পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

® बिछब्रकूमाब ८डौभिक - مر বর্ভুমান যুগ গণতন্ত্রের যুগ। সভ্যজগতের অধিকাংশ স্থলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং বাকী প্রায় সকল স্থলেই উছার জন্ত আন্দোলন চলিতেছে ; সকলেই নিজেদের স্ববিধামত শাসন-ব্যবস্থা নিজেরা.করিয়া লইতে চাহিতেছে। সকল মামুষের মধ্যে যে একটি স্বাধীনতার প্রবৃত্তি চিরকাল আছে, তাহা হইতেই ইহার জন্ম। কিন্তু কেবলমাত্র গণতন্ত্র লাভ হইলেই যে তাহা স্থখকর হইবে ইহার কোনো অর্থ নাই। স্তান ডোমিনগো, হাইতি, মেক্সিকো প্রভৃতি অনেক গণতন্ত্রেই দেখা গিয়াছে—জনসাধারণ নিজেদের শাসন-ব্যবস্থা করিতে তেমন দক্ষ নহে । ইহার প্রধান কারণ তাহদের এ-বিষয়ে শিক্ষার অভাব । কিন্তু শিক্ষার অভাবে গণতন্ত্ৰ তুলিয়া দেওয়া যাইতে পারে না। শাসন-ব্যবস্থা পরিচালনা দ্বারাই ঐ বিষয়ে শিক্ষা লাভ হুইবে —জলে না নামিয়া সস্তরণ শিক্ষা করা যায় না । গণতন্ত্র লাভ করিতে আমরাও চাই। এই চাওয়ার অধিকার অামাদের আছে । কিন্তু গণতন্ত্রে প্রত্যেক দেশবাসীরই দেশের শাসন-ব্যাপারে ॥কছু-না-কিছু কৰ্ত্তব্য থাকে। এই কৰ্ত্তব্য যথোপযুক্তভাবে সম্পাদন করিতে হইলে, বাল্যকাল হইতে এবিষয়ে শিক্ষালাভ হইলে ভালো হয়। বিদ্যালয়ে এই শিক্ষা অতি সুন্দর রূপে হইতে পারে । বিদ্যালয়ের এই গণতান্ত্রিক শিক্ষা শুধু পুস্তকগত হইলে চলিবে না –হাতে-কলমে শিখাইতে হইবে। সস্তরণসম্বন্ধে দশখান। বড়-বড় বই পড়িলে সস্তরণ শিক্ষণ হয় না। তুলি না ধরিয়া আঁকিতে শেখা যায় না। সঙ্গীত শুনিয়াই গায়ক হওয়া যায় না। গণতন্ত্র-সম্বন্ধে ছাত্রের, বই পড়িলে ভালো, কিন্তু না-পড়িয়াও নিজেদের বিদ্যালয়কে ঘদি একটি গণতান্ত্রিক নগর বা ব্লার্জ্যরূপে পরিচালনা করিতে পারে, তাহা হইলে তাহ দ্বারা তাহারা যে মানসিক সংযম শিক্ষা ও শক্তি অর্জন করিবে, তাহা ভবিষ্যৎ দেশশাসনব্যাপারে তাহাদিগকে অনেক-পরিমাণে দক্ষ করিবে । বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষকের স্বেচ্ছাত বঙ্গ যাইতে পারে। এখানে কোনো ব্যাপারে ছাজনের মতামতের কোনো মূল্য নাই। অনেক স্থলে মত-প্রকাশের ফলে ভাগ্যে উপৃরি শাস্তি লাভ হয়। ছাত্রদের রীতি-নীতি এবংখৃঙ্খলাবিধান-বিষয়ে এই শিক্ষকতন্ত্রের মাত্রা অনেক কমাইয়া বা বয়স্ক ছাজদের বেলা একে-- বাৱে তুলিয়া দিয়া ছাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা যাইতে পারে। ছোট স্কুল বা পাঠশালা হইলে সকল ছাত্র মিলিয়া সভা করিয়া অধিকাংশের ভোট দ্বারা (by majority vote) আইন বা নিয়ম করিবে ; কি-ভাবে তাহারা চলিবে কি-ভাবে চলিবে না তাহ সভাতেই নির্ধারণ কৱিবে এবং সভায় নির্ধারিত ঐসমস্ত আইন যাহাতে প্রতিপালিত হয়, তাহা দেখিবার জন্য নিজেদের মধ্য হইতে কতকগুলি কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিবে,—ষখা, অধ্যক্ষ (Mayor বা President), পুলিশ স্বপারিস্টেডেণ্ট এবং বিচারক । বিদ্যালয় যদি বড় হয়, তাহা হইলে উদ্বার প্রত্যেক শ্রেণীকে একটি পাড়া (ward) ধরিয়া লণ্ডয়া চলে। এইরূপ প্রত্যেক পাড়া হইতে একজন, ছুইজন বা তিনজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হইবে এবং এই প্রতিনিধিদের সভা হইবে ঐ বিদ্যালয়-গণতন্ত্রের পালিয়ামেণ্ট । এই পালিয়ামেন্ট সমস্ত আইন করিবে এবং অধ্যক্ষ প্রভৃতি প্রধান কয়েকটি কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করিবে। কৰ্ম্মচারীরা প্রয়োজন বোধ করিলে নিজেরা বা তাহদের পালিয়ামেন্টের দ্বারা পুলিশের পরিদর্শক, কনেষ্টবল প্রভৃতি আরো কয়েকজন নিমজুন কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করিতে পারিখে। এই ছোট পাঠশালার পূর্ণ-গণতন্ত্র বা বড় স্থলের প্রতিনিধি-গণতন্ত্র বিদ্যালয়ের স্বার্থ, নিজেদের স্বাস্থ্য, নিজেদের স্ববিধা-অশ্নবিধ, পরম্পরের সহিত ব্যবহার, শিক্ষকদের প্রতি ব্যবহার, ক্রীড়া প্রভৃতি বিষয়ে নিয়ম করিবে । এইসমস্ত নিয়ম বা অইন সকল সময়েই অধিকাংশের ভোটে নির্ধারিত হইবে এবং একবার বিধি. বদ্ধ হইলে সকলের উপরেই উহা প্রযোজ্য হইবে। কোনো ছাত্র কোনো আইন লঙ্ঘন করিলে পুলিশ-ছাত্র তাহাকে নিবারণ করিবে এবং মা-শুনিলে ধরিয়া বিচারক-ছাত্রের নিকট লইয়া যাইবে । বিচারক সাক্ষী ভাকিয়া সকল পক্ষের কথা শুনিয়া তাহার বিচার ও দণ্ড করিবে। স্বনে झङ्गन, ५ु चार्द्धेन श्वॆश “cकश् विलिप्ताङ्ग cबंश् बिं দিয়া কোনোরকম দাগ দিতে পাৰিৰে না।" একটি ছ৯