পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԳԵ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড পথে পুরানো ঘাটে পুরানো কালের মাল-মল্লা নিয়েই সে ফালে তার নিজের ব্যবসা। তখন সে সাবেক আমলের মুখ্য থেকে হাল আমলের গৌণ ফলিয়ে তুলতে বসল। জাম্বারকে ক’রে তুললে ভোজ, শঙ্ককে ক’রে তুললে বাণী, কায়াকে ক’রে তুললে কাব্য। মুখ্যভাবে যেটা ছিল জাঘাত, গৌণভাবে সেটা হ’ল আবেদন ; যেটা ছিল বঙ্গিনীর শৃঙ্খল, সেটা হ’ল বধূর কঙ্কণ ; যেটা ছিল ভয়, সেটা হ’ল ভক্তি ; যেটা ছিল দাসত্ব, সেটা হ’ল আত্মনিবেদন । যার উপরের স্তরের চেয়ে নীচের স্তরকে বিশ্বাস করে বেশি, তারা মাটি খোড়াখুড়ি করতে গেলেই পুরাতন তাম্রশাসন বেরিয়ে পড়ে। বৈজ্ঞানিকের চশমায় ধরা পড়ে যে, ক্ষেতের মালিক জৈব-প্রকৃতি,অতএব ফসলের অধিকার নির্ণয় করতে গেলেবৈজ্ঞানিকের কাছে চিৎপ্রকৃতির দাৰী অগ্রাঞ্চ ছ'য়ে আসে। আপিলে সে যতক্ট বলে প্রণালী আমার, প্ল্যান আমার, হাল-লাঙল আমার, চাষ আমার, কিছুতেই অপ্রমাণ করতে পারে না যে, মাটির তলাকার তাম্রশাসনে, মোটা অক্ষরে খোদা আছে, জৈবপ্রকৃতি । মোট অক্ষরের উপরে বিচারকের নজরও পড়ে বেশি। কাজেই রায় যখন বেরোয়, তখন পাকা প্রমাণসহ প্রকাশ হয়ে পড়ে যে, সাবেক আমলের ভূতই বর্তমান আমলে ভগবান লেজে এসেছে। - জৈব প্রকৃতিতে শিশুর একটা অর্থ আছে। সেই জধটাকেই যদি সম্পূর্ণ বলে স্বীকার করে নিই, তৎ’লে বলতুে হয় মাছের ছানার সঙ্গে মাহুষের শিশুর কোনো প্রভেদ নেই। অর্থাৎ তার একমাত্র অর্থ বংশবৃদ্ধি। কিন্তু চিৎপ্রকৃতি সেই অর্থটাকে নিয়ে যখন আপনার চিন্ময় জিনিষ করে তুললে, তখন তাকে চোর বদনাম দিয়ে ফুলৰেই মালেৰ স্বীকার করি নি,তাহলে সেক্সপিয়ারেরও 'মাল খানায় আটক করতে হয় । মসলা জার মাল ত । একই জিনিষ নয় ; মাটির মালেক যদি হয় ভূপতি,ভাড়ের মালেক ত কুমোর । আমাদের চিত্ত শিশুর মধ্যে স্বটির অহৈতুক আনন্সটি দেখতে পায়। বয়স্ক মানুষের মধ্যে উদ্বেগু-উপায়-ঘটিত নানা তর্ক আছে ; কেউবা কাজের কেউবা অকাজের ; कोल्न वा चर्ष आत्इ, काठब्र ब ८नहे । किस्त्र শিশুকে তখন দেখি, তখন কোনো প্রত্যাশার দ্বারা আচ্ছন্ন করে মেধিনে। সে যে আছে এই সত্যটাই বিশুদ্ধভাবে আমাদের মনকে টানে। সেই অপরিণত মাহুষটির মধ্যে একটি পূর্ণতার ছবি দেখা দেয়। শিশুর মধ্যে মানুষের প্রাণময় রূপটি স্বচ্ছ অনাবিল আকাশে স্বপ্রত্যক্ষ । নানা কৃত্রিম সংস্কারের বড়যন্ত্রে তার সহজ আত্ম-প্রকাশে একটুও দ্বিধা ঘটিয়ে দেয় না। প্রাণের বেগে নন্দিনী ষে-রকম সহজে নেচেকুদে গোলমাল द'८४ ८वज्राङ्ग,यांभि शनि डी कब्राऊ घांझें उी इ'प्लcय-थङ्कङ সংস্কারের পরিমণ্ডল আমাকে নিবিড় ক’রে ঘিরে আছে সে-স্থদ্ধ নড় চড় করতে থাকে, সেটা একটা অসঙ্গত ব্যাপার হু’য়ে ওঠে। শিশু যা-তা নিয়ে যেমন-তেমন ক’রে খেলে, তাতেই থেলার বিশুদ্ধ রূপটি দেখি । খেলার উপকরণের কৃত্রিম মূল্য, খেলার লক্ষ্যের কৃত্রিম উত্তেজনা তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে না । নন্দিনী যখন লুদ্ধভাবে কমলালেবু খায়, তখন সেই অসঙ্কোচ লোভটিকে স্বন্দর ঠেকে। সহজ প্রাণের রসবোধের সঙ্গে কমলালেবুর ষে মধুর সম্বন্ধ, ভদ্রতার কোনো বিধানের দ্বারা সেটা ক্ষুণ্ণ হয়নি। ঝগড়-বেহারাটার প্রতি নন্দিনার যে বন্ধুত্বের টান সেটা দেখতে ভালো লাগে, কেননা, যেকোনো দুই মানুষের মধ্যে এই সম্বন্ধটি সত্য হওয়ার কোনো বাধা থাকা উচিত না ; কিন্তু সামাজিক ভেদবুদ্ধির নানা অভ্যস্ত সংস্কারকে যেমূনি আমি স্বীকার করেছি অম্নি ঝগড়-বেহারার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা আমার পক্ষে দুঃসাধ্য হয়েছে, অথচ এমন ভক্ষ্মবেশধারীকে আম সমকক্ষভাবে অনায়াসে গ্রহণ করতে পারি যার মন্থব্যজের আন্তরিক মূলা ঝগড়র চেয়ে অনেক কম। জাহাজে তার সমবয়স্ক যুরোপীয় বালিকার সঙ্গে নলিনীর বাগড়াও হয়, ভাবও হয়, পরস্পরের মধ্যে সম্পত্তির বিনিময়ও চলচে। যুরোপীয় পুরুষযাত্রীর সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার মাথা নাড়ানাড়ি হ’য়ে থাকে,শরীরের স্বাস্থ্য ও আবহাওয়া নিয়ে বাজে কথা বলাবলিও হয় ; সংস্কারের বেড়া ডিঙিয়ে তার বেশি আর সহজে এগোতে পারিনে। সহজ মাছুষের সত্যটি সামাজিক মানুষের কুয়াশায় ঢেকে রেখে एमब्र। जर्षां९ थांयब्रlनांना अदाखद्र उzथाब्र अयहठाब्र