্তিদাতা এতগুলি লোক সমবেত হইয়৷ যে-যে বিষয়ে পরামর্শ করিবেন, ইংরেজ যুবকদিগকে ভারতে সিবিলিয়ান হইবার নিমিত্ত প্রলুদ্ধ করিবার জন্য আর কি করা যাইতে পারে, তাহার মধ্যে সম্ভবত তাহা একটি। হয়ত সিবিলিয়ানদের বেতনাদি আরও বাড়াইবার ব্যবস্থা হইতে পারে। সে যুক্তিটি মন্দ নয়। টাকাটা যখন ভারতবর্ষ দিবে, তখন কেবলমাত্র গ্রহণ করিবার কষ্ট স্বীকার করা জগদ্ধিতৈষী ইংরেজদের অবগুকৰ্ত্তব্য । বিশেষতঃ, ভারতীয়দের ঐহিক ধনসম্পত্তির ভার ও বন্ধন এইপ্রকারে যতই কমানো যাইবে, তাহারা সেই-পরিমাণে পারত্রিক মোক্ষলাভের উপযুক্ত হইয়া উঠিবে। অতএব মুক্তিদাতা ইংরেজদের এবিষয়ে ভারতবর্ষের সাহায্য করা একান্তকৰ্ত্তব্য । অবশ্য, মন্দলোকে কি না বলে ? তাহারা বলিতে পারে, সিবিলিয়ানদের বেতনাদির এই অনুমিত শেষবৃদ্ধি অতিবৃদ্ধি হইয়। যাইতে পারে, এবং “অতি” কথাটা ষে “অলক্ষণ্যে” তাহা রামায়ণে লেখা আছে, যথা, “অতিক্ষপে হত। লঙ্ক," ইত্যাদি। কিন্তু গোক্ষর-গাড়ীরও লাঠিধতুৰ্ব্বাণের যুগে যাহা সত্য ছিল, ট্যাঙ্কের, এরোপ্লেনের, বোমার, সব মেরীনের ও “শেল”এর যুগে তাহা নিশ্চয়ই মিথ্যা । ভারত-শাসনসংস্কার আইনের আরও কি-সংস্কার হইতে পারে বা পারে না, তাহা আলোচনা করিয়া রিপোর্ট