পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిపి भरश्वत्रौं कश्ष्लिन, “क्ल्काउाग्न आएश शहे। cहरणটাকে পাই ত ফিরে এলে হবে।” তারিণী ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আর शनि नी १ीe ?' মহেশ্বরীর প্রাণ আলোড়িত হইয়া উঠিল । তিনি কিছুক্ষণ জবাব দিতে পারিলেন না । পরে মৃদ্ধস্বরে কহিলেন, “না পাওয়া গেলে কোন দিকে ষে যাবে এখনও স্থির নেই।” তারিণী বেঞ্চ হইতে লাফাইয়া উঠিল। ভূড়িট নাচাইয়। কহিল,"শোনো মহেশ্বরী ! এই নিষ্পাপ দেহখানা তোমার সংস্পর্শে এসে আঠারো আনা পাপ ভর ক’রে দাড়িয়েছে। তীর্থের নামে বের হ’লে—পা মচ কালে বাগদির ছেলে । দেশে গেলে লোকে মুখে মুড়ে জেলে দেবে না ?” মহেশ্বরী অতি দুঃখে হাসিয়া ফেলিলেন । বলিলেন, “কল কাতায় গিয়ে স্বখেনকে খবর দেবো । সে এলে তুমি খরচপত্তর নিয়ে রামেশ্বর যেও ।” তারিণী কহিল,"ছোড়াটা—এমন অষ্ট বন্ধনে বেঁধেছে জানতে পারলে তারিণীচরণের আজ পথ থেকে ফিরতে হয় ? তারিণীচক্কোবত্তির বুদ্ধির ওপর হাত দেয় এমন লোক আজও জন্মায়নি। নিতাস্ত আহম্মক লেজেই ঘর থেকে পা বাড়িয়েছিলুম, নইলে একটা মেয়েলোকের হাতে বুদ্ধিটা জথম হ’য়ে যায় ?” *蠻 মঙ্গেশ্বরী কহিলেন, “সে, মাম যা হবার হয়েছে । সে-কথা যেতে দাও । এখন যে-ষ্টেশনে গাড়ী ধরবে, সেক্টগানে নামতে হবে, মনে থাকে যেন। একটা কুলী ডেকে তাড়াতাড়ি জিনিসপত্তরগুলো নামিয়ে নিও।” তারিণীচরণ সমস্ত দেহ বস্ত্রাবৃত করিয়া শুইয়া পড়িল । মহেশ্বরী চুপিচুপি বলাইকে কছিলেন, “মাম যদি মন না দেন, তুই একটা কুলী ডেকে জিনিসপত্তরগুলো নামিয়ে নিতে পারবিনে ?" বলাই কহিল, "কেন পারব না ? তুমি ভেব না, বড়মা ! আমি সবই ঠিক ক’রে নেবো ।” মহেশ্বরী গাড়ীর গবাক্ষপথে চক্ষু রাখিয়া ষ্টেশনের স্বপেক্ষা করিতে লাগিলেন । প্রবাসা- জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ { ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড চতুর্থ পরিচ্ছেদ তারিণীচরণের নিকট মহেশ্বরীর সমস্ত তাড়ন এবং উপদেশ ব্যর্থ হইল। প্রবাস-পথে তারিণীকে মহেশ্বরীর খুবই দরকার । তিনি র্তাহার মনের অসহ সন্তাপ তাহাকে একটু-একটু করিয়া বুঝাইতেছিলেন । কিন্তু যে অহঙ্কারে আত্মবিশ্বত হইয়া শুধু আপনার রুতিত্বের উপর বিশ্বাস রাখে, তাঁহাকে বুঝানো ত স্থায়ই না বরং শত্রুতাসাধনে সে তৎপর হয়। মহেশ্বরী যদি তারিণীর বুদ্ধির প্রতি সম্মান দেখাইয়া কথা বলিতেন, তাহা হইলে হয়ত কিছু ফল পাইতেন । তারিণী মনে মনে ভাবিতেছিল, একটি স্ত্রীলোকের দুৰ্ব্বদ্ধির পিছনে যদি গতানুগতিক-ভাবে আপনার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিটা সে ছাড়িয়া দেয়, ভাঙ্গ হইলে লোকের নিকট তাহার অসারত্ব প্রতিপন্ন হইতে অধিক সময় লাগিবে না । স্বতরাং সে মহেশ্বরীকে সেতুবন্ধ পৰ্য্যন্ত লইয়। যাইবার জন্য মনের মধ্যে এক নূতন সঙ্কল্প গড়িয়া তুলিল । তারিণীচরণ সেই যে চক্ষু বুজিয়া পড়িয়াছিল, সে আর উঠিল না-কথা বলিল ন;–চক্ষুণ্ড মেলিল না । সে ভরসা করিয়াছিল যে, একটি বালককে মাত্র আশ্রযু করিয়া এই দুরদেশের একটা ষ্টেশনে নামিয়া পড়িতে মহেশ্বরী কখনই সাহসী হইবেন না । কিন্তু এই স্বার্থাদ্ধ লোকটির সহিত সামান্ত সময়ের সংস্রবে মহেশ্বরী যে-আভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন, তাহাতে তিনি স্পষ্টই বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, উহার দ্বারা তাহারা আর বিশেষ-কিছুই সাহায্য পাইবেন | || ষ্টেশনে গাড়ী থামিলে মহেশ্বরী মামা' ! ‘মামা' ! বলিয়া কয়েকবার ডাকাডাকি করিলেন। তারিণীর নিজ। ভাঙ্গিতে চায় না। বলাই ইতিমধ্যে একটি কুলী সংগ্রহ করিয়া আনিয়া জিনিষপত্র সমস্ত নামাষ্টয়া লইল । এবং মহেশ্বরীকে নামিতে বলিয়া নিজে নামিয়া পড়িল। মহেশ্বরী দ্বারের নিকটে জাসিয়া বলিলেন, "মামা! তোমার ত ঘুম ভাঙছে না। যদি সেতুবন্ধ যেতে চাও, তোমার নিকট টিকিট আছে, ঐ টিকিটে