পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড - *:- - - - . . - ACC AAAA AAAA AAAAS AMMAAA AAAA AAAAA ৭নং চিত্র—ময়ূরভঞ্জের আল্পনা হয়েছে। গুজরাটে যে-সব আলপনা প্রচলিত আছে, সেগুলো অনেকটা তন্ত্রের যন্ত্রের আকারের । উড়িষ্যায় একখানি বই আছে “প্রবন্ধচিত্রোদয়” ; তা'তে নানা-র কম ছবির নমুনা আছে । এবারে আমি ময়ূরভঞ্জে কিছু আলপনার নমুনা সংগ্ৰহ করি। সেখানে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ীর দেয়ালে আলপন দেওয়া হয় । প্রায়ই গ্রামের মাঝখান দিয়ে রাস্তা চ’লে গছে, আর তা’রই দু’পাশে লোকদের বাড়ী । সেইসব বাড়ী কালো, লাল বা গেরুয়া রং দিয়ে মুন্দরভাবে লেপ হয়, আর তা’রই উপরে নান-রকম আলপনা জাকা হয়। এইসব আলপনাকে ময়ূরভঞ্জে “বুট” বলা হয়। বুটকে আমরা দু’ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথম যে-সব স্কুট গুধু বাড়ী সাজাবার জন্তে ব্যবহৃত হয়, যেমন ১-৭ নং ছবি । এগুলি বিশেষ কোনো ব্রত বা পুজার জন্য ব্যবহৃত হয় না, শুধু ঘরের সৌন্দর্ঘ্য বৃদ্ধি করে। তবেই দেখা যাচ্ছে যে, যদিও এইসব লোকদের আমরা অশিক্ষিত ব’লে ঘৃণা করি, তবুও এদের মধ্যে সৌন্দৰ্য্য-জ্ঞান যথেষ্ট আছে । এরা এদের মাটির ঘরকেও স্বন্দর ক'রে তোলবার চেষ্টা করে। ১নং ছবির মতন নমুনা আমরা প্রাচীন শিল্পে পাথরের স্তম্ভের উপর দেখতে, পাই । স্তম্ভটি সাজাবার জন্তে আগেকার শিল্পীরা এইরকম পদ্ম ও লতাপাতার ব্যবহার করত। এখানকার লতাপাত দিয়ে সাজানোর পদ্ধতি অামাদের সাচি ব। ভারতের স্ক্রোলের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই স্কোল করার প্রথাই আজকালকার আলপনায় পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয়—যে-সব আলপনা শুধু ব্রত বা বিবাহাদি