পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] যে-শিক্ষায় এরূপ কৰ্ম্মী স্বষ্টি করে, তাহাকে আদে শিক্ষা নাম দেওয়া চলে না। -

  • কারণ মাহুষের জীবনের উদ্বেগু এত সঙ্কীর্ণ নহে। আরো বৃহত্তর ক্ষেত্রে তাহার স্থান । বামনের হস্তপদ স্থল হইতে পারে, কিন্তু ঐ স্থূলতা দেখিয়া মনে করা ভুল যে, সে একটা বড় কৰ্ম্মী। দৈর্ঘ্যে তাহার যে ক্ষতি স্থূলতায় তাহার পরিপূরণ হয় না, সে তথাপি অকৰ্ম্মণ্য । এক-দিকের কুশলতায় মানুষ হওয়া যায় না । মানুষকে সমাজে, রাষ্ট্রে, সৰ্ব্বত্র কাজ করিতে হইবে । জীবনের প্রতিমুহূৰ্ত্তে তাহাকে মানুষ হইতে হইবে, প্রতিপদক্ষেপেও। শিক্ষণ যদি তাহাকে এইসকল দিকেই খাটি করিয়া তুলিতে ন পারে, তবে তাহা শিক্ষাপদবাচ্য বিরুপে হুইবে ?

মাহুযের শরীর যেমন বাড়িয়া উঠে, মামুষের অস্তুরও তেমনি বাড়িয়া উঠিবার শক্তি রাখে। শরীরের বাড়িয়া উঠিবার জন্ত যাহা-কিছু আয়োজনের প্রয়োজন, তাছাদের সংখ্যা অধিক নহে। কিন্তু যেখানে মন লইয়৷ কারবার করিতে হয়, মুস্কিল সেখানে অনেক, কারণ অনেক সময় ভাঙিলাম, কি গড়িলাম তাহাই বুঝিয় উঠা কঠিন । এখানকার কারখানায় লেদ অনেকেই দেখিয়৷ থাকিবেন । স্বচতুর মিস্ত্রীরা তাহার সাহায্যে, মোটামোট লৌহপিণ্ডকে কেমন নানা-প্রকার আকারে গড়িয়া তুলিতেছে । যেমনটি আবশ্বক, এখানে একটু উচু, এখানে একটু নীচু, এখানে একটু বাক, এখানে একটু ঢেউখেলানো, যেমনটি চাওয়া যাইবে, মিলিবে । আমাদের বিদ্যালয়ের লেজেও আমর। হুকুম তামিল করিতেছি, আমরা কেবল মানব-শিশুকে একটা বিশেষ আকার দিতে চেষ্টা করিতেছি । সকলেই দেখি চান, তাহাদের সস্তান উপার্জনক্ষম হীেক। যদি জিজ্ঞাসা করি, ইহা চান কি না যে সে মাস্থ্য ইয় ? উত্তর মিলিবে তৎক্ষণাৎ, যে নিশ্চয়ই চাই, সে যেন মাচুর্য হয় । কিণ্ড দেখা যায়, সে যখন মাস্থ্য হয় না, কিন্তু টাকা জানিতে থাকে, আমাদের উপর কেহই তেমন *iणिवर्ष१ कटब्रम ना ; चाब्र बथन ८ण भाशय श्छ किक به تحسیحجه শিক্ষকের আক্ষেপ २8> অর্থশালী হইবার পথ ধরে না, তখন আমাদের চাকুরি লইয়া টানাটানি পড়িয়া যায় । শিক্ষককে সেইজন্ত এমন স্থান পাইতে হইবে যে, সে নিভাক হইয়। কাজ করিতে পারে। কিন্তু নিৰ্ভীক হও বলিলেই তাহ হওরা যায় না । সে যখন দেখিতেছে সকলেই তাহার উপর মুরুবিয়ানা করিতেছে, তখন আত্মরক্ষাতেই অধিকতর মনোযোগ দেওয়া ভিন্ন তাহার উপায় কি ? অর্থ যাহার হাতে, পরামর্শ দিবার অধিকার সে ছাড়িতে চাহে না ; আর তাহার পরামর্শ গৃহীত না হইলে সে যদি টাকার থলের মুখটা কষিয়া বাধিয়া রাখে, তাহাতে যে কি দোষ তাহা সে বুঝিবে না। এ মাহুষের একটি দুৰ্ব্বলতা। চিকিৎসকের হস্তে প্রাণ নির্ভর করে, কিন্তু তিনিও পরামর্শ-দাতার হাত এড়াইতে পারেন না, আর উকিলেরা জানেন, পরামর্শদাতার হাত হইতে তাহারই সম্পত্তিকে রক্ষণ করা অনেক সময় স্নায় হইয়া উঠে । কিন্তু শিক্ষা-ব্যাপারেই এই বিপদ সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক। ভাক্তারউকিল, ইহার কুফল চোখে আঙুল দিয়া দেখাইতে পারেন, কিন্তু শিক্ষকের কাজ এমন যে সে তাহ পারে না । সুতরাং যাহাকে সত্য বলিয়া সে জানে, তাহাও অপরের নিকট জোর করিয়া ধরিবার স্বযোগ সে পায় না । সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় সত্য এই যে, আমরা মানুষ এ কথা শিক্ষক বুঝে, কিন্তু সে বেচারা বুঝিয়া কি করিবে ? এই সত্য সকলের নিকট পরিস্ফুট হওয়া আবশুক । প্রত্যেক মানুষটি এক-প্রকারের হইবে, ঈশ্বরের এ বিধান নহে। সেইজন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চিনিয়া লইয়া তাহার জীবনের রসদ জোগাইবার যে ব্যবস্থা তাহাই সৎ-ব্যবস্থা। বর্তমান শিক্ষ-ব্যবস্থা তাহার অমুকুল নহে । মহাকর্ষণ নামে একটি শক্তি আছে, তাহাই সমস্ত গ্ৰহনক্ষত্র, সমস্ত জাগতিক বস্তুকে বিধি-নিয়মের বশবৰ্ত্তী করিয়া চালাইতেছে। তেমনি আমাদের মধ্যেকার মানুষটি। সেটি যদি সত্যভাবে জাগ্রৎ হয়, তবেই আমাদের পক্ষে সকল বিষয়ে সত্য হওয়ার সম্ভাবনা, নচেৎ নহে । সত্য নিৰ্ভীক, কিছুই তাহাকে দমাইতে পারেন, তাহাকে रुक्न कब्रिटङ श्राद्ध प्रयन ब्रजकू नाइँ, डांइब्र विकाङ्ग