পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8ર আনিতে পারে এমন ব্যাধি নাই। ব্যাধি ও বিকার অসত্যের পরিচায়ক । আমাদের সস্তানগণ যদি দুৰ্ব্বলতাদুষ্ট হয়, তাহ হইলে বুঝিতে হইবে সত্যের উপর তাহাজের জীবন ভিত্তিলাভ করে নাই । এই সত্য-মানুষটিকে জাগাইয়া তোলা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্দেশ্য লইয়া চেষ্টা করিলে ঘটে না, ঐ মানুষটিকে জাগাইয়া তোলাই যেখানে উদেখা সেইখানেই তাহ সম্ভব । আর যেখানে তাহ সম্ভব নয়, সেখানে যে ক্ষতি, তাহার ইয়ত্তা নাই । এই ক্ষতি হইতে যে সমাজ ও দেশ মুক্ত নহে, ডাঃার কল্যাণের পথও খোলা নাই । সে দেশ ও সমাজ কতকগুলি কত্রিম মানুষ লইয়া কাবৃধার করিতেছে ; তাহার অঙ্গে সহজ ফুর্ভি নাই, তাহার চেষ্টায় প্রাণ নাই। এই অভাব তাহার দূর হইবার নহে, যতদিন তাহার বিদ্যালয় মানুষ করার কার্য্য স্বরু ন করিবে । জোর করিয়া কাহারো স্কন্ধে একটা কোনো দক্ষতার বৈাঝা চাপাইয়া দেওয়া অকিঞ্চিৎকর । আমাদের হাতে একটা ছাচ আছে তাহাতেই সকলকে ঢালিয়া গড়িব, এই যখন এখনকার ব্যবস্থা তখন ফল এই হইবে যে, যে-সকল শিশু সেই ছাচের সহিত ঠিক মিলিবে না, তাহাদিগকে কোনো-না-কোনো স্থানে জড়সড় হইয়া ছাচে ঢুকিতে হইবে, আর যখন বাহির হইবে, সেই-সেই স্থানে পঙ্গু হইয়া বাহিরে অসিবে । হইতেছেও তাহাই । দেখিড়েছি বিদ্যালয়সকল হইতে যাহারা বাহির হয়, তাছাদের সকলেরই প্রায় এক রূপ। একই-প্রকারের তাহাদের চিন্তা-স্রোত, একই-প্রকারের চলা-ফেরা, আর তাহাদের অল্প-স্বল্প যাহা-কিছু দক্ষতা তাহাও একই ছাচে ঢালা । যাহাদের ভাগ্যক্রমে ছাচের সহিত অনেকখানি মিল ঘটিয়াছিল, তাহারা বুঝি অনেকটা ভালো, কিন্তু তাহাদের সংখ্যা সামান্ত, বাকীগুলি পঙ্গু কোথাও না কোথাও । বিদ্যালয়গুলিতে যদি দেশের কল্যাণের ভিত্তি পত্তন করিতে হয়, তাহা হইলে সেগুলি এইরূপ পজুতার কারখানা হইয়া থাকিলে ঘটবে না। স্বাধীনতার ভিতর দিয়া মাতুষকে ফুটিয়া উঠিবার স্বযোগ দেওয়াই বিদ্যালয়ের কার্ঘ্য । হইতে পারে চিড়িয়াখানার জন্তু দেখিয়া আমরা খুলি প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, తిరి [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড হুই, কিন্তু ঐ জন্ডগুলি যে আনন্দে নাই, তাহ কাহাকেও বলিয়া দিতে হুইবে না। খাচার ভিতরের পার্থীটার भाणरूखनि शङ३ ब्रडौन ८शेक ना cरून cन शषब नर्म, কিন্তু ঐ চড়াই পার্থীটি যে এধার-ওখার উড়িয়া বেড়াইতেছে, উহার আনন্দ দেখে কে ? খেলার মাঠে যখন শিশুদের প্রসারধৰ্ম্মী জীবনের প্রকাশ দেখি, দেখিয়া আনন্দ হয় ; ঐগুলিকে যখন বিদ্যালয়ের খাচায় পুরি, তাহার তেমন স্বন্দর দেখায় না। একদল লোক বলেন, আনন্দের সহিত শিক্ষাকে যুক্ত করা যায় না । ইহারাই আমাদের বিদ্যালয়গুলির কৰ্ত্তা । বিদ্যালয়ে যে খেলার মাঠ আবশ্যক, একথা অনেককেই বুঝানো অত্যন্ত কঠিন হষ্টয়াছে । নাই বা থাকিল খেলার মাঠ,অঙ্ক কষ, ইতিহাস মুখস্থ করা প্রভৃতি অতীব গুরুতর ও নিতান্ত আবশ্যক বিষয়সকল যখন চলিয়া যাইতেছে,খেলাসম্বন্ধে মাথা ঘামাইবার কোনোই প্রয়োজন দেখা যাইতেছে না । কিন্তু ছাত্রদের জীবনী-শক্তি কমিয়া আসিয়াছে, হজমের শক্তি নাই-ই। আর কয়েকট। বৎসর পরেই বিদ্যালয় হইতে ছাত্রের বাইরে আসিলে তাহাদিগকে তুলাভরা জামায় ঢাকিয়া রাখিতে হইবে, বাহিরের আলোক-বাতাস তাহার। আর সহ করিতে পারিবে না । পারিবার কথাও নহে। চীনদেশের মেয়েদের সৌন্দৰ্য্য পায়ে। শৈশব হইতে পা বাধিয়। রাখিয়া এই সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করার জালায় তাহারা আর চলিতেই পারে না । আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার তাড়নায় ছেলেদের প্রাণ টেকে না । শিক্ষার সহিত আনন্দের, স্বাধীনতার কোনো বিরোধ নাই ; বস্তুত স্বভাবত ইহাদের সম্বন্ধ অতি নিকট। কিন্তু ফরমাইসি ব্যাপারে স্বভাবের আনন্দ আসিবে কোথা হইতে ? সেইজন্য আমাদের বিদ্যালয়ের ফরমাইলি শিক্ষায় ছাত্রদের আনন্দ মিলে না। আর, এই ফরমাইস যে তামিল করিতেছে, সেই শিক্ষকই বা কি করিবে ? কোথায় সে আনন্দ পাইবে যে, ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করিবে ? শিক্ষা-গ্রহণ করাকে মানুষ এত কঠিন মনে করিতেছে কেন ? শিক্ষা-গ্রহণ-ব্যাপারটা মাছুষের, কেবল মাছুষের কেন, সকল জীবেরই পক্ষে এমন স্বাভাবিক ব্যাপার